বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান যেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই রাজত্ব করে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অল-রাউন্ডার। ব্যাটে, বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় জয়ের পিছনে রয়েছে সাকিবের অবদান। সাকিব একই সাথে বিশ্বের নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলে উজ্জ্বল করেছেন দেশের সুনামও। তিনি এমন এক ক্রিকেটার যিনি বাংলাদেশের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন।
১৯৮৭ সালে জন্ম নেয়া সাকিব সময়ের সাথে সাথে পা দিয়েছেন ৩৪ বছরে। স্বাভাবিকভাবেই বলা চলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রায় শেষের দিকেই চলে এসেছেন সাকিব। হয়তো আরও বেশ কিছু বছর সাকিবের সার্ভিস বাংলাদেশ দল পাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সাকিব অবসর নিলে পরবর্তী 'সাকিব' কে হবেন? বা, বাংলাদেশ কি আদৌ পরবর্তী 'সাকিব' পাবে?
সাকিব এমন একজন ক্রিকেটার ছিলেন যার মানের ক্রিকেটার পাওয়া সহজ নয়। তবে একেবারে অসম্ভব সেটিও বলা যাবে না। দলের হয়ে ব্যাট কিংবা বল হাতে সব সময়ই অবদান রাখতেন সাকিব। সাকিবের বিকল্প হিসেবে কে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে তা প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রায় সময়ই স্বয়ং নির্বাচকরা বলে থাকেন যে, সাকিব কোন কারণে কোন ম্যাচ না খেললে সাকিবের অভাব পূরণের জন্য একাদশে দুইজন খেলোয়াড়কে অতিরিক্ত খেলাতে হয়। নির্বাচকদের এমন মন্তব্যই প্রমাণ করে বাংলাদেশ দলে সাকিবের ভূমিকা কত গুরুত্বপূর্ণ।
সময়ের সাথে সাথে সাকিবকে এক সময় অবসর নিতে হবে সেটাই স্বাভাবিক। হয়তো সেদিনও খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু সাকিব অবসর নিলে কিভাবে তার জায়গা পূরণ করা হবে কিংবা সাকিবের বিকল্প হিসেবে কাউকে গড়ে তোলা অথবা সাকিবের বিকল্প কি আদৌ খুঁজে পেয়েছে বিসিবি? বা খোঁজার চেষ্টা করেছে কি? অথবা নতুন 'সাকিব' গড়ে তোলার কাজটুকু করেছে কি? খুব সম্ভবত, সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই হবে 'না'।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবির উচিৎ এখন থেকেই পরবর্তী 'সাকিব' ইস্যু নিয়ে চিন্তা করা। কারণ, সাকিবের মানের ক্রিকেটার একদিনে যেমন পাওয়া যাবে না তেমনি একদিনে তৈরিও করা যাবে। সেজন্য প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ও বিসিবির আন্তরিক প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দাপটের সাথে খেলতে হলে একজন 'সাকিবের' কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক বা একাধিক ক্রিকেটারকে এক সময় সাকিবের বিকল্প বা সাকিবের সমমানের মনে করা হতো। কিন্তু পরিপূর্ণ যত্নের অভাবে সেই ক্রিকেটাররা আজ জাতীয় দলে অনিয়মিত। আবার, বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের মাঝেও সাকিবের বিকল্প দেখছেন কেউ কেউ। নিঃসন্দেহে তারা ভালো মানের ক্রিকেটার। কিন্তু একজন 'সাকিব' হয়ে উঠতে যে পরিমাণ নার্সিং প্রয়োজন সেটা বিসিবি নিশ্চিত করছে কিনা সেটিও দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে এতোটুকু বলা যায় যে, পরবর্তী 'সাকিব' পেতে হলে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে বিসিবিকেই।
মন্তব্য করুন
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি–টটেনহাম ম্যাচে তখন ৩–৩ সমতা। খেলা চলছিল যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটের। ঠিক সে সময় রদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টায় ফাউলের শিকার হন আর্লিং হলান্ড। রেফারি ফাউলের বাঁশি না বাজিয়ে সুবিধা দিয়ে খেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেন। যার সুযোগ নিয়ে হলান্ড বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থ জ্যাক গ্রিলিশের উদ্দেশে।
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি–টটেনহাম ম্যাচের তখন উত্তেজনাকর অবস্থা।
ম্যাচে তখন ৩–৩ গোলে সমতা। খেলা চলছিল অতিরিক্ত সময়ের। প্রতিপক্ষের গোলের দিকে এগিয়ে
যাচ্ছিলেন হলান্ড। সে সময় তাকে ফাউল করা হলেও বাঁশি বাজাননি রেফারি। হলান্ড গ্রিলিশের
কাছে বল বাড়িয়ে দেন। গ্রিলিশ গোলে শট নেওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে অনেকটা আকস্মিকভাবে ফাউলের
বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হওয়ায় হলান্ড সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে তেড়ে যান রেফারি সাইমন হুপারের দিকে। এমন আচরণে হলুদ কার্ড দেখেছেন হলান্ড।
এ নিয়ে ম্যাচের পরও ক্ষোভ আড়াল করতে পারেননি নরওয়েজীয় তারকা। এমনকি টটেনহামের
দুই খেলোয়াড় জিওভানি লো সেলসো ও ব্রেনান জনসনের সঙ্গেও লেগে যায় তাঁর। এ সময়ও চিৎকর
দিয়ে গালিবাচক শব্দ উচ্চারণ করতে দেখা যায় তাঁকে। পরে ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও রিটুইট
করেছেন হলান্ড। সঙ্গে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার হয়, এমন একটি শব্দ।
যে কারণে হলান্ডের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এমনকি খেলোয়াড়দের
নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সিটির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযোগ এনেছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
(এফএ)।
এ ঘটনার পর প্রায় সারা দিন ধরে রেফারির ওপর হলান্ডের ক্ষোভ প্রকাশের একটি
ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি এ ছবির নানা ক্যারিকেচারও ছড়িয়ে পড়েছে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তেমন একটি ক্যারিকেচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট
করেছে ‘আউট অব কনটেক্সট ফুটবল’ নামে একটি পেজ।
তারা মূলত হলান্ডের স্বদেশী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এডভার্ড মুঙ্কের বিখ্যাত
ছবি ‘দ্য স্ক্রিম’কে ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি করে। তাদের সেই পোস্ট নিজের ওয়ালে রিটুইট
করে হলান্ড লিখেছেন, ‘এটা সারা দিনে প্রথমবারের মতো আমার মুখে হাসি ফোটাল।’
সেই পোস্টের নিচেও অবশ্য হাস্যরস করেছেন অনেকে। আবার কেউবা এমন আচরণের জন্য
হলান্ডের শাস্তিও চেয়েছেন।
ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ হলান্ড টটেনহাম ফিফা
মন্তব্য করুন
সময়টা ভালোই যাচ্ছে দেশের নারী খেলোয়াড়দের। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন
তারা। খুবই ভালো সংবাদ এগুলো। ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল হারিয়েছে শক্তিশালী
দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আর এদিকে দেশের মাটিতে নারী ফুটবল দল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সিরিজ
জিতলো।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আছে। সেখানে তিন ম্যাচের
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়লাভ করেছে। বেশ
দাপট দেখিয়েই খেলেছেন মুর্শিদা-জ্যোতিরা। এই জয়ে ১১ বছর পর প্রোটিয়া নারীদের হারালো
বাংলাদেশ।
নারী ক্রিকেট দলের সময়টা ভালোই গেছে এই বছর। তাদের পারফর্মেন্সে উন্নতির
ছাপ স্পষ্ট। এই বছরে তারা ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টির মধ্যে
একটি জিতে দুটিতে হেরে সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে সিরিজ ড্র করেছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দেশের মাটিতে প্রথমবারের
মতো সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে টাইগ্রেসরা। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে এটি বাংলাদেশের
তৃতীয় সিরিজ জয়। ৪ বছর পর এমন কিছুর স্বাদ পেল তারা। এর আগে ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডকে
২-১ ও ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। ওই দুটি সিরিজই অনুষ্ঠিত
হয়েছিল ভিনদেশে। আয়ারল্যান্ডকে তাদের মাটিতে মোকাবিলা করলেও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মেয়েরা
খেলেছিল নেদারল্যান্ডসের মাঠে।
এবার জ্যোতি-ফারজানারা আশায় আছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদেরকে হারিয়ে
এক রেকর্ডের জন্ম দিতে।
বলে রাখতে হচ্ছে, পুরুষ ক্রিকেট দল সকলরকম সুযোগ-সুবিধা পেয়েও এশিয়া কাপ
চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে নারী ক্রিকেটের ইতিহাস খুব দীর্ঘ না হলেও বাংলার নারীরা
এশিয়া কাপ জয় করেছে।
ফুটবলেও গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে নারী ফুটবলারদের সাফল্য। ২০২২ সালের
১৯ সেপ্টেম্বর সাফ গেমসের ফাইনালে বাংলাদেশ ও নেপাল মুখোমুখি হয়, এতে বাংলাদেশ জাতীয়
নারী ফুটবল দল নেপালকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে তাদের প্রথম শিরোপা অর্জন করে।
২০২২ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন দলটি তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার
চেষ্টা করছে।
এখন দেশের মাটিতে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সিরিজ চললেছ। সিঙ্গাপুর ফিফা রেংকিংয়ে
এগিয়ে থাকায় প্রীতি ম্যাচ দুটিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আগেভাগে খুব বেশি কিছু বলা
যায়নি। কিন্তু এই দুই ম্যাচে খুবই ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
সাবিনাদের পারফর্মেন্সে সিঙ্গাপুর কোচ করিম বেঞ্ছেরিফা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে
৮-০ গোলে সফরকারী সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণা চাকমা জোড়া গোল
করেছেন। আবার জোড়া গোল করতে অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
নারী ফুটবলে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দশের অধিক গোল দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সিনিয়র
দল ভুটানকে সর্বোচ্চ ৯-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। ৮ গোলের ব্যবধানে জয় রয়েছে একাধিক।
বছরটা শেষ যদি হয় ভালো খবরে আর সাফল্যে তাহলে নতুন বছরে নব উদ্যমে শুরু
করতে পারবে। নারী ক্রিকেট ও ফুটবলের এই সুবাতাস আরও দীর্ঘ সময় ধরে থাকুক। নারীরা এগিয়ে
যাক।
নারী ফুটবল দল নারী ক্রিকেট দল বাফুফে ফিফা বিসিবি ক্রিকেট সাবিনাা জ্যোতি
মন্তব্য করুন
র্যাঙ্কিংয়ে সাবিনাদের থেকে বেশ এগিয়ে সিঙ্গাপুরের নারীরা তবে এতো এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না তারা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলের জয় এরপরের ম্যাচে আরও ভয়ংকর চেহারায় বাংলাদেশের নারীরা। একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে গোল উৎসবে মাতে সাবিনা খাতুনের দল। সিঙ্গাপুরের জালে এবার গুনে গুনে ৮ বার বল পাঠালেন সাবিনা-তহুরারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে সফরকারীদের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতলো ২-০ ব্যবধানে। ২০২৩ সালের নিজেদের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশ নারী দল জিতেই বছরের ইতি টানল।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুরকে তিন গোল দেয় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয়ার্ধে আরও পাঁচ গোল হজম করে বাংলাদেশের নারী দল থেকে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলটি। দ্বিতীয় হাফে গোল করেন সানজিদা আক্তার, ঋতুপর্ণা চাকমা, সাবিনা খাতুন, সুমায়া মাতসুশিমা ও শামসুর নাহার। প্রথমার্ধেও একটি গোল দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তহুরা খাতুন প্রথম হাফে দুই গোল দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় হাফে একটি গোল অফসাইড হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সিঙ্গাপুর নারী ফুটবল দল ফিফা প্রীতি ম্যাচ
মন্তব্য করুন
ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা তা সবারই জানা। ভদ্রলোকের খেলা হলেও এই খেলায় বিভিন্নভাবেই
কালিমা লেপন করা হয়েছে। ভদ্র খেলোয়াড়দের দ্বারাই সংঘটিত অনেক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের
সাক্ষ্মীও হয়েছে বিশ্ব। সেগুলোরে মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিং, বল টেম্পারিং সবচেয়ে বেশি আলোচিত।
মাঠের ভেতরে ও বাইরেও নানা কথা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকে। আবার মাঠের বাইরের ঘটনা বিবেচনায়
আনলে ক্রিকেটারদের জীবনেও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা নেহায়েৎ কম নয়।
অভিযোগ উঠার পরে কেউ হয়তো দোষী প্রমাণিত হয়েছেন, কারো ক্ষেত্রে আবার সেসব ছিল নিছকই গুজব। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারির কারণে বহুবার ক্রিকেটের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে;। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারেরও ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনেও বড় ঝড় নেমে এসেছে।
এমনই কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলা যাক, যারা নিজেদের সময়ে ছিলেন ক্রিকেটের ব্যাড বয়।
শেন ওয়ার্নঃ
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। ক্রিকেটের পাশাপাশি
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রেও সেরা ছিলেন ওয়ার্ন। তাঁর ক্যারিয়ারে প্রথম বিতর্কের
শুরু হয় ২০০০ সালে।
সে সময় ব্রিটিশ সেবিকা ডোনা রাইটকে মেসেজ এবং ফোন কলে হয়রানি করেন অজি স্পিনার
যা পরে প্রকাশিত হলে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয় তাকে। এর তিন বছর পর আরো গুরুতর
কাজ করে বসেন শেন ওয়ার্ন। মেলবোর্নের অ্যাডাল্ট মডেল অ্যাঞ্জেলা গ্যালাগারের তিন মাসের
সম্পর্কের কথা জনসম্মুখে আসে।
তবে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে ২০০৬ সালে। সেই বছর শেন ওয়ার্ন দুইজন ব্রিটিশ মডেলের সঙ্গে এক বিছানায় ক্যামেরাবন্দী হন। ক্রিকেটের বাইরে বারবার এমন সব ঘটনার জন্য আলোচনায় উঠে আসতেন অজি কিংবদন্তি।
ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)
ইংলিশ কিংবদন্তি ইয়ান বোথাম তাঁর স্ত্রী ক্যাথি বোথামের সঙ্গে প্রতারণা
করে নিন্দিত হয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েট্রেস কাইলি ভেরেলসের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন
তিনি। এই জুটি দুই বছর এই অবৈধ সম্পর্কে ছিলেন এবং তাদের প্রায় বিভিন্ন পাঁচ তারকা
হোটেলে ছদ্ম নামে অবস্থান করার খবর জানা যায়।
এমনকি ইয়ান বোথাম তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে কাইলিকে বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা
করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য কথা রাখেননি বোথাম। মজার ব্যাপার, কাইলি এই ঘটনা নিয়ে
অভিযোগ করলে স্বয়ং ক্যাথি বোথাম তাঁর স্বামীকে সমর্থন করেছিলেন।
হার্শেল গিবস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার হার্ড হিটার হার্শেল গিবসের কেলেঙ্কারির কথা তিনি নিজেই
সামনে আনেন। নিজের লেখা আত্মজীবনী ‘টু দ্য পয়েন্ট’-এ গিবস তাঁর খারাপ দিকগুলো তুলে
আনেন। গিবস জানান ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার জন্য তাকে অনুপ্রাণিত
করেছিল একজন নারী, যার সাথে তিনি এর আগে রাত কাটিয়েছিলেন।
আবার ১৯৯৭/৯৮ সালে এক অ্যাডাল্ট মডেল গিবসকে তাদের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়
এবং বলাই বাহুল্য, গিবস সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করেছিলেন। এছাড়া টু দ্য পয়েন্ট বইতে এই
প্রোটিয়া ক্রিকেটারের আরো কয়েকটি নারী কেলেঙ্কারির কথা লেখা রয়েছে।
ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম ক্রিস গেইল কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রেও
ছিলেন অগ্রণী। আলো ঝলমলে পার্টিতে মগ্ন থাকা গেইল সব সময় পাশে নারী সঙ্গী কামনা করেন।
২০১২ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন হোটেল রুমে গেইল এবং তাঁর কয়েকজন সতীর্থের সাথে তিনজন
ইংলিশ নারীকে দেখা যায়।
এমনকি ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক হোটেল স্টাফকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ওঠে ক্রিস গেইলের নামে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান উপস্থাপিকাকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে সমালোচিত
হন ক্যারিবীয় তারকা।
কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের তৎকালীন ড্রেসিংরুমে অনেক ভদ্র ক্রিকেটারের মাঝে কেভিন পিটারসেন
ছিলেন উচ্চ বিলাসী একজন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে
পড়েছিলেন পিটারসেন।
এসময় বিউটি গার্ল খ্যাত ভেনেসা নিম্মোর সাথে কেভিন পিটারসেনের অবৈধ সম্পর্কের
কথা প্রচার হয়ে যায়। মূলত পিটারসন কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার পরে ভেনেসা জনসম্মুখে ইংলিশ
ব্যাটারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বেশকিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের
কথাও প্রকাশ করেন এই তরুণী।
শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
পাকিস্তানি তারকা শহীদ আফ্রিদি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার। তবে ক্রিকেট
জীবনের একেবারে শুরুতে ২০০০ সালে নারী ঘটিত কারনে খবরের শিরোনাম হন এই অলরাউন্ডার।
এসময় হাসান রাজা, আতিক উজ জামানদের সাথে আফ্রিদিকে কয়েকজন তরুণীর সঙ্গে আড্ডা দিতে
দেখা যায়।
অবশ্য পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা দাবি করেছিলেন এরা তাদের ভক্ত এবং সেখানে
শুধু আড্ডা দিতেই এসেছে। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের সাময়িক সময়ের
জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং পরবর্তী সময়ের জন্য সাবধান করে।
এদের ছাড়াও নারী কেলেঙ্কারির কারণে ড্যারেল টুফে, আন্ড্রে নিল, ইমাম উল
হক, সাব্বির রহমানের মত অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারে দাগ লেগেছিল।
রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ)
রীতিমত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশের এই পেসারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ
আর কেউ না, করেছিলেন তাঁরই সাবেক প্রেমিকা। সেই অভিযোগে শুধু গ্রেফতার নয়, তিনদিন তাঁকে
হাজতেও থাকতে হয়।
জামিন পেয়ে তিনি ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলতে যান, সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে
ঐতিহাসিক এক জয় উপহার দেন। অভিযোগদাতা নাজনীন আক্তার হ্যাপি অবশ্য এরপরে অভিযোগ তুলে
নেন। তাঁর আইনজীবী দাবী করেন, হ্যাপি আর আইনী লড়াই চালিয়ে যেতে চান না।
নারী কেলেঙ্কারি ক্রিকেটার ক্রিকেট আফ্রিদি রুবেল বোথাম
মন্তব্য করুন
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছে বাংলাদেশ। ভালো
সুযোগ মিললেও কাজে লাগাতে পারছিল না বাংলাদেশ। বার বার আক্রমণের ফলে অবশেষে সফল বাংলাদেশ।
পেল গোলের দেখা।
আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা সেই তহুরা খাতুন এনে দিলেন এগিয়ে যাওয়া গোলটি।
এরপর আরো দুইবার গোল উৎসবে মাতল বাংলাদেশের মেয়েরা। তাতে প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে লিড নিয়ে
বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে আজ শুরুর দশ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুইবার সুযোগ
নষ্ট করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
সুযোগ মিলছিল কিন্তু তা গোলে পরিণত করতে পারছিল না মেয়েরা। অবশেষে ১৬ মিনিটে
এগিয়ে যাওয়া গোলটি পায় বাংলাদেশ। সাবিনার ফ্রিকিক দূরের পোস্ট থেকে ব্যাক ভলিতে ছয়
গজ বক্সে পাঠান আফিদা খন্দকার। হাওয়ায় ভাসা বল মাসুরা হেডে বাড়িয়ে দিলে সেই বলেই মাথা
ছুঁইয়ে জালে পাঠান তহুরা খাতুন।
দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা। সাবিনার কর্নার সিঙ্গাপুরের এক
ডিফেন্ডার ঠিকমত ক্লিয়ার করতে না পারায় গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন
ঋতুপর্ণা চাকমা। ২৪ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে মেয়েরা। বক্সের ভেতর থেকে ঋতুপর্ণার
জোড়াল শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক গ্লাভসে নিতে না পারায় দৌড়ে গিয়ে বল জালে পাঠান তহুরা।
শুরুর ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের ওপর কোনওরকম প্রভাবই ফেলতে পারেনি সিঙ্গাপুরের মেয়েরা।
নারী ফুটবল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বাফুফে ফুটবল বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর
মন্তব্য করুন
র্যাঙ্কিংয়ে সাবিনাদের থেকে বেশ এগিয়ে সিঙ্গাপুরের নারীরা তবে এতো এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না তারা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলের জয় এরপরের ম্যাচে আরও ভয়ংকর চেহারায় বাংলাদেশের নারীরা। একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে গোল উৎসবে মাতে সাবিনা খাতুনের দল। সিঙ্গাপুরের জালে এবার গুনে গুনে ৮ বার বল পাঠালেন সাবিনা-তহুরারা।