ইনসাইড গ্রাউন্ড

সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফাইনালে কলকাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে সাত উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স । শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছয় মেরে কলকাতাকে ফাইনালে উঠিয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠি। 

লিগপর্বে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে ছিলো দিল্লি ক্যাপিট্যালস। ফলে ফাইনালে ওঠার জন্য প্লে-অফ পর্বে তাদের সামনে ছিলো দুইটি সুযোগ। কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারলো না তারা। ঠিক বিপরীত অবস্থা থেকে জোড়া বাধা পেরিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে সাকিব আল হাসানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দিল্লিকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর দিল্লিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট পেয়েছে কলকাতা। প্রথমে চেন্নাই সুপার কিংস ও পরে কলকতা- আসরের দুইটি কোয়ালিফায়ার ম্যাচেই হেরে তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলো গত আসরের রানার্সআপ দিল্লি।

প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে আগেই ফাইনালে যাওয়া চেন্নাই ও কলকাতার মধ্যে হবে এবারের শিরোপার লড়াই। দুই দল এর আগে ২০১২ সালেও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো। সেই ম্যাচ জিতে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো কলকাতা।

এবার তৃতীয় শিরোপার সন্ধানে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের বিপক্ষে খেলবেন ইয়ন মরগ্যানরা। এর আগে দুইবার (২০১২ ও ২০১৪) ফাইনাল খেলে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা। অন্যদিকে নবম ফাইনালের অপেক্ষায় থাকা চেন্নাই আগের আট ফাইনালের ম্যাচে হেরেছে পাঁচটিতে।

বুধবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩৫ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। জবাবে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পরেও ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে যেতে হয়েছে কলকাতাকে। শেষপর্যন্ত রাহুল ত্রিপাঠির ছয়ের মারে এক বল আগে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা, পেয়ে যায় ফাইনালের টিকিট।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মনে হচ্ছিলো, পুরো ১০ উইকেটেই জিতবে তারা। কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে সাজঘরে ফিরে যান আইয়ার।

আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪১ বলে ৫৫ রান করেন আইয়ার। পরে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিন নম্বরে নামা নিতিশ রানা। অ্যানরিখ নর্তজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২ বলে ১৩ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

রানা ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার শুভমান গিল। একপ্রান্ত ধরে রাখা ইনিংসে তিনি ৪৬ বল থেকে করেন ঠিক ৪৬ রান। কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৫ রান। অল্প সময়ের মধ্যে তিন উইকেট হারালেও, জয় ছিলো দৃষ্টিসীমানায়।

কিন্তু ১৮তম ওভারে মাত্র এক রান খরচ করে দীনেশ কার্তিককে বোল্ড করে দেন রাবাদা। ফলে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা আর জয়ের সমীকরণ হয় ১২ বলে ১০ রানের। ইনিংসের ১৯তম ও নর্তজের শেষ ওভারে সাজঘরে ফিরে যান কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান, রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

নর্তজের সেই ওভারে আসে মাত্র ৩ রান। ফলে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় সাত রানের। উইকেটে তখন রাহুল ত্রিপাঠি ও সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন ত্রিপাঠি কিন্তু পরের বল ডট খেলে বসেন সাকিব। আগের ম্যাচে স্কুপ মেরে বাউন্ডারি হাঁকানোয় এই ম্যাচেও তা চেষ্টা করেন তিনি।

কিন্তু অশ্বিনের ওভারের তৃতীয় বলটিতে স্কুপ শট ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। বল আঘাত হানে প্যাডে, সহজ সিদ্ধান্তে লেগ বিফোরের আঙুল তোলেন আম্পায়ার। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। তখনই কলকাতার জন্য কঠিন হয় ম্যাচটি।

শেষ দুই বলে জিততে প্রয়োজন ছয় রান। নারিন আউট হওয়ার সময় ব্যাটাররা নিজেদের ক্রস করায় স্ট্রাইক পান ত্রিপাঠি। তিনি অশ্বিনের শর্ট লেন্থের বলটি সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকান ছক্কা। যার ফলে সহজ ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ই পায় কলকাতা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুটা ওত খারাপ ছিল না। পৃথ্বি শ বরাবরের মতো চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, ২৪ বলে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে।

১২ বলে ১৮ করা পৃথ্বিকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটিটি ভাঙেন বরুণ চক্রবর্তী। এরপরই রানের গতি কমে যায় দিল্লির। ২৩ বলে মাত্র ১৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মার্কাস স্টয়নিস।

শিখর ধাওয়ান উইকেটে টিকতে গিয়ে ৩৯ বল খেলে করেন ৩৬। এরপর রিশাভ পান্তও (৬) ফিরে গেলে চাপে পড়ে দিল্লি। বরুণের ঘূর্ণিতে সিমরন হেটমায়ারও ক্যাচ তুলে ফিরছিলেন, কিন্তু নো-বলে জীবন পেয়ে যান ক্যারিবীয় ব্যাটার।

যদিও বেশিদূর যেতে পারেননি হেটমায়ার। ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়াস আয়ারের ২৭ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৩৫ তুলেছে দিল্লি।

৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন বরুন চক্রবর্তী। সমান ওভারে ২৮ রান দিয়ে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা প্রসঙ্গে যা বললেন পাপন

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে স্বপ্নের মতোই সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রয়েছেন দারুণ ছন্দে। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছত্রছায়ায় নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছেন, বোলিং করে নিয়মিত উইকেটও সংগ্রহ করছেন। সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। আসরে ৮ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১৪ উইকেট। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকাতেও শীর্ষেই রয়েছেন দ্য ফিজ।

তবে টাইগার এই ক্রিকেটারকে খুব শীঘ্রই ফিরে আসতে হবে আইপিএল ছেড়ে। কারণ বিসিবি থেকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন এই কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা নিয়ে কথা বলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএল খেললে মুস্তাফিজ বেশি লাভবান হতো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আইপিএল লাভবান হতো। আমরা কীভাবে লাভবান হবো।’

তামিম জাতীয় দলে কবে ফিরবেন- এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘লাস্ট ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তখন কথা ছিল ও (তামিম) প্রথম জালালো ইউনুস অপারেশন্সের এবং আমাদের সিরাজ ভাই ওনাদের সঙ্গে বসবেন তারপর আমার সঙ্গে বসবে। ওনাদের সঙ্গে বসেছে, এখন আমার সঙ্গে বসবে। আমি যেটা শুনেছি, ওর কাছ থেকে শোনার আগে কমেন্ট করা উচিত না। আমি যেটা শুনেছি ও বলেছে সামনের বছর থেকে খেলবে।’

এর আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের কাছ থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   নাজমুল হাসান পাপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্সেনালের পর শিরোপার লড়াই জমাল ম্যানসিটিও

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরের লড়াইটা জমে উঠেছে বেশ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সব দলেই। তবুও শীর্ষ যে দুই দল একে অপরকে টক্কর দিচ্ছে সমানে সমান তারা হল আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে টটেনহ্যাম হটস্পারে বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে চার পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও দিনের অন্য ম্যাচে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যাবধানে জিতে ব্যবধানে ১ পয়েন্টে নিয়ে আসে ম্যানচেস্টার সিটি।

এদিন চোট কাটিয়ে মাঠে নেমেই আক্রমণে কিছুটা ভুগতে থাকা দলকে পথ দেখালেন আর্লিং হালান্ড। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩২তম মিনিটে জাস্কো ভার্দিওল দলকে এগিয়ে নেয়ার পর ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান হালান্ড। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

প্রিমিয়ার লিগের এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা ৭৯। অপরদিকে হটস্পারের মাঠে ৩-২ গোলে জয়ী আর্সেনাল ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। আর্সেনালের সমান ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিভারপুল।

চলতি প্রিমিয়ার লিগে হালান্ডের গোল হলো ২১টি, চেলসির কোল পালমারকে ছাড়িয়ে আবার এককভাবে শীর্ষে বসলেন তিনি। ২০২৪ সালে এই নিয়ে লিগে আটটি অ্যাসিস্ট করলেন কেভিন ডি ব্রুইন, প্রিমিয়ার লিগে যা সর্বোচ্চ।


টটেনহ্যাম   আর্সেনাল   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) এবারের মৌসুমের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ‘নর্থ লন্ডন ডার্বি’তে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলেছে আর্সেনাল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) নিজেদের ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে আর্সেনালকে আতিথ্য জানায় টটেনহ্যাম হটস্পার। এদিন দুই অর্ধে দুই দল দেখিয়েছে দাপট। প্রথমার্ধ ছিল পুরোটাই আর্সেনালময়, আর দ্বিতীয়ার্ধ লেখা টটেনহ্যামের নামে। ম্যাচটা দর্শকদের জন্য পয়সা উশুলই বলা যায়। অফ সাইডে গোল বাতিলের সাথে ডিফেন্ডার, গোলকিপারদের ভুল কী ছিল না ম্যাচেটিতে?

তবে শেষ পর্যন্ত চাপটা ভালোই সামলেছে আর্সেনাল। আর তাতে জয় মিলেছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ে প্রথমবারের টানা দুই ম্যাচ নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড গড়লো আর্সেনাল।

ম্যাচটা জিতে সিটিকে কিছুটা চাপেই ফেললো তারা। আজ রাতেই মাঠে নামবে পেপ গার্দিওলার দল। পা হড়কালেই যে তারা শিরোপা দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়বে আর্সেনাল থেকে। ৩৫ ম্যাচ শেষে গানারদের পয়েন্ট ৮০। দুইয়ে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭৬। যদিও দুই ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

ম্যাচের ১৩ মিনিটেই প্রথম গোল পায় আর্সেনাল। অবশ্য কাই হাভার্টজের সেই গোল কাঁটা পড়ে অফ সাইডের ফাঁদে। হতাশা ভুলতে গানাররা সময় নেয়নি খুব একটা। ১৬ মিনিটেই মেলে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার পিয়েররা হোজবার্গের কল্যাণে প্রথম গোল মেলে আর্সেনালের। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে প্রবাশ করিয়ে দেন টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার।

গোল খেয়ে জবাব দিতে মরিয়া টটেনহ্যামও। ২৩ মিনিটে ফেরে সমতায়ও। তবে মিকি ভ্যান ডির গোলে এবার বাঁধ সাধলো অফ সাইড। ফলে স্কোরলাইন থাকে ১-০ তেই। মিনিট চারেক বাদে আর্সেনালের লিড দ্বিগুণ করেন বুকায়া সাকা। কাই হাভার্টজের লং পাস ধরে দারুন এক গোলই করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। আর তাতে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় টটেনহ্যাম।

৩৮ মিনিটে আগের গোলে অ্যাসিস্টের ভূমিকায় থাকা হাভার্টজ নাম তোলেন স্কোরশিটে। কর্নার থেকে অনেকটা ফাঁকা জায়গায়ই বল মেলে তার। আলতা করে ছুঁয়ে দেন মাথা, বল খুঁজে নেয় জাল। আর প্রথমার্ধেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় আর্তেতার দল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই শুরু করে কিছুটা ঢিমেতালে। তারমাঝেও সুযোগ মেলে দু’দলেরই। ৫০ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেড অল্পের জন্য চলে যায় বাইরে। আর মিনিট তিনেক বাদে সাকার সামনে আসে সুযোগ। তবে টটেনহাম গোলকিপারে দারণ সেইভে হতাশ হতে হয় তাদের।

৬৪ মিনিটে টটেনহাম সমর্থকদের উল্লাসের সুযোগ করে দেন আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া। তার ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পান রোমেরো। গোলকিপারকে একা পেয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার করেননি ভুল। আলতো টোকায় বল জড়ান জালে।

আর ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ পুরটাই জমিয়ে তুলেন সন হিউং-মিন। শেষ কয়েকটা মিনিট ছিল রোমাঞ্চে ভরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজেদের কাজটা ভালো ভাবেই করতে পেরেছে আর্সেনাল। আর তাতে সঙ্গী হয়েছে তিন পয়েন্ট।


টটেনহ্যাম   আর্সেনাল   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবারও সবার আগে টি-২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বছর ঘুরে আবারও ধুম পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপের। ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করা শুরু করেছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে কিউইরাও। বরাবরই আগেভাগে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করার রীতি রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। সেই ধারায় এবারও সবার আগে দল ঘোষণা করল তারাই।

শক্তিশালী স্কোয়াডে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞদের, পাশাপাশি প্রথমবারের মত ২০ ওভারের বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রও। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সোমবারের ঘোষিত স্কোয়াডে অধিনায়ক হিসেবে আছেন নিয়মিতভাবে দায়িত্বটি পালন করা কেন উইলিয়ামসনই। দলে জায়গা পেয়েছেন দুই অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।  

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের আসর উইলিয়ামসনের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে, আর অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাউদির ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে সপ্তমবারের মত। আর বোল্টের পঞ্চম।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দেওয়া অলরাউন্ডার রাচিন গেল কয়েক মাসে অন্য দুই ফরম্যাটেও খেলছেন নিয়মিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ডাক পাওয়াটা তাই অনুমিতই ছিল। এই মূহুর্তে তিনি ব্যস্ত আইপিএলে, খেলছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।

তিনি ছাড়া প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন পেসার ম্যাট হেনরিও। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে অভিজ্ঞ এই পেসারের। এছাড়া দলে আছেন দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও গ্লেন ফিলিপসও। গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পর অস্ত্রোপচারের করানো অ্যাডাম মিলনে দলে জায়গা মেলেনি। আরেক পেসার কাইল জেমিসনকেও তার পিঠের চোটের পুনর্বাসন চালিয়ে যাওয়ার কারণে দলের বাইরে রাখা হয়েছে।

স্কোয়াডের ১৫ সদস্যের সাথে ইনজুরি কভার হিসাবে দলের সাথে ভ্রমণ করবেন পেসার বেন সিয়ার্স। আগামী ১ জুন শুরু হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াড : কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি।


নিউজিল্যান্ড   টি-২০ বিশ্বকাপ   ট্রেন্ট বোল্ট   রাচিন রবীন্দ্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মোনাকোর হারে শিরোপা নিশ্চিত পিএসজির

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি লীগ ওয়ানের নিজেদের ঘরের মাঠে লে হাভরের সাথে ড্রয়ের পর শিরোপার অপেক্ষা বেড়েছিল পিএসজির। তবে অলিম্পিক লিঁওর কাছে মোনাকোর হারে অপেক্ষার অবসান ঘটল পিএসজির। এতে লিগ-১ এ তিন ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতল প্যারিসিয়ানরা।

গতকাল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা মোনাকোর মুখোমুখি হয়েছিল অলিম্পিক লিঁও। ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে মোনাকোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতে নিল পিএসজি।

এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই উইসাম বেন ইয়েদেরের গোলে এগিয়ে যায় মোনাকো। তবে ম্যাচের ২২তম মিনিটেই সমতা ফেরায় লিওঁ। স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন আলেকসঁদ লাকাজেত। 

এর চার মিনিট পর সাইদ বেনরাহমার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিওঁ। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে গোল করে মোনাকোকে ম্যাচে ফেরান ইয়েদেরে। তবে তাদের এই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। 

ম্যাচের ৮৪ তম মিনিটে ফোফানার গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। লিঁওর এই জয়ে শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের র্শীর্ষে থাকা পিএসজির। এই নিয়ে লিগ ওয়ানে মোট ১২তম বার শিরোপা জিতল পিএসজি। সবশেষ ১১ মৌসুমের ৯ বারই লিগের শিরোপা ঘরে তুলল।


পিএসজি   মোনাকো   লিগ ওয়ান   শিরোপা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন