নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
শুক্রবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। উরুগুয়ের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জিতে আসার পর এবার নিজেদের ঘরের মাঠে পেরুকে স্বাগত জানাবে আলবিসেলেস্তেরা। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে দুইটি পরিবর্তন নিশ্চিত। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে নিকোলাস তালিয়াফিকোকে রক্ষণে রেখেছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তার জায়গায় ফিরছেন মার্কস আকুনা। অন্যদিকে আক্রমণভাগে নিকোলাস গনজালেজের জায়গায় খেলবেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ ম্যাচ খেলে ছয় জয় ও চার ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। পেরু খেলেছে ১১ ম্যাচ, তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে সাত নম্বরে।
পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গনজালো মন্টিয়েল/নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস আকুনা, রদ্রিগো ডি পল, লেয়ান্দ্র পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ ও লিওলেন মেসি।
মন্তব্য করুন
বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা ভারতীয়
কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্যের পর বিরাট কোহলিকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক
অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এছাড়াও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে কোহলি ঠিক করেননি
বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আকরাম বলেন, ‘দু’জনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাভাস্কার) ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। মানুষ হিসেবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও চিনি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।’
গাভাস্কারের পাশে দাঁড়িয়ে আকরাম আরো বলেন, ‘ধারাভাষ্যকাররা তাদের কাজ করেন। কোহলি যদি দু’টো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাভাস্কার যদি কিছু বলে- এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা? ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দু’জনেই ভারতের গর্ব। দু’জনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরো বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দু’জনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।’
এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।
কোহলির এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে গাভাস্কার বলেছিলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।’
এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে
কোহলি
বলেন, ‘আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।’
তারপর গাভাস্কার আবার বলেছিলেন, ‘কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারো কথায় কান দেয় না। কারো কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তাহলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।’
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এবার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য স্বাগতিকরা দল ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার এক বিবৃতিতে টাইগারদের স্কোয়াডে এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিসিবি। এর আগে আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম, ডিপিএল খেলতে প্রথম তিনটিতে সাকিবকে ছুটি এবং চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা তিনজনই ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।
এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। তিন ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বাকি দুই ক্রিকেটার স্কোয়াডে থাকলেও, এই সিরিজের কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি।
শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সাকিব আল হাসান মুস্তাফিজুর রহমান সৌম্য সরকার জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ টি-২০
মন্তব্য করুন
অন্যান্যবারের মতো এবারও আইপিএল শুরু হয়েছিল বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে। তবে এবারের আইপিএল যেন ব্যাটারদের জন্য একটু বেশিই কার্যকর হিসেবে গণ্য হয়েছে। কারণ এবারের আসরে প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে যেন ঝরছে রানের ফুলঝুড়ি।
আর এমন পরিস্থিতিতে চার-ছক্কার কারণে আইপিএলে বলের আঘাতে দর্শকদের আহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার ম্যাচ শুরুর আগেই আহত হলেন এক দর্শক। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেলের শটে ভাঙে তার আইফোনও। এর বদলে সেই দর্শককে নিজের গ্লাভস উপহার দেন মিচেল।
ঘটনাটি ঘটে ধর্মশালার স্টেডিয়ামে। চেন্নাই বনাম পাঞ্জাব ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাট করছিলেন মিচেল। পুল মারার অনুশীলন করছিলেন তিনি। বাউন্ডারির কাছেই ছিলেন মিচেল। হঠাৎ তার একটি শট গিয়ে লাগে এক দর্শকের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধরে বসে পড়েন ওই যুবক।
বোঝা যায়, হাতে ভালই লেগেছে তার। পরে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা আইফোনটিও ভেঙে গেছে। তার মারা শটে যুবক আহত হয়েছেন দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান মিচেল। তিনি খোঁজ নেন আঘাত গুরুতর কি না।
পরে সেই যুবককে নিজের এক জোড়া গ্লাভস উপহার দেন মিচেল। গ্লাভসে সইও করে দেন তিনি। চেন্নাই ক্রিকেটারের সেই উপহার নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায় সেই যুবককে।
চলতি আইপিএলে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে চেন্নাই। পাঞ্জাবকে হারানোর পরে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তারা। অন্যদিকে পাঞ্জাব বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে তারা।
মিচেল চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের
এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে।
তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই
মাঠে গড়িয়েছে ৫৬টি ম্যাচ। কিন্তু ৫৬ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই এখন পর্যন্ত প্লে-অফ
নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকেও যায়নি। আর তাই প্লে
অফের শেষ মুহূর্তের লড়াইটা জমেছে বেশ।
এবার আইপিএলের অর্ধেক ম্যাচ শেষে টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল
রাজস্থান রয়্যালস। তবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে রাজত্ব ছিনিয়ে নেয়
কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবমিলিয়ে জমজমাট আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের লড়াই। প্লে-অফে উঠতে
১০ দলের সামনে এখন আলাদা আলাদা সমীকরণ।
দেখে নেওয়া যাক পয়েন্টস টেবিল অনুযায়ী আইপিএলের ১৭তম আসরের দলগুলোর
বর্তমান অবস্থান-
১. কলকাতা নাইট রাইডার্স
১১ ম্যাচে ৮ জয়ে টেবিলের রাজত্ব করছে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর।
বাকি তিন ম্যাচে মুম্বাই, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এর মধ্যে
যেকোনো এক ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট হবে তাদের। আর নেট রানরেটে (১ দশমিক ৪৫৩) এগিয়ে
থাকায় তাদের সামনে প্লে-অফের সহজ সমীকরণ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এক ম্যাচে জয় পেলেই
শেষ চারে উঠে যাবে শাহরুখ খানের কলকাতা।
তবে শুধু প্লে-অফই না, সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগও আছে তাদের। এর জন্য
অনন্ত দুটি ম্যাচে জিততেই হবে শ্রেয়াস আইয়ারদের। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের একটি ম্যাচে
হারের প্রত্যাশাও করতে হবে কলকাতা শিবিরকে। আর তিন ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ২২।
সেক্ষেত্রে আর কোনো সমীকরণই মেলাতে হবে না।
২. রাজস্থান রয়্যালস
কলকাতার সমান ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্টে নেট রানরেটে পিছিয়ে টেবিলের
দুইয়ে রাজস্থান। নিজেদের পরের ম্যাচে চেন্নাই, পাঞ্জাব ও কলকাতার বিপক্ষে খেলবে তারা।
কেকেআরের মতো যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত তাদের। আর
৪ ম্যাচের মধ্যে সবটিতে জিতলেই সেরা দুইয়ে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করবে সাঞ্জু স্যামসনরা।
এক্ষেত্রে কলকাতা ছাড়া আর কোনো দলের সামনেই তাদেরকে ধরার সুযোগ নেই।
৩. চেন্নাই সুপার কিংস
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ তিন ম্যাচে গুজরাট,
রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। সেই তিন ম্যাচে জয় পেলে তাদের
পয়েন্ট হবে ১৮। লখনৌ এবং হায়দরাবাদেরও সুযোগ আছে মোস্তাফিজের চেন্নাইকে পেছনে ফেলার।
তাই লখনৌ কিংবা হায়দরাবাদ, যাতে একটি ম্যাচে হারে; সেই প্রত্যাশাই করতে হবে চারবারের
চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে লখনৌ ও হায়দরাবাদের মধ্যে একটি ম্যাচ বাকি থাকায় কিছুটা স্বস্তি
চেন্নাই শিবিরে। তাই চেন্নাইয়ের সামনে প্লে-অফের দৌড়ে সহজ সমীকরণ।
৪. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে হায়দরাবাদ। সোমবার (৬ মে)
নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মুম্বাইয়ের সঙ্গে হেরে প্লে-অফের দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্যাট
কামিন্সের দল। শেষ তিন ম্যাচে লখনৌ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। এর
মধ্যে লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাঁচামরার লড়াই। এই ম্যাচে হারলেই প্লে-অফের দৌড়ে
কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের। আর গ্রুপ পর্বে চেন্নাই কোনো ম্যাচে হারলে, সেটিও হায়দরাবাদের
জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে। তাই নিজেদের জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের পরাজয়ের
প্রত্যাশাও করবে তারা।
৫. দিল্লি ক্যাপিটালস
১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে দিল্লি। তবে এখনও প্লে-অফের স্বপ্ন
জিইয়ে রেখেছে ঋষভ পান্থের দল। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌয়ের মুখোমুখি
হবে তারা। প্লে-অফের সমীকরণে টিকে থাকতে এই দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সেই
সঙ্গে নেট রানরেটের হিসেব তো থাকছেই। পাশাপাশি চেন্নাই ও লখনৌয়ের হারের প্রত্যাশাও
করতে হবে। তাহলেই প্লে-অফে উঠতে পারবে তারা।
৬. লখনৌ সুপার জায়ান্টস
সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে (-০.৩৭১)
পিছিয়ে টেবিলের পাঁচে লখনৌ। নিজেদের বাকি তিন ম্যাচে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের
মোকাবিলা করবে তারা। তবে এই তিন ম্যাচে জয় পেলেও প্লে-অফ নিশ্চিত না তাদের। জয়ের পাশাপাশি
নেট রানরেটের সমীকরণও মেলাতে হবে। সেই সঙ্গে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের পরাজয়ের প্রত্যাশাও
করতে হবে।
৭. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের দিকেও তাকিয়ে
থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের। শেষ তিন ম্যাচে পাঞ্জাব, দিল্লি ও চেন্নাইকে হারালে ১৪ পয়েন্ট
হবে তাদের। আর প্রত্যাশা করতে হবে চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌ যাতে একটির বেশি ম্যাচে
জয় না পায়। তাহলেই শেষ চারে উঠার পথ সম্মুখ হবে তাদের।
৮. পাঞ্জাব কিংস
১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থাকা পাঞ্জাব নিজেদের শেষ
তিন ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থান ও হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই তিন ম্যাচে
জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনৌ এবং দিল্লির হারের প্রত্যাশাও করতে হবে তাদের।
আর নেট রানরেটের জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলেই প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে পাঞ্জাবের।
৯. মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
টানা ৪ ম্যাচে হারের বৃত্তে থাকা মুম্বাই নিজেদের সবশেষ ম্যাচে
জয় পেয়েছে। এই জয়ে টেবিলের ৯-এ উঠে এসেছে তারা। তবে প্লে-অফে স্বপ্নটা বেশ কঠিনই বটে।
কেননা, বাকি দুই ম্যাচে ম্যাচ কলকাতা ও লখনৌয়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে
তাদের। নিজেদের দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনৌর সব ম্যাচে হারের
প্রত্যাশা করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে দিল্লির এক ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশাও করতে হবে।
১০. গুজরাট টাইটান্স
পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে গুজরাট। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে চেন্নাই,
কলকাতা ও হায়দরাবাদের মোকাবিলা করবে তারা। কাগজে-কলমের হিসেবে প্লে-অফের আশা থাকলেও
নানান জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে বর্তমান রানার্স-আপদের। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের
হারের প্রত্যাশাও করতে হবে। আর এক ম্যাচে হারলেই শেষ হয়ে যাবে প্লে-অফ স্বপ্ন।
আইপিএল ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে
লাগল না পিএসজির। চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপে প্যারিসের ক্লাবকে বিদায় জানাবেন।
সে হিসেবে এটাই ঘরের মাঠে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে
এমবাপেও করে দেখাতে পারলেন না বিশেষ কিছু। বরং ম্যাটস হুমেলসের কাছেই যেন বন্দী হয়ে
ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সেনসেশন। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান দলটি।
মঙ্গলবার (০৭ মে) রাতে প্যারিসে সেমি-ফাইনালের
ফিরতি লেগে মাটস হুমেলসের একমাত্র গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। প্রথম লেগে ঘরের মাঠেও একই
ব্যবধানে জেতা বুন্ডেসলিগার দলটি ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে জায়গা
করে নিয়েছে।
ডর্টমুন্ড সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের
ফাইনাল খেলেছিল ২০১৩ সালে, ওয়েম্বলিতে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ইউরোপ
সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে, মিউনিখের ফাইনালে
ইউভেন্তুসকে হারিয়ে। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা
রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এবার মৌসুমটা ভালো
কাটেনি ডর্টমুন্ডের। জার্মান কাপে তাদের পথচলা থামে শেষ ষোলোয়। দুই রাউন্ড বাকি থাকতে
বুন্ডেসলিগার টেবিলে তারা আছে পাঁচ নম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো ছিল
না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই মাঠেই এবার দারুণ
জয়ে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল এদিন তেরজিচের দল।
অন্যদিকে, মৌসুমে এরই মধ্যে দুইটি শিরোপা
জেতা পিএসজি চার ট্রফির আশায় ছিল। একটির আশা শেষ হয়ে গেল ফাইনালের আগেই। দ্বিতীয়বারের
মতো ইউরোপ সেরার ফাইনালে খেলার আশা পূরণ হলো না তাদের। প্যারিসের দলটির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স
লিগ এক আক্ষেপের নাম হয়েই রয়ে গেল। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনাল থেকে
বিদায় নিল তারা, একবার হেরেছে ফাইনালেও, ২০২০ সালে।
পাক দি ফ্রাঁসে শুরু থেকে সুযোগ তৈরি
করতে থাকে দুই দলই। তবে কোনো গোলরক্ষকের কঠিন পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউ। তৃতীয় মিনিটে
প্রথম লেগের একমাত্র গোলদাতা নিকলাস ফুয়েলখুগের হেড অনায়াসে ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
পরের মিনিটে গনসালো রামোসের প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল।
সপ্তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের ভলি ঠেকাতেও বেগ পেতে হয়নি তাকে।
ত্রয়োদশ মিনিটে গোল করার কাছাকাছি যেতে
পারেন রামোস। বক্সের বাইরে থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে
যায়। ৩৫তম মিনিটে বাম দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ফাবিয়ান রুইস কাট-ব্যাক করেন এমবাপের
উদ্দেশে, কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে ঠিকমতো শট নিতে
পারেননি ফরাসি তারকা। সেখান থেকেই দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করে ডর্টমুন্ড।
বক্সে ঢুকে কারিম আদেইয়েমির নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফিরিয়ে পিএসজিকে বাঁচান দোন্নারুম্মা।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপের
গোলের উদ্দেশে নেওয়া শটে ফ্লিক করেন রামোস, আর দূরের পোস্টে ওয়ারেন জাইরে-এমেরির শট
পোস্টে লাগে। মিনিট তিনেক পর গোল খেয়ে বসে পিএসজি। সতীর্থের কর্নারে হেডে গোল করে দুই
লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন ৩৫ বছর বয়সী জার্মান ডিফেন্ডার হুমেলস।
২০১৮ সালের অক্টোবরে আয়াক্সের বিপক্ষে
গোলের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জালের দেখা পেলেন তিনি। প্রতিযোগিতাটির
সেমি-ফাইনালে হুমেলসের চেয়ে (৩৫ বছর ১৪৩ দিন) বেশি বয়সে গোলের কীর্তি আছে কেবল রায়ান
গিগস (৩৭ বছর ১৪৮ দিন, ২০১১ সালে) ও এদিন জেকোর (৩৭ বছর ৫৪ দিন, গত মৌসুমে)।
৬২তম মিনিটে আরেকবার দুর্ভাগ্যের ফেরে
গোল পায়নি পিএসজি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট পোস্টে লাগে। ৬৫তম
মিনিটে উসমান দেম্বেলে ফাউলের শিকার হলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। মার্কো
আসেন্সিওর শট প্রতিহত হয় রক্ষণ দেয়ালে।
৮১তম মিনিটে কাছ থেকে এমবাপের শট ঠেকান
গোলরক্ষক। ৮৭তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার প্রচেষ্টা কোবেলের
হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার জোরাল শটও ক্রসবারে
লাগে। শেষ পর্যন্ত তাই আর গোল পাওয়া হয়নি লুইস এনরিকের দলের।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠের পাশের
বিজ্ঞাপন বোর্ড পেরিয়ে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা একে একে চলে যান গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের
কাছে। মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে। পিএসজি শিবিরে তখন হতাশার কালো মেঘ! এখন
ফাইনালের প্রতিপক্ষ জানার অপেক্ষায় ডর্টমুন্ড। আজ বুধবার আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ৬ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের মুখোমুখি হবে রেকর্ড ১৪
বারের শিরোপা জয়ী রিয়াল। প্রথম লেগে ২-২ ড্র হয়েছিল।
পিএসজি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। যেখানে শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত প্রতিটি দলের সাথে প্রতিপক্ষ দলের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যা এখনও চলমান রয়েছে। তবে আইপিএলের এবারের আসর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে ৫৬টি ম্যাচ। কিন্তু ৫৬ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই এখন পর্যন্ত প্লে-অফ নিশ্চিত হয়নি। আবার কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও কেউই আসর থেকে ছিটকেও যায়নি। আর তাই প্লে অফের শেষ মুহূর্তের লড়াইটা জমেছে বেশ।
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে লাগল না পিএসজির। চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপে প্যারিসের ক্লাবকে বিদায় জানাবেন। সে হিসেবে এটাই ঘরের মাঠে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে এমবাপেও করে দেখাতে পারলেন না বিশেষ কিছু। বরং ম্যাটস হুমেলসের কাছেই যেন বন্দী হয়ে ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ সেনসেশন। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান দলটি।