নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ০৪ অক্টোবর, ২০১৯
পুজোর আবেশ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসবমুখর করে তুলতে তাই চলছে নতুন জামা কেনার নানান সব বায়না। সাহা বংশের একমাত্র ছেলে শোভন সাহাও তাতে নেই পিছিয়ে। মাকে নিয়ে তাই চলে এসেছে শপিং মলে। টানা দেড় ঘন্টা পুরো শপিং মল ঘুরেও ৬ বছরের শোভন নিজের জন্য একটাও জামা সিলেক্ট করতে পারলোনা। পছন্দ হচ্ছে না, তা ঠিক নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে সাইজে হচ্ছেনা। চিল্ড্রেন্স সেকশনের কোনো শার্টই সাহার গায়ে হচ্ছেনা। বড়দের সেকশনে আবার ডিজাইন পছন্দ হচ্ছেনা। শেষমেষ অপছন্দের এক জামা কিনে মুখ ভার করেই ফিরলো সে বাড়ি।
শোভনের মতো এমন মন খারাপ আপনার বাচ্চার হচ্ছে না তো? বয়সের তুলনায় অতিরিক্ত মুটিয়ে যায়নি তো? ভালো স্বাস্থের আড়ালে আপনার শিশু স্থুল নয়তো?
শিশুবিশেষজ্ঞ ডঃ হানিফের সাথে কথা বলে আমরা তাই জানাচ্ছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
স্থুলতা ও পারিবারিক ভাবনা
শিশুর ওজন বৃদ্ধি নিয়ে এক এক পরিবারে এক এক রকম চিন্তা। অনেকে নিজের শিশুর বেড়ে ওঠাকে নেন আনন্দের সাথে, ভাবেন বাচ্চা খাওয়া দাওয়া করছে ভাল করে, স্বাস্থ্যবান হচ্ছে। আবার অনেক পরিবারে সামান্য ওজন বৃদ্ধিকেও মুটিয়ে যাওয়া ধরে নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে মানসিক অত্যাচারও করা হয় শিশুটিকে, যদিও এধরণের পরিবারের সংখ্যা কম।
তবে বেশিরভাগ পরিবারের মা-বাবাই শিশুদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নন। স্থূলতা ও ভাল স্বাস্থ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে। একটি স্থূল শিশুর বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের সম্ভাবনা তো থাকেই, তার সামাজিক জীবনও বেশি সুখের হয় না, খেলাধুলার সময় বা বন্ধুদের কাছে তাদের হেনস্থা হতে হয় প্রায়ই।
স্থূলতা কাকে বলা যায় বা কত ওজন হলে একটা শিশু স্থূলতায় ভুগছে বলা যাবে? এটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে শিশুর বয়স ও উচ্চতার উপর। একটি ১০ বছর বয়সী ৪ ফুট উচ্চতার বাচ্চার ওজন যদি ৬০-৭০ কেজি হয় তাহলে তাকে স্থূল বা ওবেস বলা যায়।
কী কারণে সাধারণত হয় স্থুলতা
শিশুদের খাদ্যাভ্যাস
বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ফুডি কালচার, রেস্টুরেন্টের সহজলভ্যতা, ক্যানড ফুড ও স্ন্যাকসের বাজার দখল, চিনি জাতীয় খাবারের আধিক্য ইত্যাদি কারণে শিশুদের বর্তমান ডায়েট চার্টের প্রায় পুরোটাই অস্বাস্থ্যকর খাবারে পরিপূর্ণ। শিশুরা সাধারণত যেসব খাবার অধিক পরিমাণে খাচ্ছে সেগুলো হল:
১। ফাস্টফুড; যেমন বার্গার, পাস্তা, পিৎজা, ফ্রাইস ইত্যাদি। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে, যা সহজে বার্ন হতে চায় না সারাদিন পরিশ্রম করলেও। আর শুয়ে বসে থাকা আর ফাস্টফুড খাওয়া একসাথে চললে তো কথাই নেই।
২। কোমল পানীয় বা কোল্ড ড্রিঙ্কস; এসব পানীয়তে নিম্নমানের কার্বোহাইড্রেট ও চিনি থাকে।
৩। কেক, মিষ্টি, ডোনাট ইত্যাদি মিষ্টি ও চিনি জাতীয় খাবারের প্রতি শিশুদের আগ্রহ ছিল সবসময়ই। এখন এগুলো অনেক সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার কারণে গ্রহণের পরিমাণও বেড়েছে।
হরমোন জনিত কারণ
প্রত্যেকটি স্থূল শিশুর পিছনেই তার খাদ্যাভ্যাস দায়ী নয়, অনেকেই হরমোন জনিত কারণে স্থূল হয়ে যায়। সেসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভাল।
কি ধরণের রোগ হতে পারে স্থূলতা থেকে?
স্থূলতা থেকে হতে পারে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাই। শরীরে বাড়তি মেদ শরীরের স্বাভাবিক প্রায় সকল প্রক্রিয়া ব্যহত করে, তাই স্থূল শিশুরা দুর্বলতা, ক্লান্তি থেকে শুরু করে অনেক রকম সমস্যায় ভুগে থাকে যার জের প্রাপ্তবয়সে এসেও থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ রয়েছে যা স্থুলতার কারণে হয়ে থাকে।
১। রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয় মেদের কারণে, তাই ধমনী ও শিরার রোগ হতে পারে।
২। স্থূলতায় উচ্চ রক্তচাপ হওয়া স্বাভাবিক, শিশুদের মধ্যেও।
৩। লিভারে ফ্যাট জমে নন-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম হতে পারে।
৪। পিত্তথলিতে পাথর জমতে পারে।
৫। অ্যাজমা বা ক্যান্সার হতে পারে।
৬। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র অনিয়মিত হতে পারে।
৭। আচরণগত বা মনস্তাত্বিক সমস্যাও দেখা যায়।
শিশুর স্থূলতায় করণীয়
স্থূলকায় শিশুর জীবন খুব সহজ হয় না। তাই তার জন্য সবার আগে প্রয়োজন পরিবারের সহযোগিতা। তার পরিবারের মানুষ যদি তার অবস্থা না বুঝতে পারে তাহলে তা একটি শিশুর জন্য প্রচন্ড মানসিক কষ্টেরও কারণ হতে পারে। এবং তারা যেহেতু শিশু, তাদের ভালমন্দের সিদ্ধান্ত প্রায় পুরোটাই বাবা-মাকেই নিতে হবে। শিশুর স্থূলতা সুস্থ উপায়ে কমিয়ে আনা পরিবারে একটি বিশাল প্রায়োরিটি হিসাবে দেখা উচিত।
১। স্থূল শিশুদের ভুলেও ক্র্যাশ ডায়েট, অল প্রোটিন/কার্ব ডায়েট বা অন্য ওজন কমানোর ডায়েট দেয়া যাবে না। শিশু বয়সে সবরকম পুষ্টির সমন্বয় দরকার খাদ্যে। তাই এধরণের ডায়েটে তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ব্যহত হতে পারে। তাদের ডায়েটের ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে কিছু জিনিস আগে থেকে জেনে নেয়া দরকার।
ফাস্টফুডের মূল বৈশিষ্ট্য কি? ফাস্টফুড আকারে ক্ষুদ্র হলেও এতে থাকে হাজার হাজার ক্যালরি। তাই শরীরে একগাদা ক্যালরির যোগান দিলেও তা পেট ভরাবে না, আরও খেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু শরীরে মেদ ও পেশীর পরিমাণ আবার নির্ধারিত হবে আমরা কি পরিমাণ ক্যালরি জমা রাখছি শরীরে যাকে বলে ক্যালরিক সারপ্লাস। ফাস্টফুডের ক্ষেত্রে ক্যালরিক সারপ্লাস অত্যন্ত বেশি হয়।
এক্ষেত্রে বিকল্প কি?
বিকল্প হচ্ছে শাক সবজি ও শস্য জাতীয় খাবার। এসব খাবারে ক্যালরি থাকে অনেক কম, তাই খুব বেশি করে খেলেও শরীরে ক্যালরিক সারপ্লাস ঘটবে না, কিন্তু পেটও ভরবে। একই সাথে এসব খাবারে খাদ্যগুণও থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই শিশুদের শাক সবজি খেতে উৎসাহিত করতে হবে। সাধারণত শিশুরা শাক সবজি খেতে পছন্দ করে না। তাদের একবারে জোর না করে আস্তে আস্তে বিভিন্ন শাক সবজির মজাদার খাবার রান্না করে শাক সবজির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
২। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি চলতে পারে, তবে এসব যেন বেশি চর্বিযুক্ত না হয়। এবং শাক সবজির সাথে অনুপাতে খানিকটা কম করে এসব খাবার দেয়া উচিত স্থূল শিশুকে, প্রথমাবস্থায়। কারণ শরীর প্রোটিন বার্ন করে সবচেয়ে দ্রুত, তাই প্রোটিন ইনটেক বেশি হলে শরীরের ফ্যাট বার্ন হবে না সহজে।
৩। ফাস্টফুড, ড্রিংকস, চিনি জাতীয় খাবার ইত্যাদি পুরোপুরি বাদ দেয়া উচিত, কিন্তু একবারে বাদ দিলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তার চেয়ে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনুন। সপ্তাহে একবার, মাসে একবার এভাবে কমিয়ে আনুন এসব খাবারের অভ্যাস।
৪। তাদের বাইরে খেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন, সময় পেলে নিজে খেলুন তার সাথে, তাতে আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এছাড়া পরিবারে সবাই একত্রে হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন প্রতিদিন, যা পরিবারে সম্পর্ক ভালো রাখতেও খুব উপকারী।
৫। শিশুকে মোবাইল, পিসি, টিভি ইত্যাদি অতিরিক্ত ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করুন। তাকে বিভিন্ন জায়গায় যেমন পার্কে বা লেকে বেড়াতে নিয়ে যান। বাইরের খোলা বাতাসের স্বাদ পেলে তার ঘরকুনো হয়ে থাকার অভ্যাস কমে যাবে অচিরেই। তবে ভুলেও তার থেকে তার গ্যাজেট কেড়ে নেবেন না। সবই যেন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়, কারণ সে শিশু, তার উপর জোর খাটানো যাবে না।
এভাবে খানিকটা সুস্থ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার শিশু আর স্থূল থাকবে না, কোন রকম রোগের শিকারও হবে না। এতে আপনার শিশুটির মানসিক অবস্থা ও পরিবারের সাথে তার সম্পর্কের উন্নতিও ঘটবে।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা
অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
সামন্ত লাল সেন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক,
নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ
করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি
একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪
মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য
আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ
জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত
রাখতে চাই।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান
জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা
অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন
করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক
ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব
হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে
সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী
চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা
মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল
সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের
সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী
কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন
নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই
অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।
এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের
নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত
জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার
চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার
কক্ষেও।
সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও
জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন।
এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।
এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার
তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে
এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা
করেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগ
মন্তব্য করুন
সাওল হার্ট সেন্টারের ৪০০তম ‘সাপ্তাহিক ফ্রি সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট আব্দুল হাকিম মজুমদার, প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্য বিশারদ ড. আবু জামিল ফয়সাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা জাহান বারী বাঁধন, স্যোশাল আক্টিভিস্ট রাইসিন গাজী, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে এম কামাল, নাট্যজন আমিরুল হক চৌধুরী, রাজনীতিক মোশারফ হোসেন, সাওল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া হৃদরোগী নজরুল ইসলাম এবং সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।
জানা গেছে, সাওল সফলভাবে এ পর্যন্ত ১৮টি জাতীয়, ৭৬টি আঞ্চলিক ও ৪০০টি সাপ্তাহিক সেমিনার সম্পন্ন করেছে। এই সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ উপকৃত হয়েছেন।
সেমিনারে সাওল হার্ট সেন্টার-ভারতের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজেড়-এমডি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আগত অতিথিদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেন, সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মুতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফারহান আহমেদ। সেমিনারে উপস্থিত শুভাকাঙ্খী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ সাওলের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংশা করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত অপারেশন ও বাইপাস সার্জারির বিকল্প হিসেবে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে চিকিৎসা দিচ্ছে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেড। আধুনিক মেশিন, মেডিসিন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে সাওলের নতুন ধারার হৃদরোগ চিকিৎসাপদ্ধতি আজ দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বাস্থ্য-সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে।
বিশ্বের চিকিৎসা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী- বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ১৩২টি শাখা সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেইন হার্ট কেয়ার সেন্টারের বাংলাদেশ শাখা ‘সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.‘জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সেমিনার আয়োজন করে আসছে।
সাওল হার্ট সেন্টার হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার ডাঃ বিমল ছাজেড়
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত ও অবারিত। তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনেই ছুটবেনা, উদ্যোক্তাও হবে। তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘তোমাদের অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে, সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা গুণে ও যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এতে অসুস্থতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা জরুরি। গরমের সময় যদি খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখা যায়, তাহলে ভালো।
এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।
শসা: শসাকে শীতল বলে থাকেন অনেকে। এতে অনেক তরল থাকে। তাই শসা খাওয়ার পর শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরকে হাইড্রেট করে এবং তাপ কমিয়ে আনে। সালাদ বা বিভিন্ন স্ন্যাকের সঙ্গে খেতে পারেন শসা।
লেবু: লেবুর শরবতের উপকারীতার কথা সবারই হয়তো জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর শরবত পানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শরবত বা সালাদে লেবু যোগ করার অভ্যাস করতে পারেন।
পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতা শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। জিরাপানি, বোরহানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গেও রাখতে পারেন। পুদিনাপাতা গুঁড়া করে ঠান্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। যাঁরা চা খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা পুদিনার চা খেতে পারেন।
তরমুজ: তরমুজ খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। রসালো এই ফলটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিটিয়ে থাকে। গ্রীষ্মের জন্য দুর্দান্ত একটি ফল। এটি শুধু শরীর হাইড্রেটই করে না। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবারের মতো উপাদান। যা শরীরের জন্য উপকারী।
সবুজ শাক: সবুজ শাক-সবজিতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়ামও থাকে। যা শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য পালং শাক, লেটুস ও বাঁধাকপিসহ গ্রীষ্মকালীন শাক খেতে পারেন।
লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ সহজলভ্য। এটি ওজন কমায় ও হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত লাউ তরকারি খেতে পারেন। লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রায়তার মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাউয়ের স্যুপ।
ঢ্যাঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স সবারই প্রিয়। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি—সবভাবে খাওয়া যায়। ঢ্যাঁড়স ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ সবজি উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখুন। ঢাকনা খোলা রেখেই রান্না করুন। ঢ্যাঁড়সের রং ঠিক থাকবে।
তোকমা দানা: এটি প্রাকৃতিকভাবেই গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে ধরে রাখে। তীব্র গরমেও তাপমাত্রা অসহনীয় হবে না। দুধের সঙ্গে মিলিয়ে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এ ছাড়া লেবুর রসের সঙ্গে পিংক সল্ট মিশিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়।
আম: আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এটি এমনই ফল, যা শরীরের তাপ কমাতে সহায়ক। এ জন্য গরমের সময় ডায়েটে আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কাঁচা বা পাকাসহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আম হজমের জন্যও সহায়ক। আবার হিট স্ট্রোক ঝুঁকি কাটিয়ে উঠা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যও আম অনেক উপকারী।
দই: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারটি ঠান্ডা পানীর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। ভিটামিন বি এবং অন্ত্রবান্ধব ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ দই শরীরকে ভেতর থেকে প্রশান্তি দেয়।
ডাবের পানি: এটি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং একই সঙ্গে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এটি অন্যতম একটি পানীয়ও বটে। যা সারাদিন আপনাকে হাইড্রেটেড এবং শক্তিশালী রাখবে।
বাটার মিল্ক: বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মে বাটার মিল্ক পানীয় পান করা হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। একই সঙ্গে সহায়তা করে হজমে। তাই সুস্থতার জন্য পানীয় হিসেবে বাটার মিল্ক পানীয় পান করতে পারেন।
টমেটো: টমেটো জলীয় অংশবিশেষ ফল। টমেটো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, দুশ্চিন্তা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এতে অসুস্থতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা জরুরি। গরমের সময় যদি খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখা যায়, তাহলে ভালো। এ সময় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার বাদ দিয়ে খেতে হবে বেশি পানি রয়েছে এমন সব খাবার। তবে কৃত্রিম রং ও স্বাদযুক্ত কোনো জুস বা পানীয় খাবেন না। তাতে সাময়িক তৃষ্ণা মিটলেও ডেকে আনবে নানা ক্ষতি।