ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো মুস্তাফিজকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ২১তম জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড খেলবেন বলে মুস্তাফিজুর রহমানের যাওয়ার কথা ছিল খুলনায়। বিমানবন্দরে পৌঁছে জানলেন তাঁকে খুলনায় যেতে হবে না, খুলনার হয়ে খেলতে হবে না কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি। প্রথম রাউন্ডে মাঠে নামার জন্য বোর্ড থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি বাঁহাতি এই পেসারকে।    

খুলনা বিভাগের কোচ কাজী ইমদাদুল বাশার রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে মুস্তাফিজকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এই কোচ। বাশার বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডে আমরা মুস্তাফিজকে পাচ্ছি না। সে আমাদের স্কোয়াডে ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে মাঠে নামার জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়নি বোর্ড থেকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।’

মুস্তাফিজের বদলি হিসেবে খুলনা বিভাগে নেওয়া হয়েছে আরেক তরুণ পেসার মোহাম্মদ রনিকে। বাশার বলেন, ‘মুস্তাফিজের জায়গায় আমরা একজন তরুণ পেসারকে নিয়েছি। নাম মোহাম্মদ রনি, সে আমাদের স্কোয়াডের সঙ্গে আছে।’

তবে শেষ মুহূর্তে কেন এরকম হলো? সেটির কারণ ব্যাখ্যা করলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘কাল দুপুরে জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান (ক্যালেফাতো) আমাদের বার্তা পাঠিয়েছে মোস্তাফিজকে যেন প্রথম রাউন্ড না খেলানো হয় । মোস্তাফিজ পুরোপুরি চোটমুক্ত নয়। এর মাঝে সে যে বোলিং করেছে সেটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে যথেষ্ট নয়। ফিজিওর পরামর্শ মেনে সে পরের ম্যাচ থেকে খেলবে। মোস্তাফিজ কিন্তু ম্যাচটা খেলতেই চেয়েছিল। সে বিমানবন্দরে চলেও গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসেছে। যেহেতু ফিজিও না করেছে এ কারণে আমরা তাকে খেলাচ্ছি না।’

উল্লেখ্য কাল থেকে পর্দা উঠছে ২১ তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের। প্রথম রাউন্ডে একসাথে শুরু হবে চারটি ম্যাচ। উদ্বোধনি দিনে জাতীয় দলের প্রায় সব তারকাই ২২ গজে নামছেন নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে আনচেলত্তির শিষ্যরা

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। গেল মৌসুমে বেশ ব্যাকফুটে ছিল তারা। তবে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই যেন নিজেদের চেনা রূপে ফিরে এসেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ইতোমধ্যেই পয়েন্ট টেবিলের নেতৃত্বে রয়েছে তারাই। সেই সাথে গতকাল রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের আরও কাছে পৌঁছে গেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।

এদিন অ্যানেয়েতা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রিয়াল সোসিয়াদাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। স্বাগতিকদের মাঠে রিয়াল একমাত্র গোলটি করেন আর্দা গুলের।

নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগকে ছাড়াই এদিন সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। শুরুর সময়টাতে মাত্র ৩৫ শতাংশ বল পায়ে রাখতে পেরেছিল তারা। তবে ২৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় রিয়াল। দানি কারভাহালের পাস থেকে বল জালে জড়ান ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গুলের।

সোসিয়াদাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচ থেকে আর চার পয়েন্ট পেলেই শিরোপা উৎসব করতে পারবেন কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৩৩ ম্যাচে ২৬ জয় ও ছয় ড্র নিয়ে রিয়ালের এখন ৮৪ পয়েন্ট। সেখানে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সার পয়েন্ট ৭০। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা রিয়ালের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।

ম্যাচ শেষে কোচের প্রশংসাও পেয়েছেন এই তরুণ, ‘আর্দা (গুলের) গোল করেছে, সে ভবিষ্যতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কোনো সন্দেহ নেই যে আগামী বছর সে এখানেই থাকছে।’


রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা   রিয়াল সোসিয়েদাদ   লস ব্ল্যাঙ্কোস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের এক ম্যাচেই বিশ্বরেকর্ডের ছড়াছড়ি

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গতকালের ম্যাচে অনন্য এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে পাঞ্জাব। কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

শুধু যে রান চেজ করার বিশ্বরেকর্ডই নয়, এই ম্যাচে সৃষ্টি হয়েছে আরও বেশ কিছু ইতিহাস। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, আন্তর্জাতিক টি-২০তে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়। অতীতে এত রান তাড়া করে কোনো দল জিততে পারেনি। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তৃতীয় স্থানে মিডলসেক্স। সারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে ২৫৩ রান তাড়া করে জিতেছিল দলটি।

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক টি-২০তে একটি ম্যাচে সর্বাধিক ছয়। এই তালিকায় দাপট শুধু আইপিএলের। প্রথম তিন স্থানেই রয়েছে আইপিএলের তিনটি ম্যাচ। সবক’টাই হয়েছে এ বছর। কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচে মোট ৪২টি ছয় রয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ-মুম্বাই এবং হায়দরাবাদ-ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচ। দু’টিতেই ৩৮টি করে ছয় হয়েছে। ৩৭টি ছয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বল্‌খ লেজেন্ডস এবং কাবুল জোয়াননের ম্যাচ।

তৃতীয়ত, আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নিরিখে এটি প্রথম স্থানে। এর আগে ২০২০ সালে রাজস্থান শারজায় ২২৪ তাড়া করে জিতেছিল এই পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। এ বছর ইডেনে কিছু দিন আগে এই রাজস্থানই ২২৪ রান তাড়া করে জিতেছিল কলকাতার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে ২১৯ তাড়া করে চেন্নাইকে হারিয়েছিল মুম্বাই।

কলকাতার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের ব্যাটারেরা মোট ২৪টি ছয় মেরেছেন। এটি সর্বোচ্চ। এর আগে এই আইপিএলেই ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে এবারই হায়দরাবাদের ব্যাটাররা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই রেকর্ড নেপালের। গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে নেপাল ২৬টি ছয় মেরেছিল।

চতুর্থত, আইপিএলের কোনো ম্যাচে দু’টি ইনিংসের রান মিলিয়ে তৃতীয় স্থানে। এ বছর হায়দরাবাদ বনাম ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান হয়েছিল। তার আগে হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল। শুক্রবার ইডেনে সেই একই রান হলো। কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ইনিংস মিলিয়ে উঠল ৫২৩ রান। তার আগে ২০১০ সালে চেন্নাই বনাম রাজস্থানের ম্যাচে ৪৬৯ রান ১৩ বছর সবার উপরে ছিল।


আইপিএল   পাঞ্জাব   কলকাতা   বিশ্বরেকর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ে উড়ে গেল কেকেআর

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আইপিএলের ৪২ তম ম্যাচ শেষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন থেকে যখন কেকেআর সমর্থকরা বেরোচ্ছেন তখন তাদের চোখে মুখে কেবলই হতাশা। তারা কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টি-২০ টোয়েন্টিতে ২৬১ রান করেও হারা যায়। আর এই জয়ের কান্ডারী বেয়ারস্টো, প্রভসিমরান সিংহ এবং শশাঙ্ক সিংহরা। 

এবারের আইপিএলের পিচগুলো যেন ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। ফর্মে না থাকা ব্যাটারকেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। প্রায় সব ম্যাচেই রান ছাড়াচ্ছে দুইশ। সানরাইজার্স হায়দারবাদতো এই আসরে ৩ বার পার করেছে ২৫০ এর অধিক রান। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাট করে ২৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব কিংসকে। এই বিশাল লক্ষ্যও ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ছুয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। যা এখনো টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। 

এই ম্যাচে ৪৮ বলে ১০৮ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। এছাড়া প্রভসিমরান এর ২০ বলে ৫৪ এবং শশাঙ্কের ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস অসাধারণ ইনিংস খেলেন। এছাড়াও রাইলি রোসো করেন ১৬ বলে ২৬। 

অন্যদিকে কেকেআরের ২৬১ রান তোলার নেপথ্যে ছিলেন সুনীল নারাইন। যিনি ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৭১ রান করেন আবার বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেটও নেন। কিন্তু তাও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না এ খেলোয়ার। কারণ এইদিন বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ের কাছে কেকেআর ছিলো অসহায়। 


আইপিএল   পাঞ্জাব কিংস   কেকেআর   বেয়ারস্টো   শশাঙ্ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গোল বন্দনায় প্রিমিয়ার লিগ, একের পর এক নতুন রেকর্ড

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। কারণ পৃথিবীতে যত যাই কাজ থাকুক রাতে খেলা আছে মানেই তা জাকজমকপূর্ণ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর।

গোলের এই খেলায় একটি গোলের মাধ্যমে যেমন একটি দলের ভাগ্য নির্ধারণ হয় তেমনই এক একটি খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ধারাবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যেন এখন গোল উৎসবে মেতেছে।

দলগুলো ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে যাচ্ছে। সেই সাথে জনপ্রিয় এই ক্রীড়া আসর এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ডই গড়েছে।

প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল সর্বশেষ ২০২২–২৩ মৌসুমের। গত বছর লিগের শেষ দিনে মোট ৩৩টি গোল হওয়ায় মৌসুম শেষ হয়েছিল ১০৮৪ গোলে। এবার গোলের রেকর্ড ভেঙে গেছে মৌসুমের ৩৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই।

এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৪৫ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ১০৯২টি। ম্যাচপ্রতি ৩.২৬টি করে। এই হারে বাকি ম্যাচগুলোতেও গোল হলে আরেকটি রেকর্ড গড়বে প্রিমিয়ার লিগ।

১৯৯২–৯৩ থেকে ১৯৯৪–৯৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে খেলত ২২টি দল। ওই তিন মৌসুমে প্রতিটি দলের ম্যাচ ছিল ৪২টি করে, মোট ম্যাচ হয়েছে ৪৬২টি করে। স্বাভাবিকভাবে গোলও হতো বেশি। ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে সব কটি দল মিলে করেছিল ১২২২টি গোল। প্রতি ম্যাচে গোল হয়েছিল ২.৬৪৫টি করে। এবার বাকি থাকা ম্যাচে ৩.২৬ হারে গোল হলে মৌসুম শেষে গোলসংখ্যা হবে ১৩২৯টি।

চলতি মৌসুমে লিগে গোলের ছড়াছড়ি আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। মৌসুম প্রায় শেষ হতে চললেও এখনো শিরোপা লড়াইয়ে আছে তিন দল। এর মধ্যে আর্সেনাল ৩৪ ম্যাচে করেছে ৮২ গোল, সমান ম্যাচে লিভারপুলের গোল ৭৪টি। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি ৭৩ গোল করেছে ৩২ ম্যাচে।

দলগুলোর গোলের আধিক্য যাদের কারণে, সেই ফরোয়ার্ডদের মধ্যেও চলছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সবচেয়ে বেশি ২০টি করে গোল করেছেন সিটির আর্লিং হলান্ড ও চেলসির কোল পালমার। অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনসের গোলসংখ্যা ১৯টি।


প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বরেকর্ড   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন