ইনসাইড হেলথ

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ২৭ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

“দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের অভিযাত্রা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১ টায় মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে এই গোলটেবিল আলোচনা শুরু হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর।

আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা এক এক করে বঙ্গবন্ধুন স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিরা নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে একটি সুখী, সমৃদ্ধ এবং দারিদ্রমুক্ত দেশ হবে বাংলাদেশ।

আমাদের গ্রাম, ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক রেজা সেলিম বলেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনার দর্শন চিন্তাকে ধারন করে এগুবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার দর্শনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন। 

আলোচনায় মূল প্রবন্ধে পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, “আসুন আজ আমরা এই শপথ গ্রহন করি, বিধ্বস্ত মুক্ত বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। গুটি কয়েক সুবিধাবাদী নয়, সাড়ে সাত কোটি মানুষ তার ফল ভোগ করবে। আমি ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুখী এবং উন্নততর জীবন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষনে এই কথাগুলো বলেছিলেন।

আগস্ট মাস শোকের মাস। বাঙালীর হৃদয়ে রক্তক্ষরনের মাস। শোকের মাসে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গোল টেবিল বৈঠকে যে বিষয় নির্বাচন করেছে তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, জাতির পিতার একেকটি ভাষন এক একটি মহাকাব্য। ছয় দফা প্রণয়নের পর থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি ভাষনেই বাংলাদেশের রূপকল্প ছিলো। তিনি কেমন বাংলাদেশ গড়তে চান সে স্বপ্নের কথা বার বার বলেছেন। একটি জাতি রাষ্ট্রের অবয়ব এঁকেছেন।

১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন জাতির পিতা। ঐ দিন রেসকোর্স ময়দানের ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমাদের সাধারন মানুষ যদি আশ্রয় না পায়, যদি দেশবাসী খাবার না পায়, যুবকরা চাকরী বা কাজ না পায়, তাহলে এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, পূর্ণ হবে না।’ ঐ ভাষনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথাও শুনিয়েছিলেন তার প্রিয় দেশবাসীকে। তিনি বলেছিলেন ‘বাংলাদেশ আজ মুক্ত, স্বাধীন। এক জন বাঙালী বেঁচে থাকতেও এই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন দেশ রূপেই বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখবে এমন কোন শক্তি নাই।’ জাতির পিতার সেই অমর বানীই আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।

৭৫ এর পর পথ হারা বাংলাদেশকে তাই আবার পাকিস্তান বানাতে পারেনি হিংস্র দানবেরা। বাংলাদেশ আছে, থাকবে।
প্রশ্ন হলো জাতির পিতার স্বপ্ন কি ছিলো?
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ স্বপ্ন ছিলো স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হলো জনগনের মালিকানার স্বীকৃতি। এমন রাষ্ট্র যেখানে জনগনই ক্ষমতার উৎস।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ হলো বৈষম্য মুক্ত এক ভুখন্ড। বৈষম্য মুক্ত অর্থ হলো সব মানুষ তার নূন্যতম চাহিদা পূরণ করতে পারবে। রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিকের তার মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।
জাতির পিতার বাংলাদেশ হলো শান্তির বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ।
জাতির পিতার বাংলাদেশ স্বপ্ন হলো আত্মমর্যাদা এবং স্বনির্ভরতা।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সুখী, সমৃদ্ধ এক রাষ্ট্রের অবয়ব।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার রাষ্ট্র ভাবনাই সম্ভবত বিশ্বে একমাত্র রাষ্ট্র চিন্তা দর্শন যাতে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিপূর্ণ পরিকল্পনা রয়েছে। জনগনের সংগে একটি সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করা হয়েছে। এই রাষ্ট্র ভাবনায় একটি রাষ্ট্র অবয়বের পরিপূর্ণ চিত্র আঁকা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতা তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে যেতে পারেননি। সোনার বাংলা বির্নিমানের যাত্রা পথের শুরুতেই ৭১ এর পরাজিত শক্তি তাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সোনার বাংলার স্বপ্ন বির্বন এবং বিলীন হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট হয়।

