ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে তিন পরাজয়ের আফসোস আজও করে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail যে তিন পরাজয়ের আফসোস আজও করে বাংলাদেশ

ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরাতন ফরম্যাট টেস্ট। বলা হয়ে থাকে, টেস্টই ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও কঠিন ফরম্যাট। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে দলগুলো খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও টেস্ট ফরম্যাটে প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক বছর লেগে যায়। অভিজ্ঞতা, ধৈর্য না থাকায় অনেক দলই জয় কিংবা ড্রয়ের প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসও খুবই সুখকর নয়। সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফলো আনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটিতে ড্র করার দারুণ এক সুযোগ ছিল বাংলাদেশ দলের সামনে। মুশফিক, লিটন, সাকিবরা সেই আশা জাগালেও শেষ বেলায় এসে তীরে এসে তরি ডুবে বাংলাদেশের। শেষ বিকেলে টেল এন্ডার ব্যাটাররা উইকেটে টিকে থাকতে না পারায় ড্রয়ের পরিবর্তে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।

টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ফরম্যাটে আমরা বাংলাদেশের এমন পরাজয় অনেক দেখেছি। টেস্ট খুব বেশি না হলেও দেখা যায় যে, জয় কিংবা ড্রয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও হারার রেকর্ড নতুন নয় টাইগারদের জন্য। হয়তো অভিজ্ঞতা কিংবা কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে সেই ম্যাচগুলো নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। চলুন জেনে নেয়া যাক জয়ের কাছে এসেও পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া এমন কিছু টেস্টের কথা-

১। মুলতানের সেই টেস্ট: ২০০৩ এর সে সিরিজের আগে বাংলাদেশ টেস্ট জেতা তো দুরের কথা, প্রথম ইনিংসে লিডই নিতে পারেনি কখনো। সে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথমবারের মতো প্রথম ইনিংসে লিড নেয় বাংলাদেশ। মুলতানে যখন জয়ের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো খালেদ মাহমুদ সুজনের দল, সমর্থকরা ভেবেছিলেন হয়তো প্রথম ইনিংস লিডের মতো করে প্রথম টেস্ট জয়টাও ধরা দিচ্ছে সহসাই, কিন্তু বিধি বাম! নিখাদ নাম্বার টেন আর ইলেভেনের যুগে ২৬২ তাড়া করতে নেমে ২০৫ রানের মাথায় নিজেদের অষ্টম উইকেট হারিয়ে ফেলা ছিলো মহাবিপদের চেয়েও বেশি কিছু। সে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে ইনজামাম যখন পাকিস্তানকে স্বস্তির জয় এনে দেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়, সমর্থকদের চোখে তখন রাজ্যের বিস্ময়, অবিশ্বাস আর হতাশা। সেদিন বাংলাদেশের চোখের জল পাকিস্তানের সাফল্যের কনফেত্তি হয়ে ঝরে পড়েছিলো মুলতানের মাটিতে।

২। পন্টিংয়ে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের: সে টেস্টের একটা বড় সময় ধরে চালকের আসনে ছিলো বাংলাদেশ, প্রথম দিনে বিশ্বসেরা অজি বোলিং লাইনআপকে তুলোধুনো করে ৩৫৫ রান তুলে পরে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের একটা স্বাস্থ্যকর লিড তুলে নিয়েছিলো স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। যার কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ার্ন-গিলেস্পির তোপে পড়ে বাংলাদেশ ১৪৮ রানে ইনিংস গুটিয়ে গেলেও অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় চতুর্থ-পঞ্চম দিনের চিড় ধরা উইকেটে ৩০৭ রান। রফিকের ঘূর্ণিতে অজি মিডল অর্ডার খাবি খেলেও পন্টিংয়ের পেশাদারিত্বের ঠাসবুনটে করা অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

৩। ভেট্টোরি-ঝড়ে টাইগারদের স্বপ্ন ভঙ্গ: এ ম্যাচটা ছিলো সাকিবের আজকের সাকিব হয়ে ওঠার ম্যাচ। মাত্রই রফিক অবসর নিয়েছেন, স্কোয়াডে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার না দেখে সাংবাদিকরা ব্যাপারটা নিয়ে তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্সকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাকিবকে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে খেলাবেন বলে উত্তর দেন। বলে রাখা ভালো এতদিন পর্যন্ত সাকিব ব্যাটিং অলঅরাউন্ডার হিসেবে দলে ছিলেন। বিশেষজ্ঞ স্পিনারের ব্যাপারটা পরে ম্যাজিকের মতো ফলে গেলো, সাকিব ৩৬ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট। বাংলাদেশ পায় ৭৪ রানের একটা কার্যকর লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের ৭১ এ ভর করে কিউইদের সামনে ৩১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় টাইগাররা। রান তাড়া করতে নেমে যখন ব্ল্যাকক্যাপরা ক্লিনিকাল ফিনিশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন মাত্র ১২ ওভারের ব্যাবধানে তিন উইকেট হারালে বাংলাদেশের আশার পালে জোর হাওয়া লাগে। পরে ভেট্টোরি-ঝড়ে তা দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিউজিল্যান্ড পায় ৩ উইকেটের স্বস্তির জয়।


বাংলাদেশ   টেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে কলকাতা

প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই ফাইনালে, হারলে এলিমিনেটরে- এমন সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে আজ আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। যেখানে কলকাতার সামনে টিকতেই পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা। 

বোলারদের দাপটে আর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সহজে ম্যাচ জিতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল কলকাতা। আর কলকাতার কাছে হেরে কামিন্সদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।

২০২১ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদ ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান।

এদিন টস জিতে আমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। প্রায় সব দলকে ভোগানো ট্রেভিস হেড-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই হেডের (শূন্য) স্টাম্প ছিটকে দেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেককে (৩) আউট করেন বৈভব অরোরা। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। স্টার্ক প্রতিপক্ষকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শেষ দু’বলে পর পর আউট করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ় আহমেদকে (শূন্য)। স্টার্ক অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না। ১৯তম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেন কামিন্স। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের দেখে প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চাপে রয়েছেন। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা।

৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী এবং ছ’নম্বরে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে আগ্রাসী মেজাজে তাঁরা তুললেন ৬২ রান। পাল্টা আক্রমণের জন্য হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মূলত বেছে নিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে। বিশেষ করে ক্লাসেনকে আটকাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার। এ সময় শ্রেয়সের এক চালে সাজঘরে আবার লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তাঁর বলে ঠকে যান ক্লাসেন (২১ বলে ৩২)। জুটি ভাঙার পর নিজের ভুলে আউট হলেন রাহুলও।

৩৫ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। নিজের ভুলে আউট হয়ে হতাশ রাহুল সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে মাথা নীচু করে বসেছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তার সেই বসে থাকার ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এর পর আর হায়দরাবাদ তেমন রান তুলতে পারেনি। আবদুল সামাদ করেন ১২ বলে ১৬। শেষ দিকে ২টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে শেষ হয় কামিন্সদের ইনিংস।

এ দিন কেকেআরের সব বোলার উইকেট পেলেন। সফলতম স্টার্ক ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট বরুণের। ১৫ রানে ১ উইকেট রাসেলের। ১৭ রানে ১ উইকেট বৈভবের। ২৭ রানে ১ উইকেট নিলেন হর্ষিত রানা। নারাইনের ১ উইকেট এল ৪০ রান খরচ করে।

জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কেকেআর প্রথম থেকেই ছিল সাবলীল। নারাইন-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিলেন দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। ব্যাটিং ধস সামলাতে আগেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার নামাতে বাধ্য হয় হায়দরাবাদ। তাতে কামিন্সদের বোলিং আক্রমণও কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। শ্রেয়সও ৫টি চার, ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেললেন ২৪ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৫৩

প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনমতে দেড়শ'র বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।  

এদিন অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই- এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।

টেক্সাসের হিউস্টনে চলমান বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ সরাসরি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের আগেরদিন বিসিবি সেই দোলাচল কাটিয়ে দেশের বেসরকারি একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর কথা জানায়। ইতোমধ্যে যার সম্প্রচার মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যেমন সম্প্রচার, তেমনই বিব্রতকর খেলা উপহার দিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ওভার-স্টেপ করে পাঁচটি নো বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা, তবে সেখান থেকে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান (৪৭ বল) করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান করেছেন। টপ অর্ডারদের মধ্যে কেবল সৌম্য কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিল করেছেন লিটন, শান্ত ও সাকিবরা।

এর আগে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রবল বাতাসের মাঝে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে একাদশে ফিরলেও, তিনি নিজের পঞ্চম বলেই এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। যদিও সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।

শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।

ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান। অল্প সময় ব্যবধানে আউট অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলের সংগ্রামী ইনিংসে তিনি করলেন মাত্র ৩ রান।

একইভাবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সামনেও। কিন্তু সাকিব ১২ বলে ৬ রান করা অবস্থায় তিনিও রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ছিলেন। সেই জুটিই কিছুটা মান বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়ও।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-২০তে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন না কেউই। রান করতে ধুঁকছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে তিন উইকেটে ৬০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে শুরুটা মোটামুটি ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে দুজনের ৩৪ রানের জুটি।

সঙ্গীর বিদায়ের পরপরই আউট হন সৌম্য। তিনি ২০ রান করেন। তিনে নেমে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দুজনে যথাক্রমে ১৮ ও ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

টি-২০   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস হেরে বোলিংয়ে কলকাতা

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনাল মিলিয়ে আর মোট ৪ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে আজ মাঠে নেমেছে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঙ্গলবার (২১ মে) ফাইনালে ওঠার এই মহালড়াইয় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

লিগ পর্বে হায়দরাবাদকে ৩ রানের হারিয়ে আসর শুরু করেছিল কালকাতা। তাই হায়দরাবাদের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই কলকাতা। এই ম্যাচ দিয়ে কলকাতার হয়ে চলতি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ।

অন্যদিকে লিগ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই কামিন্সের দল। আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে হায়দরাবাদ।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল থ্রিপাঠী, হেনরিক ক্লাসেন, নীতিশ রেড্ডি, আবদুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, বিজায়কান্থ ভিয়াশান্থ ও টি-নটরাজন।

কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সুনীল নারিন, শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, ভাইভাভ আরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।


আইপিএল   সানরাইজার্স হায়দরাবাদ   কলকাতা নাইট রাইডার্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র, দেখা যাবে যেভাবে

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামছে টাইগাররা।

সিরিজের এই প্রথম টি-২০ ম্যাচটি দু’দলের কাছে ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মত টি-২০ ফরম্যাটে দেখা হবে দু’দলের। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম টি-২০ খেলার পর এরই মধ্যে এই ফরম্যাটে ২০টি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র হবে বাংলাদেশের ২১তম প্রতিপক্ষ।

এই সিরিজ সরাসরি কোন চ্যানেলে খেলা যাবে সেটি গতকাল দুপুর পর্যন্তও নিশ্চিত ছিল না। তবে অবশ্য রাত নাগাদ মিলেছে সুখবর। বিসিবি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ টিটু জানিয়েছিলেন, যে ভাবেই হোক সরাসরি দেখা যাবে এই সিরিজ। পরে রাতেই বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পরিস্কার করা হয় খেলা দেখার চ্যানেল সম্পর্কে। সরাসরি নাগরিক টিভিতে দেখা যাবে খেলা। এছাড়া অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে দেখা যাবে টফি অ্যাপে।

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন