বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান যেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই রাজত্ব করে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অল-রাউন্ডার। ব্যাটে, বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় জয়ের পিছনে রয়েছে সাকিবের অবদান। সাকিব একই সাথে বিশ্বের নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলে উজ্জ্বল করেছেন দেশের সুনামও। তিনি এমন এক ক্রিকেটার যিনি বাংলাদেশের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন।
১৯৮৭ সালে জন্ম নেয়া সাকিব সময়ের সাথে সাথে পা দিয়েছেন ৩৪ বছরে। স্বাভাবিকভাবেই বলা চলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রায় শেষের দিকেই চলে এসেছেন সাকিব। হয়তো আরও বেশ কিছু বছর সাকিবের সার্ভিস বাংলাদেশ দল পাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সাকিব অবসর নিলে পরবর্তী 'সাকিব' কে হবেন? বা, বাংলাদেশ কি আদৌ পরবর্তী 'সাকিব' পাবে?
সাকিব এমন একজন ক্রিকেটার ছিলেন যার মানের ক্রিকেটার পাওয়া সহজ নয়। তবে একেবারে অসম্ভব সেটিও বলা যাবে না। দলের হয়ে ব্যাট কিংবা বল হাতে সব সময়ই অবদান রাখতেন সাকিব। সাকিবের বিকল্প হিসেবে কে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে তা প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রায় সময়ই স্বয়ং নির্বাচকরা বলে থাকেন যে, সাকিব কোন কারণে কোন ম্যাচ না খেললে সাকিবের অভাব পূরণের জন্য একাদশে দুইজন খেলোয়াড়কে অতিরিক্ত খেলাতে হয়। নির্বাচকদের এমন মন্তব্যই প্রমাণ করে বাংলাদেশ দলে সাকিবের ভূমিকা কত গুরুত্বপূর্ণ।
সময়ের সাথে সাথে সাকিবকে এক সময় অবসর নিতে হবে সেটাই স্বাভাবিক। হয়তো সেদিনও খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু সাকিব অবসর নিলে কিভাবে তার জায়গা পূরণ করা হবে কিংবা সাকিবের বিকল্প হিসেবে কাউকে গড়ে তোলা অথবা সাকিবের বিকল্প কি আদৌ খুঁজে পেয়েছে বিসিবি? বা খোঁজার চেষ্টা করেছে কি? অথবা নতুন 'সাকিব' গড়ে তোলার কাজটুকু করেছে কি? খুব সম্ভবত, সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই হবে 'না'।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির উচিৎ এখন থেকেই পরবর্তী 'সাকিব' ইস্যু নিয়ে চিন্তা করা। কারণ, সাকিবের মানের ক্রিকেটার একদিনে যেমন পাওয়া যাবে না তেমনি একদিনে তৈরিও করা যাবে। সেজন্য প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ও বিসিবির আন্তরিক প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দাপটের সাথে খেলতে হলে একজন 'সাকিবের' কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক বা একাধিক ক্রিকেটারকে এক সময় সাকিবের বিকল্প বা সাকিবের সমমানের মনে করা হতো। কিন্তু পরিপূর্ণ যত্নের অভাবে সেই ক্রিকেটাররা আজ জাতীয় দলে অনিয়মিত। আবার, বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের মাঝেও সাকিবের বিকল্প দেখছেন কেউ কেউ। নিঃসন্দেহে তারা ভালো মানের ক্রিকেটার। কিন্তু একজন 'সাকিব' হয়ে উঠতে যে পরিমাণ নার্সিং প্রয়োজন সেটা বিসিবি নিশ্চিত করছে কিনা সেটিও দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে এতোটুকু বলা যায় যে, পরবর্তী 'সাকিব' পেতে হলে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে বিসিবিকেই।
মন্তব্য করুন
আয়ারল্যান্ডের
বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিকের ঝড়ো নবম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের
সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান। একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি।
আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের পাহাড় সমান টার্গেট ছুঁড়ে দিল টাইগাররা।
আইরিশ বোলারদের
নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ছেলেখেলায় মাতলো বাংলাদেশ। ফিফটি পেলেন লিটন দাস আর নাজমুল
হোসেন শান্ত। এরপর রীতিমত তাণ্ডব চালালেন মুশফিকুর রহিম আর তাওহিদ হৃদয়। ৩৪ বলে ৪৯
রান করে তাওহিদ হৃদয় ফিরে গেলেও মাত্র ৬০ বলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের নবম
সেঞ্চুরি করেন মুশফিক।
৫০ ওভার শেষে
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান। একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ
এটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ
জানান আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। তামিম ইকবাল আর লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন
বেশ দেখেশুনে।
১০ ওভার কাটিয়ে
দেন তারা। শেষপর্যন্ত তামিম-লিটনের ৪২ রানের জুটিটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে। ভালো
ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়ে তামিম উইকেটে সেট হতে যাচ্ছিলেন কেবল। তখনই ভুলটা করে বসলেন
এবং দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন। ৩১ বলে ২৩ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর মধ্যেই
মেরেছেন ৪টি বাউন্ডারির মার।
আগের ম্যাচে
সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন। ফিরতে হয় ২৬ রানে। তবে এবার আর কোনো ভুল করেননি
ড্যাশিং এই ওপেনার। ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন,
৫৩ বলে।
দ্বিতীয় উইকেটে
লিটন আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৯৬ বলে যোগ করেন ১০১ রান। ৭১ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায়
৭০ রানের ইনিংস খেলে কুর্তিস ক্যাম্ফারকে উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ
দিয়ে ফেরেন তিনি।
১৯ বলে ১৭।
উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আগের ম্যাচে নাইন্টিজে কাটা পড়া এই
ব্যাটার এবার ইনিংসটা বড় করতে পারেননি।
আইরিশ পেসার
গ্রাহাম হুমেকে তুলে মারতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন সাকিব। টপ এজ হয়ে
গালিতে ধরা পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ভাঙে শান্ত-সাকিবের ৩৬ বলে ৩৯ রানের জুটি।
সাকিবকে ফেরানোর
পর এক ওভার পর এসে আরেক সেট ব্যাটার শান্তকেও তুলে নেন হুমে। লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া
বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন শান্ত। ৭৭ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় গড়া তার
ইনিংসটি ছিল ৭৩ রানের।
সাকিব আর শান্তকে
৮ রানের ব্যবধানে ফিরিয়ে কিছুটা লড়াইয়ে ফিরেছিল আইরিশরা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে
মারমুখী ব্যাটিংয়ে ফের সফরকারীদের কোণঠাসা করে দেন মুশফিকুর রহিম আর তাওহিদ হৃদয়।
১৩ ওভারে ১২৮
রানের বিধ্বংসী জুটি গড়ে ফেরেন হৃদয়। তবে আগের ম্যাচে নাইন্টিজে কাটা পড়া এই তরুণ আরও
একবার ফিরেছেন হতাশা নিয়ে। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি হৃদয়।
৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি
আর ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে মার্ক এডায়ারের শিকার হন তিনি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলটা নিচু
হয়ে ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।
মুশফিক ঝড়ো সেঞ্চুরি টাইগার রেকর্ড ৩৪৯ রান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ধীর গতির হলেও সময় গড়াতেই নিজেদের মানিয়ে নেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম ওভার থেকে মাত্র ৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে পরপর দুটি ওভার মেডেন দিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেয় আইরিশরা। উইকেট থেকে শুরুর দিকে সহায়তা পেয়েছে বোলাররা। তাই একটু সাবধানে ব্যাট চালান দুই ব্যাটসম্যান।
৮ম ওভারে পেসার গ্রাহাম হিউমের উপর তান্ডব চালায় লিটন দাস। সে ওভার থেকে ১২ রান তুলে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখে বাংলাদেশ। তবে ১০ম ওভারের শেষ বলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন তামিম। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই মার্ক অ্যাডায়ারের থ্রো স্টাম্পে লাগলে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১ উইকেটে ৪২ রান। আউট হওয়ার আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল।
তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সাথে নিয়ে দলকে টেনে নিতে থাকেন লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে ভাল শুরু পেলেও তা টেনে নিতে পারেন নি লিটন। তবে আইরিশ বোলারদের আজ সামলেছেন শক্ত হাতে। শুরুতে খানিকটা অস্বস্তিতে থাকলেও, তা থেকে বেরিয়ে এসে মাঠের চারপাশে শট খেলতে থাকেন এই ব্যাটার। তুলে নেন ক্যারিয়ারে ৮ম অর্ধশতক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন শান্ত। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ বলে শতরানের জুটি গড়েন।
তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের আশা জাগিয়েও তা পূরণ করতে পারেন নি লিটন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড উইকেট ম্যাক ব্রাইনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতে ১০১ রানের জুটি ভাঙে। এই ম্যাচে লিটনও ছুঁয়েছেন ব্যক্তিগত এক মাইলফলক। আইরিশদের বিপক্ষে ৭১ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছয়ে ৭০ রান করেন লিটন। তাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুই হাজার রানের মাইলস্টোন পার করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করতে থাকেন সাকিব আল হাসান। তবে তার খেসারতও দিতে হয়েছে তাকে। মাত্র ১৭ রান করে হিউমের বল উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৮২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাকিবের বিদায়ের পর তাকে অনুসরণ করেন নাজমুল হোসেন শান্তও। তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। বড় রানের আশা দেখাচ্ছিলেন তিনিও। কিন্তু গ্রাহাম হিউমের লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া বল শান্তর গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। ৭৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিলেট
মন্তব্য করুন
আজ ২০ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের জন্মদিন। এই দিনে ৩৪তম জন্মদিনে পা রাখলেন টাইগার এই ওপেনার। তবে দিনটি আরও একটি কারণে বিশেষ এই টাইগার ওপেনারের জন্য। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন তামিম।
১০ হাজার, ১২ হাজার, ১৫ হাজার সংখ্যাগুলো এক সময় কেবল শচিন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারাদের নামের পাশেই দেখা যেতো। এরপর সেখানে একে একে যুক্ত হতে থাকে রিকি পন্টিং, রাহুল দ্রাবিড়, সনাৎ জয়সুরিয়া, কুমারা সাঙ্গাকারা কিংবা বিরাট কোহলিসহ বিশ্বের সেরা সেরা ব্যাটারদের নাম। গর্বিত সেই ক্লাবে এবার যুক্ত হলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল খান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচের আগেই একটি কীর্তি গড়তে মাত্র ১৪ রানের প্রয়োজন ছিল। নবম ওভারে মার্ক এডেয়ারের বলে ডাবলস নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূর্ণ করলেন তামিম। ৩৮৩তম ম্যাচ ও ৪৪৪তম ইনিংসে এ মাইলফলক পূর্ণ হলো তার।
বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার তামিমের ধারেকাছেও নেই। ১৩ হাজারের ওপর রান আছে কেবল দুজনের—সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের।
প্রথম বাংলদেশি ক্রিকেটার হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের আগে আরও ৩৯জন ব্যাটার ১৫ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। তামিম ইকবাল হলেন ৪০তম ক্রিকেটার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ২৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে তামিমের। হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৯৩টি। টেস্ট অভিষেক হয়েছে তার ২০০৮ সালে, ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ২০০৭ সালে এবং টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ২০০৭ সালে। এখনও পর্যন্ত ৬৯টি টেস্টে ব্যাট করেছেন ১৩২ ইনিংস, ২৩৬ ওয়ানডেতে ব্যাট করেছেন ২৩৪ ইনিংস এবং ৭৮ টি-েটোয়েন্টিতে ব্যাট করেছেন ৭৮ ইনিংসে।
বাংলাদেশ তামিম মাইলফলক ১৫ হাজার রান
মন্তব্য করুন
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এই ম্যাচেও জয় তুলে নিতে চায় বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা হয়েছে ধীর গতিতে। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম ওভার থেকে মাত্র ৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে পরপর দুটি ওভার মেডেন দিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেয় আইরিশরা। উইকেট থেকে শুরুর দিকে সহায়তা পেয়েছে বোলাররা। তাই একটু সাবধানে ব্যাট চালান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
৮ম ওভারে পেসার গ্রাহাম হিউমের উপর তান্ডব চালায় লিটন দাস। সে ওভার থেকে ১২ রান তুলে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখে বাংলাদেশ। তবে ১০ম ওভারের শেষ বলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন তামিম। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই মার্ক অ্যাডায়ারের থ্রো স্টাম্পে লাগলে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১ উইকেটে ৪২ রান।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড সিলেট ওয়ানডে
মন্তব্য করুন
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের পর নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মুশফিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ঝোড়ো ফিফটিতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে।
সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ধীর গতির হলেও সময় গড়াতেই নিজেদের মানিয়ে নেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম ওভার থেকে মাত্র ৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে পরপর দুটি ওভার মেডেন দিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেয় আইরিশরা। উইকেট থেকে শুরুর দিকে সহায়তা পেয়েছে বোলাররা। তাই একটু সাবধানে ব্যাট চালান দুই ব্যাটসম্যান।