ইনসাইড গ্রাউন্ড

ট্রান্সফার উইন্ডো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

একবার করে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলে আর বিশ্ব ফুটবলের বড় ক্লাবগুলো টাকার থলে নিয়ে হাজির হয়। লক্ষ্য থাকে ফুটবলারদের সই করানো। ফুটবলারদের সই করাতে কোটি কোটি অর্থ খরচ করে ক্লাবগুলো। রোনালদো, মেসিরা তো রয়েছেনই দলবদলের এই ক্লাবযুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দর ওঠে বহু ফুটবলারেরই। সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসা পল পোগবাই হোক বা গনসালো ইগুয়াইন, এডেন হ্যাজার্ড। একবার দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারদের তালিকায় কারা রয়েছে।

ইংলিশরা ফুটবল আবিস্কারের পর মৌখিক ভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েই একজন খেলোয়াড় একটি দলের হয়ে খেলতে পারতেন। কিন্তু এরপর ১৮৮৫ সালে ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশন খেলোয়াড় দলবদলকে একটি নিয়মনীতির ভেতরে নিয়ে আসে। এরপরও অনেক বছর মৌখিক ভাবেই স্বীকৃতি নিয়ে খেলোয়াড়ের দাম পরিশোধ করে দলে নিয়ে খেলোয়াড় খেলানো যেত। কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করার পদ্ধতি চালু হয় ১৯৯৫ সালে। এরপর থেকেই চুক্তিপত্রে সইয়ের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে।

ইউরোপের কোনো ক্লাব দক্ষিণ আমেরিকার বা অন্য কোন মহাদেশের কোন দেশের ক্লাবের কাছ থেকে খেলোয়াড় কিনতে চাইলে দুই ক্লাবই ঠিক করে নিতে পারে যে তারা কীভাবে টাকা নিবে বা পরিশোধ করবে। এটি মূলত দুই পক্ষের নিজেদের মতামতের উপর ভিত্তি করে।

ট্রান্সফারের সময়
ইউরোপিয়ান ফুটবলে মূলত দুই সময়ে খেলোয়াড় কেনাবেচা হয়। প্রথমবার নতুন মৌসুম শুরু আগে যা সাধারণত ১২ সপ্তাহের। এবং পরেরটি ৪ সপ্তাহের, সেটা হয় হচ্ছে অর্ধ মৌসুম শেষ হবার পর।

১৯৯০ এর দিকে খেলোয়াড় কেনাবেচার ব্যাপারটি বেশ ভাল ভাবে শুরু করার তাগিদ দিলেও ইউরোপীয়ও ইউনিয়ন সেটি বাস্তবায়ন করে ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে। এটা মূলত প্রথমে অফিসিয়াল ভাবে শুধু ইংল্যান্ডেই চালু করা হয়।

ইউরোপের সব বড় বড় ফুটবল লিগে ট্র্যান্সফার উইন্ডো মূলত শুরু হয় জুলাইয়ে এবং শেষ হয় আগস্টের শেষ দিন। অন্যদিকে মৌসুমের মাঝামাঝিতে এসে জানুয়ারি মাসে শুধু একমাসের জন্য আবারও খেলোয়াড় কেনার বা বিক্রির সেই সুযোগ করে দেওয়া হয়।

আবহাওয়া বা অন্য অনেক কারণেই আমেরিকা এবং কানাডায় ট্র্যান্সফার উইন্ডো শুরু হয় মার্চ মাসের এক তারিখ থেকে এবং শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। আবার আগস্টের ১-৩১ তারিখ পর্যন্ত মৌসুমে খেলোয়াড় কেনবেচার জন্য ট্র্যান্সফার উইন্ডো খোলা থাকে।

ইংল্যান্ডে মূলত ট্র্যান্সফার উইন্ডো শুরু হয় ৯ জুন। কিন্তু অনেক খেলোয়াড়ের দলবদল ১ জুলাইয়ের আগে সম্ভব হয়না কারণ অনেক খেলোয়াড়ের চুক্তিই শেষ হয় ৩০ জুন।

ট্র্যান্সফার উইন্ডোর শেষদিনকে ডেডলাইন ডে বলা হয়। ২০০৮ সালে সেটা একদিন বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয় কিছু ব্যাবসায়িক কারণে। যাদের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাদের ট্র্যান্সফার উইন্ডো চলা কালীন যখন ইচ্ছে দলে ভেড়ানো যায়। দলবদলের প্রথম ভাগে নভেম্বরের ৪র্থ সপ্তাহে শেষ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়ভাগে মার্চের ৪র্থ সপ্তাহে শেষ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দলে ভেড়ানো যায়। লোনে থাকা খেলোয়াড়দেরকে সিজনের যে কোন সময়েই পাকাপাকি ভাবে দলে নিয়ে নেয়া যায়, এমনকি ট্রান্সফার উইন্ডো খোলা না থাকলেও সেটি করা যায়।

ক্লাবগুলো কীভাবে এত টাকা খরচ করে?
বিগত কয়েক মৌসুম ধরে ট্রান্সফার উইন্ডোতে ফুটবলারদের ট্রান্সফার ফি হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী। অথচ কিছুদিন আগেও ফুটবলারদের দলবদলে এত টাকা ঢালার কথা চিন্তা করাও যেত না । কিন্তু বর্তমানে পছন্দের খেলোয়াড়কে দলে টানার ক্ষেত্রে টাকা ঢালতে কোনো কার্পণ্য করে না ক্লাবগুলো। তাই তো ২০০১ সালে জিনেদিন জিদানের ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফি এর বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে যেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮ বছর , যা ভেঙেছিল ২০০৯ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ৯৪ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফি`র মাধ্যমে। কিন্তু এই রেকর্ড ৭ বছরের মধ্যেই দুবার হাতবদল হয়েছে । একবার হয়েছে ২০১৩ সালে গ্যারেথ বেলের ১০০ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফারের মাধ্যমে, আর সর্বশেষ হয়েছে ২০১৬ সালে পল পগবার ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর দলবদলের দ্বারা।  ট্রান্সফার মার্কেটে এই টাকার বর্ষণ কখনো প্রশংসার আবার কখনো হাস্যকর। আবার কখনোবা বিতর্কিত।

খুব কম ম্যানেজারই আছেন যারা নিজে তাদের পছন্দের খেলোয়াড়কে মানিয়ে নিজেদের দলে টানতে পারেন। দলবদলের ক্ষেত্রে ক্লাবের মালিক ও প্রেসিডেন্টই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কারণ প্রসিডেন্টই  ম্যানেজারকে মুক্তহাতে দলবদলে টাকা ঢালার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন। তাছাড়া দলে খেলোয়াড় টানার সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা তার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।

কিন্তু দর্শকদের কাছে অবাক করা ব্যাপার হলো প্রতি বছরই বিভিন্ন বড় ক্লাবের ঋণগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারটা, তার চেয়েও বড় অবাক করা ব্যাপারটি হলো ঋণের অঙ্কটা। কিন্তু প্রতি বছরই ক্লাবগুলোর বড় অঙ্কের দলবদল তাদের ঋণগ্রস্ত হবার ব্যাপারটি ঠিক তুলে ধরতে পারে না। তবে ঋণগ্রস্ত হবার পরেও ক্লাবগুলোর বড় বড় অঙ্কের দলবদল কখনো ক্লাবের ভক্তকুল এবং বিশাল ব্র্যান্ড ইমেজ কখনো কোন প্রকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় না, কারণ এখানে শর্তহীন ঋণের একটা ব্যাপার আছে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে – শর্তহীন ঋণ জিনিসটা কি? একটি ক্লাবের আয়ের বিভিন্ন উৎস থাকে।  তবে কেবল ৩টি জিনিসই আছে যা তাদের আয়ের অঙ্ক রাতারাতি বড় করতে পারে। ট্রান্সফার ফি, টিকেট স্বত্ব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিভি স্বত্ব। এগুলোই মূলত একটি ফুটবল ক্লাবের আয়ের প্রধান চালিকাশক্তি। কিন্তু আয়ের এত এত উৎস থাকার পরেও ফুটবল ক্লাবগুলো প্রতি বছরই ঋণগ্রস্ত হচ্ছে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড , রিয়াল মাদ্রিদের মত বড় বড় ক্লাবগুলো রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। কিন্তু প্রতি বছরেই দলবদলের বাজারে খরচের দিক দিয়ে তারাই আবার অন্য ক্লাবগুলোর তুলনায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকে। এখানেই শর্তহীন ঋণের ব্যাপারটি জড়িত, যা ঋণগ্রস্ত হবার পরেও ক্লাবগুলোর বড় অঙ্কের সাইনিং এ মূখ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু কেবলমাত্র বড় বড় ক্লাবগুলোই পারে এক্ষেত্রে শর্তহীন ঋণদাতাদের প্রলোভন দেখাতে।

প্রথমত এ ধরনের অর্থায়নের  জন্যে দুইটি উপায় আছে, একটি হলো ন্যায্যতা বা সম্যভাব এবং অন্যটি হলো শর্তহীন ঋণ। ন্যায্যতা বা সম্যভাবের ক্ষেত্রে যেসব ক্লাবে বিনিয়োগকারীরা অর্থ ঢালছে, সেক্ষেত্রে একটু ঝুঁকিই নিতে হয়। অন্যদিকে শর্তহীন ঋণের ক্ষেত্রে সোজাসাপ্টা ঋণদান এবং সুদ বা মুনাফার ক্ষেত্রে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা হয়। এখানে ক্লাবগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ঋণ পরিশোধের চুক্তিতে ঋণগ্রহণ করে থাকে। এখন আরেকটি প্রশ্ন হতে পারে যে বড় ক্লাবগুলো কেন সহজেই বিনিয়োগকারী ও ঋণগ্রহীতাদের এ ধরণের লেনদেনে আগ্রহী করে তুলতে পারে ?

ব্যাংক বা ফার্ম বা যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরণের লেনদেন করে থাকে, বিভিন্ন ক্লাবকে ঋণদানের ব্যাপারে তাদের কঠোর নীতি অবলম্বন করতে হয়। ঋণদানের ক্ষেত্রে তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ক্লাবকেই প্রাধান্য দেয়। রিয়াল মাদ্রিদ আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবগুলোর আর্থিক অবস্থান এমন পর্যায়ে পৌছেছে, যেখানে তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বড় অঙ্কের অর্থ ঋণ নিয়েও মুনাফাসহ ঋণ নেওয়া অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকে। ক্লাবগুলোর এ ধরণের লেনদেনে বড় ভূমিকা রাখে সেই ক্লাবের ফ্যানবেস। বলতে গেলে ক্লাবের প্রতি সদা অনুগত ভক্তরাই ক্লাবের এ ধরণের আর্থিক লেনদেন সহজ করে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কথা। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অবসরের পর টানা ৩ মৌসুম তেমন কোন বড় সাফল্য অর্জন করতে পারেনি রেড ডেভিলরা। কিন্তু প্রতি বছরই তারা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান ছিল।

এটি ভাবার কারণ নেই যে ক্লাব নিজের দক্ষতাতেই লাভের মুখ দেখেছে। বরং ম্যানইউর ফ্যানবেসই ক্লাবের ব্র্যান্ডে পরিণত হয়ে ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছলতায় প্রধান ভূমিকা রেখেছে। বিনিয়োগকারীরা এ ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত ও আত্মবিশ্বাসী যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত ক্লাব কখনোই কোনো কারণে বিশেষ করে আর্থিক দিক থেকে অসম্মানের শিকার হবে না। একই কথা প্রযোজ্য রিয়াল মাদ্রিদের ক্ষেত্রেও। মূলকথা হলো বড় অঙ্কের ঋণ নিলেও বড় বড় ক্লাবগুলো যেকোন মূল্যে ঋণ পরিশোধে সক্ষম। মূলত এ কারণেই বিনিয়োগকারীরা শর্তহীন ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে বড় ক্লাবগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

ক্লাবগুলোর আয়ের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় উৎস হলো মার্চেন্ডাইস বা পণ্য। এদিক দিয়েও ক্লাবগুলো ঋণগ্রস্ত হয়েও সহজেই আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদ যেমন কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের নামাঙ্কিত জার্সি বিক্রির মাধ্যমেই অল্প সময়েই তাদের দলে টানতে ব্যয় হওয়া রেকর্ড ট্রান্সফার ফি`র অর্থ উঠিয়ে নিয়েছে এবং তা ক্লাবের ও ব্র্যান্ডের আর্থিক সমৃদ্ধিতেও ভূমিকা রেখেছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাপট দেখিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের দৃঢ়তায় ১২৫ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের। লিটনের সাথে ইনিংসের শুরুর সুযোগ পান তিনি। তবে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের সময় ব্যক্তিগত একরানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দেন তামিম। অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকটাও।

যদিও তামিমের অর্ধশতক এসেছে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে। ৫০ পৌঁছাতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৩৬ বল। অর্ধশতক করার পথে দুই ছক্কা ও ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ‍দুইটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে এই রান করেন।

লিটন দাসের মতো এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে মাত্র ২১ রান করে জঙ্গির বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। শুরুতে স্লো স্ট্রাইকিংয়ে ব্যাটিং করায় দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার কারণে ডিএল মেথডে হারের শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি থামার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগে, চট্টগ্রামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও চার মেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ওভারে ৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তার দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দিয়েছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রানও।

তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুইটি ছক্কা ও দুইটি চার মারেন মাসাকাদজা।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী পান দুই উইকেট। তবে ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান করে। তবে থেকেছেন উইকেটশূন্য।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন