অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ বংশগত। এতদিন এমনটাই শোনা যেত। কিন্তু, বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
২ মে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব অ্যাজমা দিবস’-এর সময় বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজিজ অফ দ্য চেস্ট অ্যান্ড হাসপাতালের প্রকাশিত সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। একইভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সি প্রায় ৫১ লক্ষ শিশু রয়েছে।
বাংলাদেশের NIDCH-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই হাসপাতালে যতজন চিকিৎসা নিতে আসে, তার ৩০ শতাংশই অ্যাজমা রোগী। এর মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশের বয়স ১৪ বছরে নীচে। গত বছরের তুলনা করলে দেখা যায়, ২০২২ সালে NIDCH হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৮ হাজার ৪৮০ জন অ্যাজমা রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ১৮১ জনের বয়স ১৪ বছরের নীচে। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি ১ হাজার ৪০৫ জন। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের ২ হাজার ৫০৭ জন আর ৫০ বছরে বেশি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৭ জন। আর এই হাসপাতালে গত বছরে ৩ হাজার পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪ বছরের নিচে ৮৯ জন। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সের ১৯৭ জন। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের ৮০১ জন, আর ৫০ বছরে বেশি এক হাজার ৯১৮ জন।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, একটা সময় জন্মগত অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন পরিবেশদূষণ, বায়ুদূষণ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে অ্যাজমা রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কেবল শহর নয়, গ্রামেও প্রচুর অ্যাজমা রোগী রয়েছে। ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ গ্রহণের হার বেড়েছে। তবে আশার কথা, আধুনিক চিকিৎসায় এই রোগে মৃত্যুর হার কমছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, জিনগত কারণ ছাড়াও শিশুদের অ্যাজমার অন্যতম কারণ হল, দূষিত বায়ু-ধূলিকণা ও ভাইরাস।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। তবে এসময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৭৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮৫ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩৩ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।’
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৪৮ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৭ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৪৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৩ জন।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫৯ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সোমবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।