ইনসাইড গ্রাউন্ড

শত্রু যখন বন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

আজ বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে বন্ধু দিবস। যদিও বন্ধুত্ব উদযাপনের কোন আলাদা দিবসের প্রয়োজন নেই, তবুও প্রতি বছর আগস্টের প্রথম রবিবারে পালিত হয় এই দিনটি। আর বন্ধু দিবসে সারা বিশ্বের অন্য সব বন্ধুত্বের মতো উঠে আসে ক্রীড়াঙ্গনের কিছু ব্যতিক্রমী বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্ব দেশ-কাল-জাতের দুরত্ব ছাপিয়ে গেছে, যে বন্ধুত্ব চিরশত্রুকেও পরম মমতায় আলিঙ্গন করেছে। জাতীয়তা তাঁদেরকে প্রতিপক্ষ বানালেও বন্ধুত্ব তাঁদেরকে একত্রিত করেছে। মাঠে যে চরম প্রতিপক্ষ, যার পরাজয়ই আপনার আনন্দের একমাত্র কারণ, সেই যদি মাঠের বাইরে আপনার সবথেকে ভালো বন্ধু হয় তাহলে কেমন হবে ব্যাপারটি? ক্রীড়াঙ্গনে এমন উদাহরণ রয়েছে বেশকিছু। বন্ধু দিবসে সেই ব্যতিক্রমী সব বন্ধুত্ব নিয়েই ‘বাংলা ইনসাইডার’-এর বিশেষ আয়োজন।

নাদাল-ফেদেরার

একই ক্রীড়াঙ্গনের একই সময়ের অন্যতম সেরা দুই খেলোয়াড়ের মাঝে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই সম্পর্কের আরো অবনতি হবে যখন এরাই একে অন্যের সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ। তবে কথাটাকে ভুল প্রমাণিত করেছে দুই টেনিস কিংবদন্তী রাফায়েল নাদাল এবং রজার ফেদেরার। টেনিস কোর্টে কে সর্বকালের সেরা তা নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক থাকলেও কোর্টের বাইরে একে অন্যের বেশ ভালো বন্ধু এরা। নানান সময়ে একে অপরের প্রশংসা শোনা গেছে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। ক্যারিয়ার শেষেও এই বন্ধুত্ব বহুদূর যাবে বলেই ধারণা অনেকের।

মেসি-নেইমার

দুইজন এমন দুই দেশের হয়ে খেলেন যাঁদের শত্রু-শত্রু সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে চলমান। ফুটবলের তর্ক আসলেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকরা একে অন্যকে এক চুল-ও যেখানে ছাড় দেয়না, সেখানে দুই দেশের দুই তারকার বন্ধুত্ব বেশ জনপ্রিয় ক্রীড়াঙ্গনে। বার্সেলোনায় থাকাকালীন মেসি-নেইমার জুটি এতটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল যে, সেই সময়ে প্রতিপক্ষের জালে বল গড়ানোটাকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেছিল বার্সা। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেসিকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে দাবি করেছিলেন নেইমার। এরপর হুট করে নেইমার বার্সা ছাড়লেও বন্ধুত্ব আগের মতোই আছে। নানান সময়ে নানা পার্টিতে বা অবসর যাপনে এখনো একসাথে দেখা যায় মেসি-নেইমারকে। নেইমারকে বার্সায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও কম কাঠখড় পোড়ায়নি মেসি। অবশ্য তাতে এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেননি ৬ বারের ব্যালনজয়ী।

কোহলি-আমির

২০১০ সালে ম্যাচ ফিক্সিং করে নিজের ক্যারিয়ারকে কলঙ্কিত করলেও বল হাতে নিজের মুগ্ধতা ছড়ানো থামাননি মোহাম্মদ আমির। তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই পেসার নানান সময়ে বেশ ভুগিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং চিরশত্রু ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে, আবার কোহলিও ভুগিয়েছেন আমিরকে। এশিয়া কাপে যেমন আমিরের উপর স্টিম রোলার চালিয়েছিলেন কোহলি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তেমনি কোহলির উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন আমির। তবে মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন এই দুই ক্রিকেটার। মাঠের বাইরে একে অন্যকে সমীহ করেছেন কয়েকবার। নিজের ক্যারিয়ারে সবথেকে কঠিন বোলার হিসেবে যেমন আমিরের নাম নিয়েছেন কোহলি, আমিরও তেমনি বিরাটকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ভারত-পাকিস্তানের কাঁটাতারের ব্যবধান মিটিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজের ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন আমিরকে।

শচীন-ওয়ার্ন

শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেটের নিখাদ ভদ্রলোক হলেও ২২ গজে সবসময়েই ব্যাড বয়ের ভূমিকায় থাকতেন অজি কিংবদন্তী স্পিনার শেন ওয়ার্ন। প্রতিপক্ষ তাঁর বলকে সীমানা ছাড়া করলে তীব্র ভাষায় কটূক্তি করতেন ওয়ার্ন। শচীনের বেলাতেও হয়েছে। আর তাই শচীন-ওয়ার্ন লড়াই বেহ উপভোগ্য ছিল ভারত-অস্ট্রলিয়া ম্যাচে। অনেকের ধারণা এই দ্বৈরথের কারণেই জমে ওঠা শুরু করে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ। অবশ্য ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে দ্বৈরথ ভুলে ভালো বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিলেন শচীন-ওয়ার্ন। একাধিক সময়ে একসাথে সময় কাটানো বাদেও স্যার ডোনাল্ড ব্রাডম্যানের জন্মদিন পালন কিংবা বিভিন্ন ক্রিকেটীয় আয়োজনে একসাথে অংশ নিয়েছেন এই দুই কিংবদন্তী। এমনকি শচীনের মুম্বাইয়ের বাসায় গিয়ে শচীনের পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন ওয়ার্ন।

শেওয়াগ-শোয়েব

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো আরেকটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার আর বিরেন্দর শেওয়াগের বন্ধুত্ব। খেলোয়াড় জীবনে শেওয়াগ-শোয়েব দ্বৈরথ ছিল উত্তেজনাকর, আকর্ষণীয়। এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ছিল ইঁদুর-বিড়াল সম্পর্ক। কখনো শোয়েব বাউন্সার দিলে শেওয়াগ আপার কাট করে দিতো, আর শেওয়াগ মারকুটে হওয়ার চেষ্টা করলে শোয়েব আগুনে গতির ইয়োর্কার মারতেন। এছাড়াও মাঠে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তো ছিল রোজকার ঘটনা। এই দুই ক্রিকেটারের মাঝে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সম্ভব তাই ছিল কল্পনাতীত। তবে ক্যারিয়ার শেষে সেটাকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন তাঁরা। অবসরের পর প্রীতি ম্যাচে শচীনের দল অলস্টারের হয়ে একসাথে খেলেছেন শোয়েব-শেওয়াগ, তখন শোয়েব স্বীকার করেছেন যে, শেওয়াগ তাঁর এককালীন চরম শত্রু হলেও এখন শেওয়াগ তাঁর গ্রেটেস্ট ফ্রেন্ড!

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রাখলেন সিকান্দার রাজা

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।


সিকান্দার রেজা   জিম্বাবুয়ে   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন