স্বাদের দিক দিয়ে লিচুর কোনো তুলনা হয় না। তার উপর লিচুর খাদ্যগুণও যথেষ্ট। সব ফলেরই কিছু না কিছু উপকারিতা থাকে, লিচুতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এই ফল সম্বন্ধে আমাদের অনেক ভুলধারণা রয়েছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। অনেকে মনে করেন মিষ্টি স্বাদের লিচু খেলে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তাই লিচু খেতে ইচ্ছা করলেও সেই ইচ্ছা দমন করেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
বিশেষজ্ঞদের
মতে, এই ফলটির অন্তত পক্ষে ৮১ শতাংশ পানি। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য এটি
আদর্শ ফল। এর প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেটের কারণে স্বাদও বেশ মিষ্টি। গরম মোকাবিলায় লিচুর
তুলনা নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাত্র বিকল্প রয়েছে এবং
সেটি হলো ফল। ফল খাওয়া তাদের শুধুমাত্র পুষ্টি সরবরাহ করে না, তাদের দেহে চিনির মাত্রাও
বজায় রাখে।
বিশেষজ্ঞদের
কথায়, সুমিষ্ট ও রসালো ফল লিচুতে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে
কাজ করে।
উপকার ফল লিচুতে
আরও রয়েছে ফাইবার। এই ফাইবার কাজ করে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে। ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা
বৃদ্ধি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অনেক বেশি জরুরি। কারণ তার ইনসুলিন যত শক্তিশালী হবে,
ততই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও লিচুতে আরও অনেক গুণ রয়েছে। তবে
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এই দুই গুণই বেশি উপকারী।
সাম্প্রতিক
একটি গবেষণায় জানা গয়েছে, এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক
এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। লিচুর ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রি র্যাডিক্যালের
প্রভাব হ্রাস করা যায়। লিচু খেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থাও মেরামত হয়।
ডায়াবেটিস
রোগীদের লিচু খাওয়া নিরাপদ, তবে এটি পরিমিতরূপে খেতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যালোরির
যত্ন নিতে হবে। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন এবং কতটুকু ফল খাওয়া উচিত তা জেনে
নিন।
ডায়াবেটিস রোগী লিচু চিকিৎসা স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
ঢাকার তাপমাত্রা এখন প্রতিদিনই চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠছে। জুনের শুরুতে এসে দেশের গড় তাপমাত্রা যেমন থাকার কথা ছিল তেমনটি থাকেনি এবার। দেশে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে- তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে বলে মৃদু তাপপ্রবাহ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোন জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এই তাপমাত্রায় দিনের পর দিন বাইরে থাকলে বা কাজ করলে হিট এক্সহশন বা হিট স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। হিট স্ট্রোক একটা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি এবং অতি দ্রুত স্পেশালাইজড মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটিতে নিয়ে চিকিৎসা না করালে মৃত্যুর ঝুঁকি খুব বেশি।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ বা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্বন্ধে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:- দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকা এবং রোদ এড়িয়ে চলা, বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি/ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখা, হালকা রঙের ঢিলে ঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির জামা পরা, প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা, সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা ও বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা, দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকা, সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নেয়া বা গোসল করা, প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখা, তা হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া, ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, বেশি অসুস্থ বোধ করলে দ্রত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দাবদাহে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১২৫ মিলিয়ন। যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রম করে থাকেন, যেমন কৃষক অথবা রিকশাচালক- তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ তারা সূর্যের নিচে বেশি সময় কাটান।
আইসিডিডিআরবি’র মতে, সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে যারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি (রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক), যাদের ওজন বেশি- যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ,যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ আছে।
তাই এই প্রচন্ড গরম এবং তাপদাহের মধ্যে হিট স্ট্রোক যেন না হয় বা হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে আইসডিডিআরবি’র পরামর্শগুলো মেনে চলা অত্যাবশ্যকীয়।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করণীয় আইসিডিডিআরবি
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। আর এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ফলের কোনও বিকল্প নেই। ভারি খাওয়াদাওয়ার বদলে দুপুরের খাবারে অথবা দিনের যে কোনও সময় আম, তরমুজ অথবা বেদানার মতো ফল শরীরকে সতেজ রাখবে। সুতরাং গরমের ডায়েটে এই ৫ ফল অবশ্যই রাখুন।
তরমুজ
গরমের সুপারফুড
হল তরমুজ। একে গ্রীষ্মের সেরা ফল বলা যেতে পারে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে,
যার কারণে হাইড্রেশন ভাল হয়।
ওয়েবএমডির
রিপোর্ট অনুযায়ী, তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি রয়েছে। তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ খুবই
কম। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। তরমুজ লাইকোপিনসহ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে
সমৃদ্ধ, যা কোষের ক্ষতির ঝুঁকি কমায়।
আম
সব বয়সের মানুষই
আম খেতে পছন্দ করে। আম ক্যালরির ভাল উৎস। গ্রীষ্মকালে ক্লান্ত বোধ করলে আম খেলে তাৎক্ষণিক
শক্তি পাওয়া যায়। আমে আঁশ ও ভিটামিনের পাশাপাশি পটাশিয়ামও রয়েছে। আমের হলুদ রঙের
পিগমেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।
খরমুজ
খরমুজ ভিটামিন
এ সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়়ায় এবং প্রদাহ কমায়। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি
কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।
আপেল
প্রতিটি ঋতুতেই
আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গরমে আপেল খেলে শরীরে পানির অভাব
হয় না এবং হাইড্রেশন ভাল হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে প্রায় ৮৫ গ্রাম জল রয়েছে, যার
জন্য একে গ্রীষ্মের সুপার ফুড বলা যেতে পারে।
শসা
গ্রীষ্মকালে শসা খাওয়া অত্যন্ত ভাল। শসায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। শসা খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে না পারলে তাহলে অবশ্যই শসা খেতে হবে। শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ। এতে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মানুষ এবং অন্যান্য
প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের
ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া
হচ্ছে ঘুম বা নিদ্রা। ভালো স্বাস্থ্যে জন্য রাতে ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। ঠিকমতো
ঘুম না হলে কত যে শারীরিক সমস্যা জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়, সেই তালিকা দীর্ঘ। মানসিক
অস্থিরতা থেকে ওজন বেড়ে যাওয়া-ঘুমের ঘাটতি ডেকে আনে কিছু রোগও। তবে শুধু কম ঘুম নয়,
প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনে বিপদ। সেটা ঘুমের ঘাটতির চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক
হয়ে উঠতে পারে।
হৃদযন্ত্রের
সমস্যা
বেশি ঘুমালে
দিনের অনেকটা সময় শুয়ে শুয়েই কেটে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা
প্রয়োজন, প্রতিদিন সেটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তা নয়, রক্ত চলাচলেও
কিন্তু সমস্যা হতে পারে। রক্ত প্রবাহ ঠিক স্বাভাবিক না থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে যায়।
রক্তে শর্করার
মাত্রা বেড়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার
মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনো ব্যক্তি কেমনভাবে জীবনযাপন করছেন তার ওপর। কারণ
তার সারা দিনের খাওয়া-দাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এসব কিছুর প্রভাব পড়ে ওই ব্যক্তির বিপাকহারের
ওপর। দিনের বেশিরভাগ সময় যদি ঘুমিয়েই কাটে, সেক্ষেত্রে কোনো রুটিনই সঠিকভাবে মেনে চলা
যায় না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
প্রজনন ক্ষমতা
কমে যাওয়া
দীর্ঘ সময় ঘুমালে
শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে নারী এবং পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব
পড়ে। শারীরিকভাবে সক্ষম না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনগুলোর ভারসাম্যও নষ্ট
হয়।
স্থুলতা
বেশি ঘুমালে
ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। দিনের অধিকাংশ সময়ে ঘুমিয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই
শরীরচর্চার অভ্যাসে ভাটা পড়ে। শরীরচর্চা না করলেই ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তাছাড়া
ওজন বেশি হলে নানা রকম রোগও বাসা বাঁধবে শরীরে।
মন্তব্য করুন
ঢাকার তাপমাত্রা এখন প্রতিদিনই চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠছে। জুনের শুরুতে এসে দেশের গড় তাপমাত্রা যেমন থাকার কথা ছিল তেমনটি থাকেনি এবার। দেশে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে- তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে বলে মৃদু তাপপ্রবাহ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোন জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।