বাংলাদেশ আবার একটি পাকিস্তান হবার পথেই হাটছিলো। বাংলাদেশ আবার একটি ক্ষুধা, দারিদ্রপীড়িত পর মুখাপেক্ষী রাষ্ট্র হিসেবেই বিশ্বের জন্য একটি দায় হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছিল। বাংলাদেশের জনগন আবার অধিকার হীন এক অন্ধকার টানেলে প্রবেশ করেছিল।

সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাড়ায় বাংলাদেশ। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানোর গল্পের নায়ক দার্শনিক রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ঐ দিন মানিক মিয়া এভিন্যুতে জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা তার লক্ষ্য ঘোষনা করেন। তিনি বলেন ‘বঙ্গবন্ধু ঘোষিত দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর কিছু পাবার নেই। সব হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে পাশে থেকে বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য।’

তাই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। তিনি জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ কে পূর্নতা দিতে এসেছেন। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার অনুসারীদের আদর্শিক চিন্তায় মৌলিক পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধুর সংগে রাজনীতি করা বঙ্গবন্ধু সৈনিকরা কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন গুলোর কথাই জানেন এবং বলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি স্বপ্নের দার্শনিক তাৎপর্য উপলব্ধি করেছেন। এক্ষেত্রে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সবচেয়ে ভালো কেস স্টাডি হতে পারে।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ভাবনাটি কিভাবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মাথায় এলো? এখানে শ্রদ্ধেয় আলোচক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ.বি.এম আবদুল্লাহ আছেন। এরকমই একটি গোল টেবিলে তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরনের জন্যই শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কথাটি সত্য। বঙ্গবন্ধু তৃণমূল পর্যন্ত সবচেয়ে দূর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ভাবনার বড় দিক ছিলো এটি। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ধারন করেন। তার রাষ্ট্র চিন্তা দর্শন উপলব্ধি করেন। তিনি তো গ্রামে গ্রামে হাসপাতাল করতে পারতেন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে গ্রামের মানুষের চিকিৎসা দিতে পারতেন? তা না করে কেন তিনি ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ করলেন?

পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, এপ্রসংগে আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যাং এর একটি স্মৃতিচারন উল্লেখ করতে চাই। মার্গারেট চ্যাং বাংলাদেশে এলেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে। সেখানে তিনি দোভাষীর কাছে জানতে চাইলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের পার্থক্য কি? গ্রামের এক নারী উত্তর দিলেন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক হলো নিজের বাড়ী আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হলো ভাড়াবাড়ী।’ কথাটির তাৎপর্য গভীর। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা কেবল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেননি। তার মালিকানা দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব দিয়েছেন। আত্ম পরিচয় দিয়েছেন। মর্যাদা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক যেন সেই স্বপ্নের প্রতিরূপ। আবার গণবিরোধী শক্তি যদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাহলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো জনগনের প্রতিষ্ঠান গুলো যে বন্ধ করে দেয়া হয় তার প্রমান আমাদের কাছেই আছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যেন আবার নষ্ট না হয় সেজন্য ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক কে সুরক্ষিত করেছেন। কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের মাধ্যমে এর মালিকানা জনগনের কাছে তুলে দিয়েছেন।

‘জনগন’ই ছিলো জাতির পিতার হৃদয় জুড়ে আর দার্শনিক শেখ হাসিনার কর্ম জুড়ে সেই জনগনের উন্নয়ন চিন্তা। এজন্য জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের অভিযাত্রায় প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক একেকটি দ্বীপ শিখা। যা বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার স্বারক। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনা তাই কেবল ইট-পাথরের বির্নিমান নয় জনগনের ক্ষমতায়ন এবং প্রত্যয়।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, কমিউনিটি গ্রুপ এন্ড কমিউনিটি সার্পোট গ্রুপ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর শাহানা পারভীন, আমাদের গ্রাম, ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার এর পরিচালক রেজা সেলিম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ.বি.এম আবদুল্লাহ।

কমিউনিটি ক্লিনিক   গোলটেবিল   আলোচনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

হাসপাতালের অনুমোদনহীন ক্যান্টিন-ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি হাসপাতালের ভেতরে অবৈধভাবে তৈরি করা অনুমোদনহীন ক্যান্টিন, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের (ফার্মেসি) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

শুক্রবার (১০ মে) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারা দেয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি বকেয়া বা পাওনা থাকলে তা আদায়ের ব্যবস্থা করে নির্দেশনা মানতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সরকারি হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা যাবে না। এ ছাড়া ইতোমধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখার নির্দেশ

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। 


স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন   অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জেনে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিয়ের আগে এই রোগের জিন বাহক কি না তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা দেওয়ার মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রামপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলো (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী   থ্যালাসেমিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাজের সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তার রোধে বাহকদের এবং আত্মীয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ব-এটাই হোক এবারের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিনবাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। এজন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেই পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ বা নারী কেউ এ রোগের বাহক কিনা তা নির্ণয় করা জরুরি। এছাড়া রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়াবহ এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলাও প্রয়োজন।  

রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   থ্যালাসেমিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসাসেবা খাতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৬৫ শতাংশ অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ৩৫ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে ৬৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

অভিযোগ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুন: অসুস্থতা নিয়েও পুরুষের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে নারী: গবেষণা

বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবাসংক্রান্ত ৬৬টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সময় নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩টি অভিযোগ। সে হিসাবে ৩৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৪৩টি অভিযোগ, যা মোট অভিযোগের ৬৫ শতাংশ।

এর মধ্যে ২০২৩ সালে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত ২৫টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে মানবাধিকার কমিশন, যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের ৩১ মার্চ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ২০২৩ সালের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে ২০২৩ সালের ২৫টি অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগী কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগ দুটি।

অন্যদিকে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) হয়ে গ্রহণ করা অভিযোগের সংখ্যা ২৩, যা এ সময় কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুয়োমটো অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ভুক্তভোগীদের দায়ের করা দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হলেও কমিশন কর্তৃক গৃহীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র তিনটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।

নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি অভিযোগ। সে হিসাবে গত বছর চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত অভিযোগের ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।

এদিকে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সর্বনিম্ন দুটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে কমিশন।

এর মধ্যে একটি অভিযোগ জমা পড়ে আর কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করে অন্যটি। ওই বছর কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ১২ অনুযায়ী, দেশের নাগরিকরা কমিশনে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অব্যবস্থাপনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কমিশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোন কোন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তার গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ আদালতে রিট করে কমিশন।

আরও পড়ুন: করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিকিৎসাসেবা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিয়মিত তাগিদ দিয়ে থাকি। চিকিৎসাসেবা খাতের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো বেশি আগ্রহী হতে হবে।’

এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কমিশন অনেক ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা নিতে এসে অনিয়মের শিকার রোগীদের অভিযোগ জমা পড়তে পড়তে পাহাড় হয়েছে। আবার ভুল চিকিৎসা, সেবা নিতে গিয়ে অনিয়মের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগও অনেক। স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত চিত্র শিগগিরই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরবে কমিশন। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনসাধারণকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করে কমিশন। গত বছর আমরা জরায়ু ক্যান্সারের ভুয়া ভ্যাকসিন, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে বাণিজ্য, ওষুধের মোড়ক পরিবর্তন করে বিদেশি ওষুধ বলে বিক্রি, অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না কমিশন। এ জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্যারিস নীতিমালার আলোকে আইনের সংশোধন জরুরি।’


চিকিৎসাসেবা   জাতীয় মানবাধিকার কমিশন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন