ইনসাইড হেলথ

পিপিই নিয়ে যত বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমরা সাধারণ মানুষ যেসব নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি, তার মধ্যে অন্যতম হলো পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট)। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। স্পেসস্যুটের মতো দেখতে এই পোশাকটি নিয়ে আমাদের দেশে চলছে নানা বিভ্রান্তি। প্রথম কথা হলো, চিকিৎসক অর্থাৎ যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের জন্যই পিপিই। সেই সঙ্গে নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ যারা রোগীর সংস্পর্শে যাবেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘পিপিই’ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে পিপিই যদি সুরক্ষাই দেয়, তাহলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কেন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন? পিপিই কতক্ষণ সুরক্ষা দিতে পারে? এটা বানানোই বা হয় কী দিয়ে? পিপিই সম্পর্কে এসব প্রশ্ন নিয়েই বাংলা ইনসাইডার কথা বলেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি পিপিই নিয়ে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানিয়েছেন আমাদের। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত- 

পিপিই কেন?

পিপিই তে মূলত ৫টি জিনিস থাকে। এগুলো হলো-  

১. মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড)

২. চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস

৩. মাস্ক

৪. গ্লাভস

৫. জুতার কভারসহ গাউন

ডা. ওয়াদুদ বলেন, করোনাভাইরাসটা মূলত রেস্পিরেটরি ভাইরাস। এর মানে হলো এটা শ্বাসতন্ত্র দিয়ে ঢুকবে। এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পথটা হলো নাক, মুখ এবং চোখ। সুতরাং আমাদের মূলত সুরক্ষা দরকার গলা থেকে উপর পর্যন্ত। এজন্য দরকার মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড), চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস এবং মাস্ক। এরপর দরকার হাতের সুরক্ষা। এর কারণ হলো, সমীক্ষা বলে মানুষ ঘন্টার মধ্যে ৩০ বার মুখের এলাকায় হাত দেয়। কাজেই একটা গ্লাভস যদি পড়া থাকে তাহলে খেয়াল থাকবে যে, আমার হাতে কিছু পড়া আছে, তাই চট করে নাক, মুখ, চোখে হাত যাবে না। আমি কিছু ধরতে গেলে খেয়াল হবে যে আমি কিছু ধরতে যাচ্ছি, সাবধান থাকতে হবে। এটার জন্যই গ্লাভস। গ্লাভস আসলে ভাইরাস প্রতিরোধী না।

ডা. ওয়াদুদ আরও বলেন, পিপিই হিসেবে গলার নীচের অংশ থেকে বাকি যে পোশাকগুলো আমরা পরি, অর্থাৎ জুতার কভারসহ গাউন। এর কারণ হলো, যখন আমরা রোগীদের দেখি বা ওয়ার্ডে যাই তখন তাদের হাঁচি কাশি থেকে ড্রপলেট আমার জামা কাপড়ে লেগে যেতে পারে। সেই জামা কাপড় পরেই আমি বাড়িতে ফিরবো বা সহকর্মীদের সাথে বসবো। তখন তাদের মাঝেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। এ কারণেই চিকিৎসকদের পিপিই’র বাকি অংশটা অর্থাৎ গাউন পরা উচিৎ। এটা যতটা না নিজের সুরক্ষা, তার চেয়ে বেশি হলো অন্যের সুরক্ষার জন্য। রোগী দেখা শেষ হলে বা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় গাউনটা খুলে ফেললে অন্তত এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আমি কোনো ড্রপলেট সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি না।

কী দিয়ে তৈরি…

পিপিই তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করা হয়, যা কোনোভাবেই তরল শুষে নেবে না। এটি এমন পদার্থে তৈরি যাতে তা কোনো ধরনের তরলকে ধারণ না করে এবং সেটা গড়িয়ে পড়ে যায়। অর্থাৎ পিপিইকে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখে, এমন উপাদান দিয়েই পিপিই তৈরি করা হয়।

চিকিৎসকদের জন্য অবশ্যই যেটা দরকার…

ডা. ওয়াদুদ বলেন, চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো ভালো মানের এন-৯৫ মাস্ক, গগলস। সেই সঙ্গে ফেস শিল্ড। ফেস শিল্ড আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে। এটার দামও খুব বেশি না। কাজেই হাসপাতালগুলো চাইলেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ফেস শিল্ডের ব্যবস্থা করতে পারে।

চিকিৎসকরা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন?

