ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষের লড়াইয়ে কে হবে চ্যাম্পিয়ন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ৩০ জুন, ২০২০


Thumbnail

লা লিগার চলতি মৌসুমে টেবিলের শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াই জমে উঠেছে। করোনার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মাঝে চলছে দারুণ এই দ্বৈরথ। দুই দলের প্রতিটি ম্যাচেই শীর্ষস্থানের হাত-বদল হচ্ছে। তবে লা লিগায় চলতি মৌসুম এখন অন্তিম পর্বে পা দিচ্ছে। আর মাত্র ৬ ম্যাচ করে বাকি রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার। ৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে আপাতত শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দুই দলের সামনেই লিগের শেষভাগে রয়েছে কঠিন, চ্যালেঞ্জিং কিছু ম্যাচ। আর শেষ ৬ ম্যাচের পরিণতিই ঠিক করে দিবে চলতি মৌসুমের শিরোপা ভাগ্য।

বাকি ছয় ম্যাচের প্রতিপক্ষের নামগুলো দেখে নেওয়া যাক -

বার্সার প্রতিপক্ষ

রিয়ালের প্রতিপক্ষ

অ্যাটলেটিকো

গেতাফে

ভিয়ারিয়াল

বিলবাও

এসপানিওল

আলাভেস

ভায়াদোলিদ

গ্রানাদা

ওসাসুনা

ভিয়ারিয়াল

আলাভেস

লেগানেস

করোনাভাইরাসের কারণে এখন ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয় বলে এক ভ্রমণক্লান্তি ছাড়া হোম বা অ্যাওয়ে ম্যাচে হয়তো তেমন পার্থক্য নেই। তবু দুই দলেরই তিনটি ম্যাচ নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। বার্সার ঘরের মাঠে ম্যাচ তিনটি অ্যাটলেটিকো, এসপানিওল ও ওসাসুনার বিপক্ষে। যেতে হবে ভিয়ারিয়াল, ভায়াদোলিদ ও আলাভেসের মাঠে। আর রিয়াল ঘরের মাঠে আতিথ্য দেবে গেতাফে, আলাভেস ও ভিয়ারিয়ালকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ তিনটি – বিলবাও, গ্রানাদা ও লেগানেস।

কাগজে-কলমে হয়তো বার্সেলোনার পরের তিনটি ম্যাচই বেশি কঠিন মনে হবে। আজ রাতে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে খেলবে বার্সা। পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরে থাকা ডিয়েগো সিমিওনের দলের বিপক্ষে ম্যাচটাই লিখে দিতে পারে বার্সার শিরোপাভাগ্যের উপসংহার। বাকি ছয় ম্যাচের মধ্যে কাগজে-কলমে এই ম্যাচেই যে বার্সার পয়েন্ট হারানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এরপর মেসিরা যাবেন পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা ভিয়ারিয়ালের মাঠে। তারপর প্রতিপক্ষ হয়ে আসবে এসপানিওল – লিগের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকলেও যারা বার্সেলোনার নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ডার্বির একটা উত্তেজনা থাকবেই! ভায়াদোলিদ (১৪তম), ওসাসুনা (১১) ও আলাভেস (১৬) – বার্সার বাকি তিন প্রতিপক্ষই অবশ্য পয়েন্ট তালিকার দশের নিচে।

রিয়ালের জন্য কাজটাও অবশ্য মোটেও সহজ নয়। বাকি ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই যে প্রতিপক্ষ এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার দশের মধ্যে। বৃহস্পতিবার রিয়াল খেলবে এই মৌসুমে চমক দেখানো গেতাফের (পয়েন্ট তালিকায় ৬-এ) বিপক্ষে, এরপর জিদানের দল যাবে ৯-এ থাকা বিলবাওয়ের মাঠে। কঠিন এই দুই পরীক্ষা পার হওয়ার পর রিয়ালের অপেক্ষায় বাকি চার দলের মধ্যে ভিয়ারিয়াল আছে পয়েন্ট তালিকার ৫-এ, গ্রানাদা ১০-এ। আলাভেস (১৬) ও লেগানেসই (১৯) শুধু নিচের দশ দলের মধ্যে।

ফর্মের বিচারে রিয়াল-বার্সা দুই দলেরই পরীক্ষা নিতে পারে ভিয়ারিয়াল। করোনা বিরতি কাটিয়ে ফেরার পর ৫ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে ইয়োলো সাবমেরিনরা, ড্র করেছে শুধু সেভিয়ার সঙ্গে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য রিয়ালকে ঘিরেই শঙ্কা জাগাবে বেশি। ইয়োলো সাবমেরিনদের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে রিয়ালের জয় শুধু ১ ম্যাচে, হেরেছে ১ ম্যাচে, বাকি ৩টি ড্র। মজার ব্যাপার, ৩টি ড্র-ই ২-২ গোলে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বার্সার পরিসংখ্যান? ৪ জয়, ১ ড্র! জিদানের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ভিয়ারিয়াল।

বার্সার জন্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যে বড় পরীক্ষা তা তো আর বলার দরকার হয় না, ডিয়েগো সিমিওনের দলের ফর্মও দারুণ। এই মৌসুমে অনেকটা সময় ফর্মে উত্থান-পতন দেখা অ্যাটলেটিকো করোনার বিরতি থেকে ফেরার পর প্রথম ম্যাচে বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও পরের চারটি ম্যাচেই জিতেছে। বার্সার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য অ্যাটলেটিকোর রেকর্ড রিয়ালকে খুব একটা আশা দেখাবে না। গত ডিসেম্বরে এই অ্যাটলেটিকোর কাছেই হেরে বার্সা সুপারকাপ থেকে বাদ পড়েছে বটে, যা শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে বার্সার সে সময়কার কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের চাকরি। তবে লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বার্সার বিপক্ষে ৩ বারই হেরেছে সিমিওনের দল, বাকি ২ ম্যাচ ড্র।

অন্যদিকে রিয়ালের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে রিয়াল-বার্সার পাশাপাশি স্প্যানিশ লিগের ঐতিহ্যবাহী আরেক দল অ্যাথলেটিক বিলবাও। লিগে দুই দলের মুখোমুখি সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ড তা-ই বলে। এই ৫ ম্যাচে রিয়ালের জয় কেবল ১টি, বাকি ৪টি ম্যাচই ড্র! বিলবাওয়ের ফর্মও খুব একটা মন্দ নয়। করোনা বিরতির পর ৫ ম্যাচের মধ্যে বাস্ক অঞ্চলের ক্লাবটি হেরেছে শুধু বার্সেলোনার কাছে (১-০), বাকি চার ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ২টি, ড্র ২টি।

অর্থাৎ কাগজে-কলমে খুব বেশি পার্থক্য নেই রিয়াল-বার্সার সামনের ম্যাচগুলোর মাঝে। তবে কাগজে-কলমের হিসেব বাদেও যেকোন কিছু ঘটতে পারে ৯০ মিনিটের ফুটবলে। সেক্ষেত্রে জিদানের একটা সন্তুষ্টি থাকবে। করোনার বিরতির পর রিয়াল যেখানে সব ম্যাচই জিতেছে, বার্সেলোনা ধুঁকছে। কোচের সঙ্গেও বার্সার খেলোয়াড়দের বনছে না বলে গুঞ্জন ভাসছে বাতাসে। ফলে টানা তৃতীয়বার শিরোপা জয়ে বার্সাকে যেখানে খেলতে হবে অসাধারণ ফুটবল, সেক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কোন রকমের ভুল করা যাবেনা রিয়ালের।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চট্টগ্র্রামে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ছয় উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।

রোববার (৫ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ২৩ রান এবং হৃদয়ের ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন লুক জঙ্গি। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাভা এবং এনডলোভু নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪ বলে ২ রান করে মুরামানি আউট হলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৮ বলে ৩ রান করে রিশাদের প্রথম শিকার হন রোডেশিয়ানদের দলপতি। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গে দেন মানদান্দে।

এরপর ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিষিক্ত জনাথন ক্যামফেল। ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত বেনেটের ২৯ বলের হার না মানা ৪৪ রানে ভর করে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, মাহেদী হাসান এবং সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লড়াকু পুঁজি জিম্বাবুয়ের, লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।

রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা খেল বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।

তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।

কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।

রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন