ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের জ্বলে উঠার মঞ্চ আইসিসি টুর্নামেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ১২ জুন, ২০১৭


Thumbnail

চার, দুই, এক যাই হোক ব্যাটে-বলে সংযোগ হলেই করতালি আর সাবাস টাইগার সাবাস বলে গ্যালারিতে আনন্দ-উল্লাস। এভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ যোগায় ১৬ কোটি টাইগার সমর্থকরা। আর সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের এই সমর্থনের প্রতিদান খুব ভালোভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। যার বড় প্রমাণ ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে টিম টাইগার।

অথচ সেরা আটের জায়গা না হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের গত দুই আসরে খেলারই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। কিন্ত এবার র‌্যাংকিংয়ের সেরা আট দলের এই টুর্নামেন্টে সেই বাংলাদেশ সেরা চার দলের একটি। সেমির ম্যাচটি দিচ্ছে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়ার হাতছানিও! তিন দশকের ওয়ানডে-যাত্রায় বড় কোনো শিরোপার এতটা কাছাকাছি এই প্রথম বাংলাদেশ। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ হলেও এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ফাইনালও খেলেছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদ দিলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টেও সাফল্য আছে বাংলাদেশের। সেই সাফল্যের স্মৃতি রোমন্থন হোক এই আনন্দক্ষণে। 

আইসিসি ট্রফি-১৯৯৭
আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য, এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। `আইসিসি ট্রফি` নামের এ টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হতো শুধু সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে। ফাইনালে কেনিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ওই ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটযাত্রা বড় ধরনের গতি পায়। যার ধারাবাহিকতায় আসে টেস্ট স্ট্যাটাস এবং আজকের বাংলাদেশ  হয়ে ওঠা।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-১৯৯৯
তিনটি আসর পর বিশ্বকাপ আবারও ফিরে আসলো ইংল্যান্ডে। তবে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপকে মনে রাখে অন্য একটা কারণে। সেবারই যে প্রথম বিশ্বকাপের মত বড় আসরে অনশগ্রহন করে টাইগাররা।

প্রথম অংশগ্রহণে কিন্তু হতাশ করেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই খেলায় নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে তখনকার সতীর্থ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পায় প্রত্যাশিত জয়। আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে বাংলাদেশ। মিনহাজুল আবেদীনের অপরাজিত ৬৮ রান বাংলাদেশের ইনিংসটি টেনে নেয় অতদূর। এরপর স্কটল্যান্ডকে ১৬৩ রানে অলআউট করে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথম জয়।

দ্বিতীয় জয়টি আরো বিখ্যাত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজিত পাকিস্তানকে যে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ! নিজেরা ৯ উইকেট ২২৩ রান তোলার পর পাকিস্তানকে ১৬১ রানে অলআউট করে ৬২ রানের সেই ঐতিহাসিক জয়। ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেওয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০০৭
২০০৭ বিশ্বকাপে ক্রিকেটের বিস্ময় হয়ে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশার সুমনের দল। ভারতের ১৯১ রান তাড়া করার পথে তিনটি ফিফটি করেন তিন তরুণ। সে তিনজনই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় ভরসা- সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম।



গ্রুপের পর্বে ভারতের পাশাপাশি বারমুডাকে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় সুপার এইট পর্বে। এ পর্যায়ে বাংলাদেশ আবারও ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয়। শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস আর গ্রায়েম স্মিথদের দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যায় ৬৭ রানে। বাংলাদেশের ২৫১ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ১৮৪ রানে।



আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১
বিশ্বকাপ নিয়ে এবার অনেক আগে থেকেই আলোচনা শুরু হয়। লাহোরে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের উপর বোমা হামলার জের ধরে পাকিস্তান হারায় তাদের আয়োজক হওয়া যোগ্যতা। তাদের যে ১৪ টি ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল সেসব পরে ভাগাভাগি হয়ে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। মনোরম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠে বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা হয়ে আছে হতাশার এক ইতিহাস হয়ে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের দল। সমান ম্যাচ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও।



কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যথাক্রমে ৫৮ ও ৭৮ রানে অল আউট হওয়ার স্মৃতি। নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শেষ আটে চলে যায় ক্যারিবিয়রা।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫
শুধু ঘরের মাটিতে নয়, ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ যে বিদেশের প্রতিকূল কন্ডিশনেও যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে তা প্রমাণের বড় মঞ্চ ছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপ। সেই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান আর স্কটল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল কিউইদের বিপক্ষে। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরিতে ম্যাচে বেশ ভালোমতোই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরে যেতে হয়। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি।



কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় মাশরাফির দল। মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি আর শেষদিকে রুবেল হোসেনের পেসে ভর করে বাংলাদেশ জয় পায় ১৫ রানে, নিশ্চিত করে ফেলে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল। এ পর্যন্ত খেলা পাঁচ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। বাংলাদেশ যেভাবে খেলছিল, সেমিফাইনালও সম্ভব ছিল। কিন্তু কোয়ার্টারে ভারতের বিপক্ষে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষটা মনমতো না হলেও মাথা উঁচু করেই বিশ্বকাপ শেষ করেছিল মাশরাফির দল।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০১৭
এবারের আসরে বাংলাদেশ দল র‌্যাংকিংয়ের ছয় নম্বর দল হয়ে খেলতে নেমেছে ঠিকই; কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে যাবে- এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেনি। কিন্তু সেমিফাইনালে খেলাটা অসম্ভবও ছিল না। এই গ্রুপকে বলা হচ্ছিল `গ্রুপ অব ডেথ`।



এই গ্রুপ থেকে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েই সেমির পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। তবে বৃষ্টি নয়, বাংলাদেশ সেমিতে জায়গা করেছে নিজের কৃতিত্বেই। `এ` গ্রুপে ইংল্যান্ডের ৬ পয়েন্টের পর বাংলাদেশের পয়েন্ট। অজি আর কিউইদের অর্জন ছিল মোটে ২ আর ১ পয়েন্ট।

এই হচ্ছে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের ক্রিকেটের সাফল্যগাথা। আমরা পরাজয়ে মুষড়ে পড়ি না, তা থেকে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করি, ফিরে আসি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে।

আমরা কোটি সমর্থক বাংলাদেশের কাছে থেকে ভালো খেলাটা পেতে চাই। জয়টা আমাদের উপরি পাওনা। আর জয় কি সত্যিই কি আমাদের সমর্থনে ভাটা দেয়। বাংলাদেশ হারুক কিংবা জিতুক, এটা তো আমার বাংলাদেশ। জিতলে উল্লাসে ফেটে পড়ি আমরা। আর হেরে গেলে মন খারাপ হয়ে যায় আমাদের। কিন্তু তারপরেও আমরা টাইগারদের সাপোর্ট করা বন্ধ করি না, বরং আমরা পরাজয়ে ভুলে সামনে এগুবে টাইগাররা। কারণ এইটা তো আমার দেশ, আমার দেশের ছেলেরাই খেলছে। আর নিজের দেশকে না ভালবেসে কোথায় যাব আমারা। এ যে আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার প্রাণের বাংলা। ক্রিকেট-ফুটবল কিংবা অন্য যে কোন পর্যায়ে, যেখানেই বাংলাদেশ সেখানেই লাল-সবুজ পতাকা হাতে আমরা। খেলায় জয় যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি পরাজয়কেও মেনে নেওয়াটাও প্রকৃত সমর্থকের কাজ।


বাংলা ইন্সাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন