ইনসাইড হেলথ

সাতক্ষীরার কৃষ্ণকাটি গ্রামে আর্সেনিকের ভয়াবহ রূপ


Thumbnail আর্সেনিকের ভয়াবহ রূপ সাতক্ষীরার কৃষ্ণকাটি গ্রামে

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষ্ণকাটি গ্রামটিতে পানি বাহিত আর্সেনিক রোগের ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার। গত বিশ বছরে এই গ্রামে আর্সেনিক নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের সাত জন সহ ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

আর্সেনিকের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে তালার কৃষ্ণকাটি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ মানবতার জীবনযাপন করলেও নজরে আসেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। এমনকি বছরের কত জন মানুষ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্তাদের কাছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, আর্সেনিক প্রবণ এলাকায় তারা সুপেয় পানির ব্যবস্থা করছেন এবং অকেজো ওয়াটার প্লান্ট গুলো চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে কৃষ্ণকাটি গিয়ে দেখা যায়, আর্সেনিক নামক নীরব এই ঘাতকটি এই অঞ্চলের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ সাধারন মানুষের গ্রাস করেছে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। কৃষ্ণকাটি গ্রামের ২ হাজার লোক সংখ্যার সকল পরিবারের মধ্য  কেই না কেই এই মরণ ব্যাধি আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়েছেন। আর্সেনিক বিষে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না কর্তৃপক্ষ ।
 
জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ ধরে বছর কৃষ্ণকাটি গ্রামের মানুষরা আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মানবতার সাথে দিনাতিপাত করছেন। শরীরে আর্সেনিকের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছে এখানকার মানুষ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুটিগুটি ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় রোদে গিয়ে পরিশ্রম করতে পারেন না এলাকার পুরুষেরা।

আর্সেনিক নিরোধকল্পে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে সুপেয় পানির প্ল্যান্ট করা হলেও সেগুলো দীর্ঘ বছর যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে উক্ত গ্রামের প্রতিনিয়ত আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন। এলাকার শিশুরাও আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেকটা। এই এলাকায় নামকাস্থ গভীর নলকূপ থাকলেও আর্সেনিকমুক্ত পানি পাওয়া বেশ দুষ্কর। তাই এক প্রকার নিরুপায় হয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন তারা।

এদিকে, জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সরকারিভাবে ওয়াটার প্লান্ট বসানো হলেও সেটা দীর্ঘদিন যাবত অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারণে সুপ্রিয় পানি হতে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদের। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর দুই বার টিউবওয়েলের আর্সেনিক পরীক্ষা করার কথা থাকলেও জনস্বাস্থ্য বিভাগ তা করে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তথ্যমতে, আর্সেনিক আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বা হাতের তালুতে বাদামি ছাপ পড়া সহ সাধারণত বুকে, পিঠে কিংবা বাহুতে ‘পিগমেনটেশন’ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নেয়। সাদা এবং কালো দাগের পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির জিহ্বা, মাড়ি, ঠোঁট ইত্যাদিতে মিউকাস ব্রন মেলানোসিসও দেখা দেয়। কারও কারও হাতের চামড়া পুরো হয়ে যায়, আঙুল বেঁকে যায় । এছাড়া পায়ের আঙুলের মাথায়ও পচন ধরে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার অন্যান্য লক্ষণগুলো হচ্ছে- হজমে শক্তি কমে যাওয়া, পেটব্যথা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি।

স্থানীয় বাসিন্দা রুমানা বেগম জানান, সর্বপ্রথম কৃষ্ণকাটি গ্রামে তার পরিবারে আর্সেনিক শনাক্ত হয়। আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সাতজন সদস্য মারা গেছেন। একই পরিবার থেকে এতগুলো মানুষ আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এলাকায় সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিনিয়ত তারা পানি নামক বিষ গ্রহণ করছেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রতি বছরই এই গ্রামের অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। কখন নিজে ও সন্তানরা আর্সেনিকে আক্রান্ত হবেন, সেই শঙ্কায় রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জলিল মোড়ল জানান, তার সমস্ত শরীরে আর্সেনিক আছে। তবে কোনো ওষুধ খেয়ে এটা থেকে মুক্তি মেলেনি কারও। তার বাবা-দাদারাও আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। টিউবওয়েলে আর্সেনিক পরীক্ষা করে লাল রং দিয়ে সনাক্ত করে গেলেও সরকার সুপেয় পানির ব্যবস্থা না করায় বাধ্য হয়ে সেই পানি গ্রহণ করতে হচ্ছে।

