ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিগ ব্যাশসহ টিভিতে আজকের খেলা

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail বিগ ব্যাশসহ টিভিতে আজকের খেলা

আজ কোথায় কি খেলা আছে সেই খোঁজাখুঁজি থেকে আপনি মুক্তি দিতে এবার দেখে নিন এই শিডিউল। আর ঠিক করে ফেলুন কখন কোন খেলায় চোখ রাখবেন। অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ নামছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। বিগ ব্যাশ,লা-লিগা সহ অনেক খেলা। 

ক্রিকেট
অ্যাশেজ সিরিজ
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
দ্বিতীয় টেস্ট, চতুর্থ দিন
সরাসরি, সকাল ১০টা
সনি সিক্স

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল
সরাসরি, সকাল ৯টা
মধ্যাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল
সরাসরি, সকাল ৯টা
টাইগার্সবিডি ইউটিউব

বিগ ব্যাশ লিগ
সিডনি থান্ডার-ব্রিসবেন হিট
সরাসরি, দুপুর ২টা ৪০ মিনিট
সনি সিক্স

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
কলম্বো স্টার্স-ডাম্বুলা জায়ান্টস
সরাসরি, বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট
জাফনা কিংস-গল গ্ল্যাডিয়েটর্স
সরাসরি, রাত ৮টা
টি স্পোর্টস ইউটিউব

ফুটবল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ
ভারত-নেপাল
সরাসরি, বিকেল ৩টা
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
সরাসরি, সন্ধ্যা ৭টা
টি স্পোর্টস টিভি ও ইউটিউব

লা লিগা
অ্যাথলেটিক বিলবাও-রিয়াল বেটিস
সরাসরি, রাত ৯টা ১৫ মিনিট
গেটাফে-ওসাসুনা
সরাসরি, রাত ১১টা ৩০ মিনিট
রিয়াল মাদ্রিদ-কাদিস
সরাসরি, রাত ২টা
টি স্পোর্টস টিভি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ম্যান সিটি-নিউক্যাসেল
সরাসরি, রাত ৮টা
লিভারপুল-টটেনহ্যাম
সরাসরি, রাত ১০টা ৩০ মিনিট
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
চেলসি-উলভারহ্যাম্পটন
সরাসরি, রাত ৮টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ২

টিভি   খেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্লে-অফের দৌঁড় থেকে ছিটকে মুস্তাফিজের জন্য চেন্নাইয়ের আক্ষেপ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল আইপিএলের ১৭তম আসরের। যেখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আসরের শুরু থেকেই নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই ছিল তারা। তবে শেষ দিকে এসে যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দল। যার জন্য প্লে-অফের দৌড় থেকেও ছিটকে গেছে তারা।

শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৫ রান। তবে রান রেটের হিসেবে ১৭ রান তুলতে পারলে প্লে-অফে জায়গা হতো চেন্নাইয়ের। কিন্তু সেটি করতে পারেনি তারা। মার্ক দয়ালের সে ওভার থেকে তোলে মোটে ৭ রান। এতে হারের পাশাপাশি রান রেটের হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো মৌসুম না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল চেন্নাইয়ের অধিনায়কের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা। এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে চোট, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু নয়।’

মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে চেন্নাইয়ের সম্পদ উল্লেখ করে রুতুরাজ বলেন, ‘আমাদের সামনের সারির দুজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।’

প্রসঙ্গত, এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে দেশে ফিরতে হয় তাকে। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরতে হয় মাথিশা পাথিরানাকেও।


Indian Premier League   IPL T20   আইপিএল   মুস্তাফিজুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বন্ধ চোখে থমথমে ধোনি, আনন্দে কাঁদলেন কোহলি

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরের প্লে-অফ। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল তিন দলের শেষ চার। বাকি ছিল মাত্র একটি দল। আর সেই শেষ দল হিসেবে লড়াই জমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। যেখানে প্লে অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল শুধু জয়। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল অঙ্ক কষে জয়। প্লে অফের অঙ্ক মিলিয়ে আইপিএলের শেষ চারে পৌঁছে গেছে বিরাট কোহলিরা। বিপরীতে বিদায় নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকার লড়াই হিসেবে আগেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল শনিবারের ম্যাচ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়াল চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বলটি করতেই কোহলির পাগলাটে উচ্ছ্বাস দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শুধু উচ্ছ্বাস নয়, আনন্দে-আবেগে চোখের কোণও ভিজে গেল কোহলির। গ্যালারিতে কাঁদলেন তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। কাঙ্ক্ষিত জয় আসতেই চিন্নাস্বামীর মাঠে কোহলির দৌড়ের মধ্যে ছিল মুক্তির ছোঁয়া।

একটা সময় প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর কোহলি যেন ডানা মেলে উড়লেন মাঠে। মুদ্রার অন্য পিঠও চোখ এড়ায়নি ক্রিকেটভক্তদের।

দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুলতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের ধোনি। ২০তম ওভারের প্রথম বলে দয়ালকে মারা বিশাল ছক্কাটায় তার পরিচিত সিংহ মেজাজ ধরা পড়েছিল।

ধোনির ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরুর শিবিরে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তেমনই আশার আলো জ্বলেছিল চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখ চকচক করছিল ধোনির ছক্কার পর।

পরের বলে আবার ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে বাউন্ডারির লাইনের কাছে থাকা স্বপ্নিল সিংহের হাতে ধরা পড়েন ধোনি। মুহূর্তে বদলে গেল দুই শিবিরের ছবি। হতাশায় ব্যাটে ঘুষি মারলেন ধোনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়তো তখনই ভবিতব্য পড়ে ফেলেছিলেন।

ধোনি যখন হতাশ হয়েছেন, তখনই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে কোহলিকে। আবার কোহলির হতাশায় স্বস্তি পেয়েছেন ধোনি। টান টান ম্যাচে ক্রমাগত বদলেছে দুই ক্রিকেটারের মুখের অবয়ব। তাদের স‌ঙ্গে বদলেছে চিন্নাস্বামীর আবহ। ক্রিকেট তো এমনই!


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইদুনা পার্কে রয়েসের রাজকীয় বিদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে সমাপ্তি হলো মার্কো রয়েস-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দীর্ঘ এক যুগের সম্পর্ক। বয়স ভিত্তিক দলের সাথে সম্পর্ক হিসেব করলে এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব আরও বেশি। হিসেব করলে এই সম্পর্কের সময় দাড়ায় ২১ বছর। পৃথিবীর সব সম্পর্কেরই শেষ আছে। তেমনি শেষ হয়েছে মার্কো রয়েসের ডর্টমুন্ডের সম্পর্কও। আর তার এই বিদায় হয়েছে রাজকীয় ভাবে।

ডর্টমুন্ডের সাথে রিউসের এই পথ চলার সময়ে কতো কিছুই না পাল্টেছে। কত ফুটবলার তারকা হয়েছেন, নিজের শৈশবের ক্লাব থেকে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য ক্লাবে, বহু চড়াই-উৎরায় পাড় করে অনেক ক্লাব উঠে এসেছে লিগের শীর্ষ স্থানে, কেউ আবার নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নেমে গেছে তলানিতে। কিন্তু এই সময় বদলায়নি খালি মার্কো রিউসের ঠিকানা।

ইউরোপের বহু নামি-ক্লাব থেকে অফার পেলেও ছাড়েনি ক্লাব। তাই ফ্যানদের কাছ থেকে ‘লয়ালটির’ ট্যাগও পেয়েছে সে।

এর আগে ২০১২ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে মূল দলে অভিষিক্ত হয় রয়েস। এরপর কেটে গেছে ১২ টি মৌসুম। এই ১২ মৌসুমে ডর্টমুন্ডের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন রয়েস। অবশেষে গত ৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্মান তারকা ঘোষণা দেন এই মৌসুমেই ক্লাব ছাড়বেন তিনি।

গতকাল (১৮ মে) ডর্টমুন্ডের ইদুনা পার্কে ডার্মস্টাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ডর্টমুন্ড। এই ম্যাচটি কাগজে-কলমে গুরুত্বহীন হলেও ডর্টমুন্ড সমর্থকদের জন্য ছিল ভিন্ন। কারণ এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইদুনা পার্কে হলুদ জার্সি পড়ে শেষ বারের মতো দেখা যাবে ক্লাবের ‘লয়াল বয়’ মার্কো রয়েস। ম্যাচের শুরুতেই তাকে দল থেকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব হনার’। ম্যাচ শেষে তাকে অশ্রু সিক্ত বিদায় দেন ডর্টমুন্ড ফ্যান ও খেলোয়াড়রা।

ইদুনা পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটি অবশ্য রাঙ্গিয়ে নিয়েছে রয়েস। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে এক অসাধারণ ফ্রি কিকের মাধ্যমে গোল করেন রয়েস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ৪-০ তে ডার্মস্টাটকে বিধ্বস্ত করেছে ডর্টমুন্ড। দলের পক্ষে অন্য তিনটি গোল করেন জুলিয়ান ব্রান্ডট, মালেন ও ইয়ান মাতসেন।

ডর্টমুন্ডের হয়ে ৪২৪ ম্যাচে খেলেছেন রয়েস। তাতে ১৬৮ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ১২৮টিতে। বরুশিয়ার হয়ে দুটি জার্মান কাপ এবং তিনটি জার্মান সুপার কাপ জিতেছেন রয়েস।


মার্কো রয়েস   ডর্টমুন্ড   বুন্দেসলিগা   ইদুনা পার্কে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জেতার জন্য শেষ ওভারে দরকার ৩৫ রান। প্লে-অফে যেতে হলে ১৭ রানই যথেষ্ট ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য। যশ দয়ালের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে দ্বিতীয় বলেই ধোনিকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন দয়াল।

গত আসরে শেষ দুই বলে ১০ রান নিয়ে চেন্নাইকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন জাদেজা। আজও একই সমীকরণ ছিল তার কাছে। কিন্তু বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি তিনি। পরপর দুই বলেই ডট দিয়ে চেন্নাইকে ডোবালেন হারের বেদনায়, আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ভাসল প্লে-অফে ওঠার আনন্দে।

বিরাট কোহলিদের একটা সময় বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু টানা ছয় ম্যাচ জিতে আসরের শেষ দল হিসেবে সেরা চারে নাম লেখালেন তারা। যা পূর্ণতা পায় চেন্নাইকে ২৭ রানে হারানোর ফলে।

বেঙ্গালুরুর আকাশে বৃষ্টি নেমেছে ঠিকই, কিন্তু খেলায় সেভাবে জটিলতা তৈরি হলো না। মাঠে গড়াল সেই ৪০ ওভারই। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে ২১৮ রান জমা করে বেঙ্গালুরু। ফাফ দু প্লেসি বিরাট কোহলির উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৭৮ রান। কোহলি ফিফটি করতে না পারলেও (৪৭) পেরেছেন দু প্লেসি। কিন্তু দারুণ ছন্দে থেকেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ৩৯ বলে তিনটি করে চার ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় চেন্নাই। থিতু হতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। এরপর অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র। প্রথমবার ফিফটি পাওয়া রবীন্দ্র দারুণ কিছুরই আশা জোগাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৭ বলে চার ছক্কায় ৬১ রানে ফেরেন এই কিউই ওপেনার। ১৪ রানের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে আবারও বিপাকে পড়ে চেন্নাই। এবার ম্যাচের মোমেন্টাম বদলানোর দায়িত্ব নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ধোনিকে নিয়ে চেন্নাইকে প্লে-অফে নেওয়ার মিশনে নামেন তিনি। তার ব্যাটিং রীতিমত ভড়কে দেয় বেঙ্গালুরুকে। তাই শেষ ওভারের আগপর্যন্তও ম্যাচ ঝুলছিল সমান পাল্লায়।

চেন্নাইয়ের জন্য কোনোমতে ১৮ রান বা এর কমে হারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত। কেননা ১৪ পয়েন্ট আগেই অর্জন করে রেখেছে তারা। যে কারণে রানরেটের মারপ্যাচে সমীকরণ ছিল ভিন্ন। বেঙ্গালুরুর অবশ্য জয়ের পাশাপাশি রানরেটের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। শেষ ওভারের আগে চেন্নাই জয় থেকে ৩৫ রান দূরে থাকলেও আতঙ্ক ছিল তাদের মনে। দু প্লেসি বল তুলে দেন যশ দয়ালের হাতে। বাঁহাতি এই পেসারকেই গত আসরে শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন রিংকু সিং।

এবারও প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন দয়াল। কিন্তু পরের পাঁচটি বল সুনিপুণভাবে করে তিনি দেখালেন শেষ ওভারে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তারও আছে। আর জাদেজা পুড়লেন আফসোসে। ২২ বলে ৪২ রানের তার অপরাজিত ইনিংসটি জলেই গেল। ধোনির ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংসটিও কাজে  এলো না শেষ পর্যন্ত।  ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করল বেঙ্গালুরু।


চেন্নাই   সুপার কিংস   বেঙ্গালুরু   আইপিএল   কোয়ালিফায়ার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন