ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোলপাকে খেলতেই অবসর নিয়েছেন আমলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

হুট করে হাশিম আমলার অবসরের ঘোষণায় অনেক ক্রিকেট সমর্থকরা অবাক হয়েছিল। অবাক হওয়ার মতোই ছিল ব্যাপারটা। ফর্মে থাকা আমলা ২২ গজে পার করে ফেলেছেন ১৫ টি বছর। এমন একজন ব্যাটসম্যানের বিদায়টা হওয়া উচিত ছিল কিছুটা সময় এবং প্রস্তুতি নিয়ে।  

তবে এই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের অবসর নিয়েছেন আগাম ঘোষণা বাদেই। অবশ্য অবসরের কারণটা এখন কিছুটা হলেও পরিষ্কার। নিজের ক্যারিয়ারের শেষের দিকে আসা আমলার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তাঁর ভবিষ্যত। আর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কোলপাকের ট্রাপে এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে যেন শেষ করে দিচ্ছে কোলপাক চুক্তি। ইংলিশ লিগে খেলতে হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। তাই টাকার ঝনঝনানি শুনে একের পর এক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অবসরে যাচ্ছেন।    

এ মাসের শেষদিকে ‘নো-ডিল ব্রেক্সিট’ এর সম্ভাবনা আছে, যেটি হলে ৩১ অক্টোবর কোনোরকম সমঝোতা ছাড়াই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে যুক্তরাজ্য। কাউন্টি ক্রিকেটে কোলপাকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আগেই এই চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় সারে। শুধু সারেই নয়, আমলার এজেন্ট মিডলসেক্স ও হ্যামশায়ারের সঙ্গেও কথা বলেছেন; জানিয়েছে ক্রিকইনফো।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন আমলা। অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

চুক্তি সম্পন্ন হলে সারের হয়ে খেলা কোলপাকে যাওয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার হবেন আমলা। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেলকে দলে নেয় সারে। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার মতো ওভালের এই কাউন্টি ক্লাবটিতে সিনিয়র ক্রিকেটারের ভূমিকা পালন করবেন প্রোটিয়াদের হয়ে ১২৮ টেস্ট, ১৮১ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলা আমলা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ে উড়ে গেল কেকেআর

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আইপিএলের ৪২ তম ম্যাচ শেষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন থেকে যখন কেকেআর সমর্থকরা বেরোচ্ছেন তখন তাদের চোখে মুখে কেবলই হতাশা। তারা কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টি-২০ টোয়েন্টিতে ২৬১ রান করেও হারা যায়। আর এই জয়ের কান্ডারী বেয়ারস্টো, প্রভসিমরান সিংহ এবং শশাঙ্ক সিংহরা। 

এবারের আইপিএলের পিচগুলো যেন ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। ফর্মে না থাকা ব্যাটারকেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। প্রায় সব ম্যাচেই রান ছাড়াচ্ছে দুইশ। সানরাইজার্স হায়দারবাদতো এই আসরে ৩ বার পার করেছে ২৫০ এর অধিক রান। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাট করে ২৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব কিংসকে। এই বিশাল লক্ষ্যও ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ছুয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। যা এখনো টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। 

এই ম্যাচে ৪৮ বলে ১০৮ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। এছাড়া প্রভসিমরান এর ২০ বলে ৫৪ এবং শশাঙ্কের ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস অসাধারণ ইনিংস খেলেন। এছাড়াও রাইলি রোসো করেন ১৬ বলে ২৬। 

অন্যদিকে কেকেআরের ২৬১ রান তোলার নেপথ্যে ছিলেন সুনীল নারাইন। যিনি ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৭১ রান করেন আবার বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেটও নেন। কিন্তু তাও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না এ খেলোয়ার। কারণ এইদিন বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ের কাছে কেকেআর ছিলো অসহায়। 


আইপিএল   পাঞ্জাব কিংস   কেকেআর   বেয়ারস্টো   শশাঙ্ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গোল বন্দনায় প্রিমিয়ার লিগ, একের পর এক নতুন রেকর্ড

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। কারণ পৃথিবীতে যত যাই কাজ থাকুক রাতে খেলা আছে মানেই তা জাকজমকপূর্ণ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর।

গোলের এই খেলায় একটি গোলের মাধ্যমে যেমন একটি দলের ভাগ্য নির্ধারণ হয় তেমনই এক একটি খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ধারাবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যেন এখন গোল উৎসবে মেতেছে।

দলগুলো ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে যাচ্ছে। সেই সাথে জনপ্রিয় এই ক্রীড়া আসর এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ডই গড়েছে।

প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল সর্বশেষ ২০২২–২৩ মৌসুমের। গত বছর লিগের শেষ দিনে মোট ৩৩টি গোল হওয়ায় মৌসুম শেষ হয়েছিল ১০৮৪ গোলে। এবার গোলের রেকর্ড ভেঙে গেছে মৌসুমের ৩৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই।

এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৪৫ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ১০৯২টি। ম্যাচপ্রতি ৩.২৬টি করে। এই হারে বাকি ম্যাচগুলোতেও গোল হলে আরেকটি রেকর্ড গড়বে প্রিমিয়ার লিগ।

১৯৯২–৯৩ থেকে ১৯৯৪–৯৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে খেলত ২২টি দল। ওই তিন মৌসুমে প্রতিটি দলের ম্যাচ ছিল ৪২টি করে, মোট ম্যাচ হয়েছে ৪৬২টি করে। স্বাভাবিকভাবে গোলও হতো বেশি। ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে সব কটি দল মিলে করেছিল ১২২২টি গোল। প্রতি ম্যাচে গোল হয়েছিল ২.৬৪৫টি করে। এবার বাকি থাকা ম্যাচে ৩.২৬ হারে গোল হলে মৌসুম শেষে গোলসংখ্যা হবে ১৩২৯টি।

চলতি মৌসুমে লিগে গোলের ছড়াছড়ি আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। মৌসুম প্রায় শেষ হতে চললেও এখনো শিরোপা লড়াইয়ে আছে তিন দল। এর মধ্যে আর্সেনাল ৩৪ ম্যাচে করেছে ৮২ গোল, সমান ম্যাচে লিভারপুলের গোল ৭৪টি। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি ৭৩ গোল করেছে ৩২ ম্যাচে।

দলগুলোর গোলের আধিক্য যাদের কারণে, সেই ফরোয়ার্ডদের মধ্যেও চলছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সবচেয়ে বেশি ২০টি করে গোল করেছেন সিটির আর্লিং হলান্ড ও চেলসির কোল পালমার। অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনসের গোলসংখ্যা ১৯টি।


প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বরেকর্ড   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন