নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০১৮
আমাদের শরীর প্রকৃতির হাতে তৈরি এবং প্রকৃতির খেয়াল খুশিতেই চলে। মানুষ নিজে হয়তো তাঁর শরীরকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু শরীরের এমন কিছু ছোটখাটো রহস্য আছে যার কারণ আমরা আজও জানতে পারিনি। আজ জানবো এমন কিছু রহস্য সম্পর্কে-
আমাদের আঙ্গুলের ছাপ থাকে কেন, ভিন্ন ভিন্নই বা হয় কেন?
আমরা সবাই জানি যে আমাদের আঙ্গুলের ছাপ কারো সঙ্গেই মেলে না, এমনকি আইডেনটিক্যাল টুইনদের ক্ষেত্রেও না। কিন্তু কেন হয় এমনটা? বহু বছর আগে গবেষণায় জানা গেছে, কোনো কিছুকে আকড়ে ধরতে এরকম হাতের ছাপ হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় এটা সত্যি নয়। এরকম হাতের ছাপের কারণেই কোনো বস্তুকে পুরোপুরি স্পর্শ দিয়ে ধরা যায়না। তবে আসল কারণ আজও অজানা বিজ্ঞানীদের।
আমাদের কেন অ্যাপেনডিক্স থাকে
অ্যাপেনডিক্স এর কারণে অনেককে ব্যথা ভোগ করতে হয়। এতে ত্রুটি দেখা দিলে অর্থাৎ ব্যথা হলে দেহ থেকে অপসারণ করে ফেলা হয়। কিন্তু শরীরে এরপর কোনো খারাপ প্রভাব পড়েনা। বরং এটি এর কাজের চেয়ে দুর্ভোগ ঘটায় বেশি। চার্লস ডারউইন প্রথম অনুমান করেন যে, এই বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গটি বিবর্তনীয় পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে পাতা হজম হওয়ার কাজে ব্যবহার হত। যদিও অল্প কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে এই অঙ্গটি থাকে। যাই হোক, এই অঙ্গটি ইমিউন সিস্টেমের ওপর কিছু ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ‘নিরাপদ ঘর’ হিসেবেই কাজ করে। অর্থাৎ এটি নিজে তেমন কোন কাজ না করলেও ‘সিকোঅ্যাপেন্ডিকুলার কমপ্লেক্স’ এর একটি অংশ হিসেবে কাজ করে।
আমাদের একটি হাতেই বেশি জোর কেন
আমরা দুই হাতেই সমান কাজ করতে পারিনা। এক হাতকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা সব কাজ করি। এ জন্যই বিশেষ করে মানুষকে ‘ডানহাতি’ বা ‘বাহাতি’ বলে আলাদা করা হয়। এটা ভাবতে বেশ অবাক লাগে যে একই রকম দুটো হাত, কিন্তু দুটো দিয়েই সমান কাজ করা যায়না। বিবর্তনের শুরু থেকেই হয়তো এটা হয়ে আসছে। শরীরের জন্য অন্যতম একটা বড় রহস্য বলে মনে করা হয়। অবশ্য কিছু মানুষ আছে যারা দুইহাতেই সমানভাবে কাজ করতে পারে।
আমাদের হাই ওঠে কেন
জন্ম থেকেই আমাদের হাই ওঠে, কারণে হোক বা অকারণে। এটার সঠিক কারণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অজানা। যখন আমরা অবসাদগ্রস্ত বা ক্লান্ত থাকি, তখন আমাদের শরীরে যথেষ্ট অক্সিজেন পৌঁছে না। কারণ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি তখন কম থাকে। এসময় শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হাই তোলা। এর মাধ্যমে রক্তে প্রচুর অক্সিজেন সরবরাহ হয় ও কার্বনডাইঅক্সাইড অপসারণ হয়। তবে এর মূল কারণ এখনো রহস্যাবৃত।
রক্তের বিভিন্ন ধরন
অ্যাপেনডিক্সের মতো শরীরে রক্তের ধরনের ভিন্নতাও একটা রহস্য। রক্তের এক এক ধরন শরীরের এক একটি ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। বহু বছর আগে থেকেই ধারণা প্রচলিত হয়ে আসছে যে মানুষের উৎপত্তি বানর প্রজাতির থেকে। সে যাই হোক, প্রশ্ন হলো কেন আলাদা আলাদা রক্তের থরন বা গ্রুপ নিয়ে মানুষ জন্মায়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, এর ধরনের ওপর নির্ভর করেই মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।
আমরা স্বপ্ন দেখি কেন
মানুষ জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘুমিয়ে কাটায়। স্বপ্ন দেখা ঘুমেরই একটি অংশ। তবে কেন এবং কীভাবে স্বপ্ন দেখি আমরা, তাঁর মূল কারণ বের করা যায়নি। ঘুমের সময় স্বপ্ন দর্শন কালকে ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট (আরইএম) আর যে সময় মানুষ স্বপ্ন দেখে না সে সময়টাকে ‘নন র্যাপিড আই মুভমেন্ট (এনআরইএম) বলা হয়। যখন আরইএম পিরিয়ড চলে তখন মস্তিষ্কের পেছনের অংশ বেশি কার্যকর থাকে। এসময় মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত ও অর্থহীন যা কিছু করে তাই আমরা ঘুমের সময় স্বপ্ন হিসেবে দেখি এবং জেগে উঠলে ভুলে যাই। স্বপ্নের খুব কম অংশই মনে রাখতে পারি। বাস্তবিক জগতের সঙ্গে স্বপ্নের যোগসূত্র নিত্যদিনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে হয়।
আমাদের শরীরে ভাইরাস থাকে কেন
আমাদের শরীরের ভেতরে অনেক সময় ভাইরাস বাস করে। কিছু ভাইরাস থাকার অবশ্যই কিছু কারণ আছে, যেমন- হজমে সুবিধা দেওয়া, ক্ষত সারিয়ে তোলা এবং অসুখ বিসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে বেশির ভাগ ভাইরাসেরই শরীরে বসবাসের কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কেন অন্য প্রাণীরা আমাদের তুলনায় এত শক্তিশালী
আশেপাশের অনেক প্রাণীরা প্রায় আমাদের মতোই বা আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়। প্রাণীদের পেশিশক্তি হয়তো আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হতেই পারে। আবার মানুষের সহ্য ক্ষমতার পেশি প্রাণীদের চেয়ে বেশি। এসব নিয়েই বিজ্ঞানীরা এখনো রহস্য খুঁজে বের করতে পারেন।
হাসি সংক্রামক কেন
আশেপাশের কাউকে হাসতে দেখলে নিজেরও হাসি পায়। কারণ হাসি সংক্রামক। মানুষ সাধারণত প্রাণখোলা হাসির প্রতি বেশি সাড়া দেয়। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কারো হাসি দেখে হাসি আসার প্রবণতা বেশি থাকে মানুষের। পুরো ব্যাপারটিই হাস্যকর হলেও এর রহস্য আজ পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ৩৫ শতাংশ
নিষ্পত্তি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে ৬৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন
বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: অসুস্থতা নিয়েও পুরুষের তুলনায় বেশিদিন বাঁচে নারী: গবেষণা
বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে চিকিৎসাসেবাসংক্রান্ত
৬৬টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সময় নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩টি অভিযোগ।
সে হিসাবে ৩৫ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ৪৩টি অভিযোগ,
যা মোট অভিযোগের ৬৫ শতাংশ।
এর মধ্যে ২০২৩ সালে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত ২৫টি অভিযোগ নিয়ে কাজ
করেছে মানবাধিকার কমিশন, যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের ৩১ মার্চ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ২০২৩ সালের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর
করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে ২০২৩ সালের ২৫টি অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগী কর্তৃক দায়ের করা
অভিযোগ দুটি।
অন্যদিকে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) হয়ে গ্রহণ করা অভিযোগের
সংখ্যা ২৩, যা এ সময় কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সুয়োমটো অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
ভুক্তভোগীদের দায়ের করা দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হলেও কমিশন কর্তৃক গৃহীত ২৩টি অভিযোগের
মধ্যে মাত্র তিনটি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি অভিযোগ। সে হিসাবে গত বছর চিকিৎসাসেবা
সংক্রান্ত অভিযোগের ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
এদিকে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সর্বনিম্ন দুটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে
কমিশন।
এর মধ্যে একটি অভিযোগ জমা পড়ে আর কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের
করে অন্যটি। ওই বছর কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ১২ অনুযায়ী, দেশের নাগরিকরা কমিশনে চিকিৎসাসেবা খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অব্যবস্থাপনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কমিশন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোন কোন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তার গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ আদালতে রিট করে কমিশন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
চিকিৎসাসেবা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার
জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আগ্রহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামালউদ্দিন
আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যেসব অভিযোগ কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা নিয়মিত তাগিদ দিয়ে থাকি।
চিকিৎসাসেবা খাতের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরো বেশি আগ্রহী
হতে হবে।’
এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কমিশন
অনেক ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা নিতে এসে অনিয়মের শিকার রোগীদের
অভিযোগ জমা পড়তে পড়তে পাহাড় হয়েছে। আবার ভুল চিকিৎসা, সেবা নিতে গিয়ে অনিয়মের শিকার
হয়েছেন এমন অভিযোগও অনেক। স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত চিত্র শিগগিরই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে
তুলে ধরবে কমিশন। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনসাধারণকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করে কমিশন। গত বছর আমরা জরায়ু ক্যান্সারের ভুয়া ভ্যাকসিন, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে বাণিজ্য, ওষুধের মোড়ক পরিবর্তন করে বিদেশি ওষুধ বলে বিক্রি, অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না কমিশন। এ জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্যারিস নীতিমালার আলোকে আইনের সংশোধন জরুরি।’
চিকিৎসাসেবা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা
আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব
রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।
বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো
সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার
কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে
চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে
মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন,
আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসক বিএমডিসি
মন্তব্য করুন
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।
গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।
পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
মন্তব্য করুন
নারী পুরুষের তুলনায় বেশি বছর বাঁচলেও অসুস্থতায় বেশি ভোগেন। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলোতে বেশি ভোগেন। যদিও এসব রোগ প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।
করোনা অতিমারি পর্বে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল বিশ্ব। প্রিয়জনকে হারানোর ঘা এখনও দগদগে। সেই পর্বে জীবনদায়ী করোনা টিকা কোভিশিল্ড বহু মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই টিকা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য ফাঁস। জানা গেল কোভিশিল্ডের যথেষ্ঠ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর কেউ নয়, এ কথা খোদ স্বীকার করে নিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।