ডা. ওয়াদুদ বলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার প্রথম কারণ হলো, আমাদের পিপিই রিইউজ করতে হচ্ছে। দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে, সঠিকভাবে পিপিই না খোলা। সঠিকভাবে পিপিই না খোলার ফলে জীবাণুটা হয়তো হাতে লেগে যাচ্ছে। আর হাত থেকে জীবানুটা চোখ, নাক, মুখের মাধ্যমে  হয়তো দেহে প্রবেশ করছে।

আরেকটি বিষয় হলো, ডাক্তার বা নার্সরা যখন রোগীর নেবুলাইজ করতে যাচ্ছেন, কিংবা অ্যারোসল প্রডিউসিং কিছু ব্যবহার করছেন তখন জীবাণুটা তাদের মধ্যেও চলে আসছে। সংকটাপন্ন রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে এমনটা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদেশে চিকিৎসকদের হ্যাজমাট স্যুট দেওয়া হচ্ছে। 

এন-৯৫ মাস্ক কতদিন, কীভাবে ব্যবহার করা যায়?

এন-৯৫ মাস্ক হলো মূলত চিকিৎসা কর্মীদের ব্যবহার করার মাস্ক, যা বাতাসের ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র কণা আটকে রাখতে সক্ষম।

এই মাস্কের ব্যাপারে ডা. ওয়াদুদ বলেন, এন-৯৫ খুব দামী মাস্ক। এটা পাওয়াও যায় না। শুধু আমাদের দেশই নয়, বিদেশেও এই মাস্কের সংকট আছে। এক্ষেত্রে আমরা যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে, আমার যদি তিনটা মাস্ক থাকে তাহলে একেকদিন একেকটা বদলে পরতে পারি। অর্থাৎ একজন চিকিৎসক তার দিনের কাজ শেষে মাস্কটি বাতাসে শুকিয়ে নিতে পারেন। তিনদিন পরে সেটা আমি আবার ব্যবহার করতে পারি। বিদেশে এটা হাইডড়োজেন পার অক্সাইড ভেপার দিয়ে এই মাস্ক পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এত সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা বাতাসে শুকিয়ে নিয়ে তিনদিন পর এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে পারি। এভাবে একেদিন বদল করে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত একটি মাস্ক ব্যবহার করা যায়। শুধু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, এই অবশ্যই ৭২ ঘন্টা বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। এই মাস্ক অবশ্যই ভেজানো যাবে না। রোদেও দেওয়া যাবে না। তবে এন-৯৫ ব্যবহার করার সময় এর উপরে আরেকটি সার্জিকাল মাস্ক পরা যেতে পারে। এতে করে এন-৯৫ মাস্কটি পরিষ্কার থাকবে।

গ্লাভস প্রসঙ্গে…

আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে, গ্লাভস পড়লে বোধহয় হাত ধুতে হয় না। এ প্রসঙ্গে ডা. ওয়াদুদ বলেন, গ্লাভস পড়লেও বারবার হাত ধুতে হবে। ডাক্তারদের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি দরকার। একজন রোগী দেখার পরই তাকে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। গ্লাভসের উপর থেকেই হাত ধুতে হবে যেন সেটাতে জীবাণু লেগে না থাকে।

পিপিই কি ধুয়ে ব্যবহার করা যায়?

পিপিই কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। ডিসপজেবল পিপিই আছে, ওয়ান টাইম পিপিই যেমন আছে। তেমনি রিইউজেবল পিপিই আছে। রিইউজেবল পিপিই ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। এটা একবার ব্যবহারের পর ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর বাতাসে ভালোভাবে শুকিয়ে সেটা ব্যবহার করা যাবে।

পিপিই পরে কতক্ষণ সুরক্ষিত থাকা সম্ভব?

চিকিৎসকরা পিপিই কতক্ষণ সুরক্ষা দেবে তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো, পিপিই পরে কতক্ষণ থাকা সম্ভব? কারণ আমাদের দেশে যে তাপমাত্রা তাতে করে আধা ঘন্টা পিপিই পরে থাকাটাই কষ্টকর। এসি রুমে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা এটা পরে থাকা যায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা আছে, তা হলো- পিপিই পরে টয়লেটে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার একটা পিপিই একবার খোলা মানে সেটা আর পরা যাবে না। রিইউজেবল হলে সেটাকে ধুয়ে পরতে হবে। নাহলে সেটাকে ফেলে দিতে হবে। এজন্য বিদেশে এখন ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে ডায়াপার ব্যবহার করছেন, যেন তাদের টয়লেটে যেতে না হয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পিপিই পরা এবং খোলার নিয়ম জানা…

ডা. ওয়াদুদ বললেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পিপিই সঠিকভাবে পরা এবং খোলার নিয়মটা জানা। সারাদিন পিপিই পরে থেকে সেটা যদি সঠিকভাবে না খোলা হয়, তাহলে জীবাণুটা হাতে বা শরীরের অন্য কোথাও লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পিপিই পরার কোনো মানেই থাকলো না। এজন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ওয়ার্ডবয় ক্লিনারসহ যারা রোগীর সংস্পর্শে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভসসহ পুরো পিপিই সঠিকভাবে খুলতে হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

চিকিৎসকদের কোন অবহেলা আমি সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।

বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন, আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   চিকিৎসক   বিএমডিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।

ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।

পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।

হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।


আনারস   গরম   উপকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেল সিভিল সার্জন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’

এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।

এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার কক্ষেও।

সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন। এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।

এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   সিভিল সার্জন   স্বাস্থ্য বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনা রিং ও অপারেশনে হৃদরোগ প্রতিকারের সচেতনায় সাওলের সেমিনার

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাওল হার্ট সেন্টারের ৪০০তম ‘সাপ্তাহিক ফ্রি সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ)  সকাল ১১টায় ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সাওল হার্ট সেন্টারের কাজল মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট আব্দুল হাকিম মজুমদার, প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্য বিশারদ ড. আবু জামিল ফয়সাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল হক চৌধুরী সেলিম, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা জাহান বারী বাঁধন, স্যোশাল আক্টিভিস্ট রাইসিন গাজী, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে এম কামাল, নাট্যজন আমিরুল হক চৌধুরী, রাজনীতিক মোশারফ হোসেন, সাওল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া হৃদরোগী নজরুল ইসলাম এবং সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।

জানা গেছে, সাওল সফলভাবে এ পর্যন্ত ১৮টি জাতীয়, ৭৬টি আঞ্চলিক ও ৪০০টি সাপ্তাহিক সেমিনার সম্পন্ন করেছে। এই সেমিনারগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ উপকৃত হয়েছেন।

সেমিনারে সাওল হার্ট সেন্টার-ভারতের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজেড়-এমডি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আগত অতিথিদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের জবাব দেন, সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.-এর সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মুতাসিম বিল্লাহ ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফারহান আহমেদ। সেমিনারে উপস্থিত শুভাকাঙ্খী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ সাওলের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হৃদরোগ চিকিৎসায় প্রচলিত অপারেশন ও বাইপাস সার্জারির বিকল্প হিসেবে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে চিকিৎসা দিচ্ছে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেড। আধুনিক মেশিন, মেডিসিন ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে সাওলের নতুন ধারার হৃদরোগ চিকিৎসাপদ্ধতি আজ দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বাস্থ্য-সামাজিক আন্দোলনে রূপলাভ করেছে।

বিশ্বের চিকিৎসা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী- বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ১৩২টি শাখা সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেইন হার্ট কেয়ার সেন্টারের বাংলাদেশ শাখা ‘সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লি.‘জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে চিকিৎসাসেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সেমিনার আয়োজন করে আসছে।


সাওল হার্ট সেন্টার   হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার   ডাঃ বিমল ছাজেড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

‘হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ হচ্ছে’

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গোপালগঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন এবং কোথায় ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে । ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতলগুলোতে জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। এসময় তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যাান্ট পরিদর্শন করেন। 

এসময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জনবল সংকট   স্বাস্থ্য মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন