নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২০
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বে সেই ম্যাচে বেশ কয়েকটি রেকর্ডের জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত খারাপভাবেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর নানা ঘটনার সাক্ষী হতে হতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১০ অধিনায়কের অধীনে ১১৫ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। ১১৫টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৩ ম্যাচে। হেরেছে ৮৬ টিতে। আর ড্র-তে শেষ হয়েছে ১৬ ম্যাচ। পরিসংখ্যানই বলে দেয় টেস্ট ক্রিকেটে কতটা দূর্বল বাংলাদেশ।
তবে এরপরেও সময়ের ব্যবধানে এমন কিছু ক্রিকেটার এসেছে যারা সাদা পোশাকের জন্যে প্রস্তুত ছিলেন, দলের অন্য সদস্যদের থেকে একটু সাহায্য পেলে হয়তো দলের সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাটাও ভারী হতে পারতো। তবে এই ২০ বছরের পথচলায় টাইগার ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা একাদশ গড়লে কারা সুযোগ পেত? চলুন দেখে নেওয়া যাক-
জাভেদ ওমার বেলিম
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সুযোগ না পেলেও ২০০১ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ের অপর নাম হয়ে থাকবে জাভেদ ওমার বেলিম গুল্লুর নাম। সংযমী ব্যাটিংয়ের কারণে সবসময় নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন জাভেদ ওমার বেলিম। আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রাখতেন তিনি। অভিষেক টেস্টেই ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার কীর্তি আছে তার ঝুলিতে।
তামিম ইকবাল খান
কোন ধরনের প্রশ্ন ছাড়াই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল খান। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি টোয়েন্টি যেকোন ধরনের ক্রিকেটেই তামিম ইকবাল খানকে ছাড়া একাদশ হবে না। এখন পর্যন্ত ৬০ টেস্ট খেলে তামিমের রান প্রায় সাড়ে চার হাজার। এর মধ্যে ৯ টি শতক ছাড়াও রয়েছে একটি দ্বিশতক।
হাবিবুল বাশার
সেই অভিষেক টেস্ট থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। নামের পাশে হয়ত খুব বেশি শতক নেই। তবে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ তাকে ছাড়া কখনই পূর্ণ হবে না। ক্যারিয়ারে খেলেছেন অর্ধশত টেস্ট, রান করেছেন ৩ হাজারের মতো।
মুমিনুল হক/আমিনুল ইসলাম বুলবুল
এই একাদশ গড়তে সবচেয়ে কঠিনতম সিদ্ধান্ত। অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান নাকি অভিষেকের পর থেকে টানা ১৩ টেস্টে ফিটি প্লাস ইনিংস খেলা কেউ? আমরা বেছে নিয়েছি মুমিনুল হককেই। কারণ আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ঝুলিতে ওই একটাই সেঞ্চুরি। ১৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে মাত্র ৫৩০ রান আর গড় ২১! এমন কাউকে নিতে গিয়ে আপনি মুমিনুল হককে বাদ দিতে পারেন না। যেখানে মুমিনুলের রয়েছে ৪ টি শতক ও ৫০ ছুঁই ছুঁই গড়।
মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক এবং উইকেট রক্ষক)
বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশে কে হবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। উইকেটের পেছনের দক্ষতায় খালেদ মাসুদ পাইলট এগিয়ে থাকলেও ব্যাটিং দক্ষতায় মুশফিকুর রহিম অনেক অনেক এগিয়ে। তাই পাইলটকে ছাপিয়ে দলে সুযোগ পেয়েছেন মুশফিকুর রহিমই। আর সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বে মুশফিকের ধারেকাছে কেউ নেই। মুশফিকের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ৭ টি জয় পায় বাংলাদেশ। এছাড়াও ব্যাটসম্যান মুশফিকের ৭ টি শতকের পাশে রয়েছে ৩ টি দ্বিশতক!
মোহাম্মদ আশরাফুল
অভিষেক টেস্টেই সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান করা আশরাফুলকে ছাড়াও টেস্ট দল হতে পারে না। যে কোন উইকেটেই প্রতিপক্ষের উপর কাউন্টার অ্যাটাকে আশরাফুল ছিলেন অনন্য। ৬১ টেস্ট খেলা আশরাফুলের গড় খারাপ হলেও শতক করেছেন ৬ টি, সর্বোচ্চ শ্রীলঙ্কায় ১৯৮।
সাকিব আল হাসান
তামিম ইকবালের সাথে অপর আরেকজন ক্রিকেটার আছেন যিনি বাংলাদেশের যেকোন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অটোমেটিক চয়েজ। তাই সাকিবের জন্য দলে থাকাটা অবধারিতই। ৫৬ টেস্ট খেলা সাকিবের গড় ৪০ ছুঁইছুঁই, শতক সংখ্যা ৫, দ্বিশতক ১। এছাড়া বল হাতে ২১০ টি উইকেট রয়েছে সাকিবের। যেখানে সেরা পারফরমেন্স ৩৬ রানে ৭ উইকেট!
মোহাম্মদ রফিক
নিসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার। সাথে যোগ করুন তাঁর ব্যাটিং। ৯ নম্বর পজিশনেও সেঞ্চুরি আছে তাঁর। যে কারণে স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক জুনিয়র কিংবা হালের মেহেদি হাসান মিরাজদের ছাপিয়ে তিনিই সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের সর্কালের সেরা টেস্ট দলে।
মাশরাফি বিন মর্তুজা
ফিট মাশরাফির জন্য বাংলাদেশের যেকোন ধরনের ক্রিকেটেই প্রথম পেসার এর জায়গাটা অবধারিত। তাই তাকে ছাড়াও টেস্ট দল সম্পূর্ণ হতে পারে না। ইনজুরি সমস্যা না থাকলে পরিসংখ্যানটা আরো পক্ষে থাকতো। তবে এরপরেও ৩৭ টেস্ট খেলে ৭৮ টি উইকেট রয়েছে মাশরাফির নামের পাশে।
শাহাদাত হোসেন
দেশের মাটিতে খেলা হলে শাহাদাতের জায়গায় সুযোগ পাবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু একাদশ গঠনে বিবেচনা করা হয়েছে দেশ এবং দেশের বাইরের কন্ডিশন। তাই ৩ পেসার নিয়ে দল গঠন করায় মাশরাফির সাথে দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ৩৮ টেস্টে শাহাদাতের উইকেট সংখ্যা ৭২ টি, পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৪ বার। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর ইনজুরি না থাকলে সাদা পোশাকে শাহাদাতও হতে পারতেন ভরসার নাম।
মোস্তাফিজুর রহমান
টেস্ট অভিষেকের পাঁচ বছরে খেলেছেন মাত্র ১৩ টেস্ট। এর মধ্যে তিনি প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ দলে তার অপরিহার্যতা। মোস্তাফিজুরকে ছাড়া টাইগার একাদশের পেস আক্রমণ অনেকটাই দূর্বল হয়ে যায়। বল হাতে উইকেট সংখ্যা মাত্র ২৮টি। তবে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ টেস্ট দলের আশার নাম হতে পারেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।
রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।
ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।
তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।
কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।
রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।
আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।
শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।
তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।
মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।
গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।
এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।