রুহুল আমীন নামে অপর ব্যক্তি জানান, বর্তমানে কৃষ্ণকাটি এই গ্রামে ৫০-৬০টি পরিবারে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তিনি নিজেও একজন আর্সেনিক রোগী। রোদে গিয়ে পরিশ্রম করতে পারেন না, কারণ শরীরের ভেতর জ্বালাপোড়া করে।

নাজমা বেগম নামে এক রোগী জানান, আর্সেনিকে তার স্বামী, ছেলে, দেবর ও শ্বশুর মারা গেছে। দীর্ঘ ২০-২২ বছর নিজেও আর্সেনিক বয়ে বেড়াচ্ছেন। ঢাকায় গিয়ে কেমোথেরাপি দিতে হয়। তবে টাকার অভাবে বহুদিন ঢাকায় যাওয়া হয়নি ও চিকিৎসাও করানো হয়নি তার। সরকারের পক্ষ থেকে যদি এটা রোধে কোনো ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে কিছু বছর পরে হয়তো এই গ্রামটি জনশূন্য হয়ে পড়বে।

জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু জানান,  এই কৃষ্ণকাটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটা গওামে আর্সেনিকের ভয়াবহ আকার ধারণ করাসহ দিনদিন এরা মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই এলাকায় একই পরিবারের সাতজন ও  চারজন আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আর্সেনিক প্রতিকার করার মতো কোনো চিকিৎসা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তারা এই ব্যাধি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাধারণত বিশুদ্ধ পানির অভাবে আর্সেনিকের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানান ধরনের ক্ষত সৃষ্টির একটি পর্যায়ে ক্যান্সারে রূপ নিয়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে অনেকবার কয়েকটি ওয়াটার প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে সেটাতে আর্সেনিক নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। যদি আর্সেনিকমুক্ত ওয়াটার প্ল্যান্ট তৈরি করা সম্ভব হয় তাহলে আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানান তিনি।

তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকা সহ আশাপাশের এলাকাগুলোতে  অতিদ্রুত পুনরায় আর্সেনিক পরীক্ষা করা হবে। ওই এলাকায় কয়েকটি ওয়াটার প্ল্যান্ট করা থাকলেও সেগুলোর অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কাজ করা হবে। ওয়াটার প্ল্যান্টগুলো চালু করে তাদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো.হুসাইন সাফায়াত হোসেন  জানান, আর্সেনিক আক্রান্তদের খুব বেশি ভালো কোনো চিকিৎসা নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু মেডিসিন তাদের জন্য সাজেস্ট করা হয়। এতে করে আর্সেনিকের প্রবলতা কিছুটা কমে গেলেও সেটি নির্মূল হয় না।আর্সেনিকে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু।এ জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল প্রথম থেকে আর্সেনিকযুক্ত পানি না খাওয়া, বিশুদ্ধ পানি পান করা। প্রথমদিকে এটা নিয়ে বেশ জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে পানির আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে।তাছাড়া যে পানিটা আমরা পান করি, সেটা বছরে দুই বার শীতের সময় ও বৃষ্টির সময় আর্সেনিক পরীক্ষা করতে হবে।

আর্সেনিক   সাতক্ষীরা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেল সিভিল সার্জন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’

এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।

এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কক্ষেও।

সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন। এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।

এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   সিভিল সার্জন   স্বাস্থ্য বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনা রিং ও অপারেশনে হৃদরোগ প্রতিকারের সচেতনায় সাওলের সেমিনার

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাওল হার্ট সেন্টারের ৪০০তম ‘সাপ্তাহিক ফ্রি সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ)  সকাল ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট আব্দুল হাকিম মজুমদার, প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্য বিশারদ ড. আবু জামিল ফয়সাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা জাহান বারী বাঁধন, স্যোশাল আক্টিভিস্ট রাইসিন গাজী, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে এম কামাল, নাট্যজন আমিরুল হক চৌধুরী, রাজনীতিক মোশারফ হোসেন, সাওল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া হৃদরোগী নজরুল ইসলাম এবং সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।

জানা গেছে, সাওল সফলভাবে এ পর্যন্ত ১৮টি জাতীয়, ৭৬টি আঞ্চলিক ও ৪০০টি সাপ্তাহিক সেমিনার সম্পন্ন করেছে। এই সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ উপকৃত হয়েছেন।

সেমিনারে সাওল হার্ট সেন্টার-ভারতের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজেড়-এমডি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আগত অতিথিদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেন, সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মুতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফারহান আহমেদ। সেমিনারে উপস্থিত শুভাকাঙ্খী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ সাওলের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত অপারেশন ও বাইপাস সার্জারির বিকল্প হিসেবে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে চিকিৎসা দিচ্ছে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেড। আধুনিক মেশিন, মেডিসিন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে সাওলের নতুন ধারার হৃদরোগ চিকিৎসাপদ্ধতি আজ দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বাস্থ্য-সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে।

বিশ্বের চিকিৎসা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী- বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ১৩২টি শাখা সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেইন হার্ট কেয়ার সেন্টারের বাংলাদেশ শাখা ‘সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.‘জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সেমিনার আয়োজন করে আসছে।


সাওল হার্ট সেন্টার   হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার   ডাঃ বিমল ছাজেড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত ও অবারিত। তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে। তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে, সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা গুণে ও যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে হবে।’

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


ডা. সামন্ত লাল সেন   স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এতে অসুস্থতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা জরুরি। গরমের সময় যদি খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখা যায়, তাহলে ভালো।

এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।


শসা: শসাকে শীতল বলে থাকেন অনেকে। এতে অনেক তরল থাকে। তাই শসা খাওয়ার পর শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরকে হাইড্রেট করে এবং তাপ কমিয়ে আনে। সালাদ বা বিভিন্ন স্ন্যাকের সঙ্গে খেতে পারেন শসা।

লেবু: লেবুর শরবতের উপকারীতার কথা সবারই হয়তো জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর শরবত পানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শরবত বা সালাদে লেবু যোগ করার অভ্যাস করতে পারেন।

পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। জিরাপানি, বোরহানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন। পুদিনাপাতা গুঁড়া করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। যাঁরা চা খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা পুদিনার চা খেতে পারেন।

তরমুজ: তরমুজ খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। রসালো এই ফলটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিটিয়ে থাকে। গ্রীষ্মের জন্য দুর্দান্ত একটি ফল। এটি শুধু শরীর হাইড্রেটই করে না। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারের মতো উপাদান। যা শরীরের জন্য উপকারী।

সবুজ শাক: সবুজ শাক-সবজিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়ামও থাকে। যা শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য পালং শাক, লেটুস ও বাঁধাকপিসহ গ্রীষ্মকালীন শাক খেতে পারেন।

লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ সহজলভ্য। এটি ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাউয়ের স্যুপ।

ঢ্যাঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি—সবভাবে খাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়সের রং ঠিক থাকবে।

তোকমা দানা: এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।

আম: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এটি এমনই ফল, যা শরীরের তাপ কমাতে সহায়ক। এ জন্য গরমের সময় ডায়েটে আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কাঁচা বা পাকাসহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আম হজমের জন্যও সহায়ক। আবার হিট স্ট্রোক ঝুঁকি কাটিয়ে উঠা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যও আম অনেক উপকারী।

দই: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটি ঠান্ডা পানীর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। ভিটামিন বি এবং অন্ত্রবান্ধব ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ দই শরীরকে ভেতর থেকে প্রশান্তি দেয়।

ডাবের পানি: এটি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং একই সঙ্গে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এটি অন্যতম একটি পানীয়ও বটে। যা সারাদিন আপনাকে হাইড্রেটেড এবং শক্তিশালী রাখবে।

বাটার মিল্ক: বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মে বাটার মিল্ক পানীয় পান করা হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। একই সঙ্গে সহায়তা করে হজমে। তাই সুস্থতার জন্য পানীয় হিসেবে বাটার মিল্ক পানীয় পান করতে পারেন।

টমেটো: টমেটো জলীয় অংশবিশেষ ফল। টমেটো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, দুশ্চিন্তা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।


শরীর   খাদ্যতালিকা   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন