স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, একদিন দেশের মানুষ আর বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবে না বরং বিদেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে সেভাইে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই এর প্রমাণ বাংলাদেশ দেখিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে আমরা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চাচ্ছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকাদানের কর্মসূচিতে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি, বিশ্ববাসী যেটা পারেনি, আমেরিকা পারেনি, ভারত পারেনি, ইউরোপ পারেনি। কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, বাংলাদেশ রোল মডেল হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চিকিৎসা বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে এখন আর কী কী কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকার জন্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুন করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনী, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।’
শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক দোকানে, কল-কারখানায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধূলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে।
‘বাল্যবিয়ে মানে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেমেয়ের বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে হলে তারা যেখানে নিজেরাই শিশু থাকে, সেই শিশুদের মধ্যে আরেক শিশুর জন্ম হয়। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুকি অনেকখানি বেড়ে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ-সবল বুদ্ধিমান শিশু হতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজ করছি। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মা ও শিশু হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
এডিস
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হন লাখ লাখ
মানুষ, মৃত্যু হয় হাজার হাজার
জনের। প্রাণঘাতী এই রোগটি ঠেকাতে
একটি কার্যকর টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী
প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানসেন।
সম্প্রতি ইঁদুর ও বানরের ওপর সেই টিকার ট্রায়াল করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছেন জ্যানেসেনের ইমার্জিং প্যাথোজেন বিভাগের প্রধান নির্বাহী মার্নিক্স ভ্যান লুক।
ভাইরাসজনিত এই রোগটির প্রধান উপসর্গগুলো হলো তীব্র জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশি ও হাড়ের গ্রন্থীতে ব্যথা ও গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে অনুচক্রিকা বা প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং অনেক সময় শরীর থেকে রক্তক্ষরণও ঘটে। ভয়াবহ যন্ত্রণাকর সব উপসর্গের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগটি ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ নামেও পরিচিত।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরই প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোনো স্বীকৃত টিকা নেই। দু’টি টিকা অবশ্য আছে, কিন্তু সেগুলো বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নয়।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, দু’বছর গবেষণার পর জেএনজি-১৮০২ নামের একটি টিকা প্রস্তুত করেছে জ্যানসেন। নতুন এই টিকাটির মূল কাজ হলো, মানুষ বা প্রাণীদেহে প্রবেশ করা ডেঙ্গুভাইরাসের বংশবিস্তার থামিয়ে দেওয়া।
ইঁদুর ও রেসাস জাতের বানরের ওপর সেই টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছেন মার্নিক্স ভ্যান লুক।
‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি বানর এবং ইদুঁরের দেহে প্রথমে ভাইরাসটি এবং পরে আমাদের টিকা প্রয়োগ করেছি। আমাদের সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।’
ডেঙ্গুর সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপারটি হলো— এই রোগের চারটি ভাইরাসের কোনো একটিতে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে সেই অবস্থাতেই অন্য কোনো একটি ধরনে তিনি ফের আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
এ পর্যন্ত দুটি টিকা আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য। তার একটি হলো ডেংভাক্সিয়া। অল্প কয়েকটি দেশে এই টিকা পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের ওপর কার্যকর এই টিকাটি।
দ্বিতীয়টির নাম কোডেঙ্গা। গত বছর ডিসেম্বরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমোদন পেয়েছে এই টিকাটি। শিগগিরই ব্রিটেন ও ইন্দোনেশিয়াও এই টিকার অনুমোদন দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, বানর এবং ইঁদুরের দেহে প্রয়োগের পর এবার মানবদেহে এই টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনা করতে চান তারা। তবে সেজন্য আগে এই টিকার প্রয়োগের পর মানবদেহে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা— খতিয়ে দেখছে জ্যানসেন।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালে রেডিয়াল এক্সেস (হাতের ধমনী) এর মাধ্যমে হৃদরোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি (এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি)- এর উপর সিমুলেটরের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চীফ কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. ফজিলা-তুন-নেসা মালিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানী Terumo Singapore Pte. Ltd এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে গত ১৬ ও ১৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশবিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা সি এম এইচ, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে মোট ৩৬ জন তরুণ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ হাতে-কলমে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সিঙ্গাপুর থেকে আগত প্রশিক্ষকগণ এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞগণ। এই কর্মশালা বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে এবং এতে রোগীরা উপকৃত হবেন।
সিমুলেটর হৃদরোগ চিকিৎসা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কোনো সমস্যা ছাড়াই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য জোরালো কমিটি হয়েছে, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। তারা প্রশ্ন তৈরি করেছে। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ট্র্যাকিং করে প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (১০ মার্চ) এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কলা ভবনে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল ও ভেন্যুতে ২০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। এ বছর ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি। ছাত্রীরা বেশি পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৫৪ শতাংশ আর ছাত্র ৪৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী কম রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা পরিচালনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এখন করোনা সেভাবে নেই। এখানে কোনো প্রশ্নপত্র পাশ হয়নি, বিশৃঙ্খলা হয়নি।
তিনি বলেন, একটি দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকলে দেশ এগোতে পারে না। আজ পরীক্ষায় বেশি অংশগ্রহণ বলে দেয় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষায় ও মেয়েরা বেশি পাশ করছে। আমাদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগেও মেয়েরাও সবচেয়ে বেশি ৬০ থেকে ৭০ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
ভাইরাসজনিত এই রোগটির প্রধান উপসর্গগুলো হলো তীব্র জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশি ও হাড়ের গ্রন্থীতে ব্যথা ও গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে অনুচক্রিকা বা প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং অনেক সময় শরীর থেকে রক্তক্ষরণও ঘটে। ভয়াবহ যন্ত্রণাকর সব উপসর্গের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগটি ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ নামেও পরিচিত।
এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি। ছাত্রীরা বেশি পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৫৪ শতাংশ আর ছাত্র ৪৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী কম রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা পরিচালনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এখন করোনা সেভাবে নেই। এখানে কোনো প্রশ্নপত্র পাশ হয়নি, বিশৃঙ্খলা হয়নি।