নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাকে যে দলে পরিণত করেছিলো পেপ গার্দিওলা তা দেখে ফুটবলের বিশেষজ্ঞরা বলেছিল, বার্সেলোনার এই দলই সর্বকালের সেরা দল। সে সময় গার্দিওলার অধীনে বার্সেলোনায় ছিল ট্রফির ছড়াছড়ি। তখন বার্সেলোনা অর্জন করেছিলো ১৪ টি ট্রফি। তবে সময়ের সাথে সাথে দল থেকে চলে যেতে থাকে সব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা। শেষবার ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বার্সেলোনা। তারপর আর ইউরোপিয়ান মঞ্চে তাদের শক্তি দেখাতে পারেনি ব্লুগ্রানাররা। আর গত পাঁচ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো কোন বড় দলের সাথে খেলা হলেই পরাজয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।
গত পাঁচ মৌসুমে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের বেশি যেতে পারেনি। বার্সেলোনা ২০১৬ থেকে ২০২০ সালে বার্সার প্রতিপক্ষ ছিল যথাক্রমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, রোমা, লিভারপুল এবং বায়ার্ন মিউনিখ। আর প্রতিবারই হার দেখেছে বার্সেলোনা। বড় দলদের সাথে খেলা হলেই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। তা নিজ মাঠেই হোক অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে। আর গত পাঁচ মৌসুমের মতো এবারও রাউন্ড অফ ১৬ তে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি-কে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বার্সা। এরই মাঝে প্রথম লেগে নিজ মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বড় দলের সাথে খেলা হলেই কেন তাদের বাধা পাড় করতে পারছেনা মেসি-পিকেরা?
অন্যদিকে গত কয়েক মৌসুমে দল ছেড়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ অনেক খেলোয়াড়। সুয়ারেজ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে, ভিডাল ইন্টার মিলানে তাদের মধ্যে অন্যতম। যার ফলে নতুনরা তাদের অভাব পূরণ করতে পারছেনা। অন্যদিকে দলের সর্বকালের সেরা প্লেয়ার মেসিও পারছেন না দলকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে এই মৌসুমে লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে হারের ফলে। এছাড়াও টেবিলের তলানিতে থাকা দলের সাথেও পয়েন্ট হারাচ্ছে নিয়মিত। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে চাবি, ইনিয়াস্তা, সুয়ারেজ, নেইমার, ভিডালদের অভাব গত ৫-৭ বছরে বার্সেলোনা এখনও পূরণ করতে পারেনি।
এখন কথা হচ্ছে, ইউরোপে বার্সা এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসবে কিভাবে? অন্যদিকে গুঞ্জন চলছে, মেসি হয়তো এই সিজন পর ক্লাব ছাড়তে পারে। তখন কি হবে বার্সেলোনার? একদিকে তো দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব, অন্যদিকে যে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে তারাও যদি দল ছেড়ে অন্য দলে চুক্তি করে তবে বার্সার ভবিষ্যৎ কি দাঁড়াবে? তবে ইতিবাচক কথা হচ্ছে, এখন বার্সেলোনার যে তরুণ দল নিয়ে এগোচ্ছে তা কিন্তু ভবিষ্যতে শুভ বার্তা দিবে এটা সবাই জানে। তবে বর্তমানে বার্সেলোনার যে নাজেহাল অবস্থা, তা থেকে সেরে উঠতে যে বেশ কিছু বছর সময় লাগবে তা সবারই জানা।
মন্তব্য করুন
আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে মেনত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন মেনোত্তি। সান্তোসের হয়ে ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গেও খেলেছেন মেনত্তি।
লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন মেনোত্তি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এ স্ট্রাইকার খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে দুটি দেশের জাতীয় দলের এবং ১১টি ক্লাবের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৪ সালে আর্জেন্টিনাকে কোচিংয়ের দায়িত্ব পান তিনি। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত নিজ দেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও ছিলেন এক বছর।
কোচ মেনোত্তি ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায় মেনোত্তির হাত ধরেই।
সিজার লুইস মেনত্তি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।
সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।
তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।
কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।
সিজার লুইস মেন্তি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো
কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮
সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ
খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি
ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত
ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও
ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ
শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০
দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।
এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ
প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ
আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল
স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের
ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের
মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবল সিজার লুইস মেনোত্তি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না লিটন।
আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নামলেই যেন ১০ এর গণ্ডিও পেরোতে পারছেন না তিনি। সবমিলিয়ে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ফিফটি এসেছে ১৯ ইনিংস আগে। ফর্মহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেস্টে ফিরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তার শুরুটা হয়েছে ১ রান দিয়ে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করেছেন। তবুও যেন স্ট্রাইক রেটে রয়েছেন পিছিয়ে।
এভাবে লিটনের ধারাবাহিক ফর্মহীনতায় তার পাশাপাশি ধুঁকছে বাংলাদেশও। শুরুতে দ্রুতই তার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে অবস্থা থেকে ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হয় পরবর্তী টপঅর্ডারদের। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য বড় ভাবনার কারণ।
চলমান ডিপিএলেও তিন ম্যাচ খেলে একটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন, বাকি দুই ম্যাচ মিলে করেছেন ৩৮ রান। লিটনের এমন ফর্মহীনতার পরও একের পর এক ম্যাচ-সিরিজে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। যার জন্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই। এমনকি লিটনের এই অফফর্মের জন্য তাকে নিয়ে নানা ট্রোল ও হচ্ছে। নেটিজেনরা এরই মধ্যে তার এই অফফর্মের কারণে তাকে দলে দেখতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লিটনের এই অফফর্ম যাবে কবে?
এরই মধ্যে ব্যাট হাতে লিটনের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা কাটাতে কোচদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘লিটনকে নিয়ে আমরা সবাই জানি, তার মেধা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ফর্মের বাইরে। তাকে নিয়ে জালাল (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ব্যাটিং কোচ যে আছেন আমাদের, তার সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। বলেছি তার (লিটনের) ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে যে সমস্যাটা কোথায়।’
সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা রয়েছৈ তাদের। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের খেলার কথা, মুস্তাফিজ খেলবে কি না আমি নিশ্চিত না। আমার ধারণা ওকে বিশ্রামে রাখা হবে। কতদিন বিশ্রামে রাখা হবে তা জানিনা। সাকিব তো লিগে সেঞ্চুরি করল এতদিন পরে। ওর রানে ফিরে আসাটা একটা ভালো দিক। আমি যতটুকু শুনেছি ও খেলবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘বোলিংটা প্রথমদিকে ভালোই লাগছিল। পরের দিকে একদম ভালো লাগেনি। ব্যাটিংটা ভালো লাগেনি। ব্যাটিংয়ে এখনও মনে হচ্ছে আমরা স্ট্রাগল করছি। বোলিংয়ে যে অবস্থা ছিল, ৪০-৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এত রান করতে দেওয়া ওদের, এটা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখনও বের হতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন