নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
যেকেোনো বয়সের মানুষ কোভডি-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে। তবুও যাদের হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মতো র্দীঘময়োদি রোগ আছে তাদের মধ্যে রোগটি একটু বেশি ভীতির সঞ্চার করছে। যারা এই রোগে মারা গেছেন, তাঁদের অনেকেইে আক্রান্ত ছিলেন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, সিওপিডি, ডায়বেটিস ইত্যাদির মতো ক্রনিক রোগে।
বাংলাদেশে কোভডি-১৯ রোগে প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি ছিলেন হৃদরোগী, যার হার্টের করোনারি ধমনিতে রিং পরানো ছিল।
গবষেণায় দখো গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হৃদপিণ্ডে নানা জটিলতা দেখা দেয়। যাদের আগে হৃদরোগ ছিল না তাদের নতুন করে হৃদরোগ হতে পারে। আবার যাদের আগে থেকে হৃদরোগ ছিল তাদের দেখা দিতে পারে নতুন জটিলতা। করোনাভাইরাস হৃদপিণ্ডের সাথে সর্ম্পকতি ধমনি ও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে মারাত্মক ধরণের জটলিতা তৈরি করে যা থেকে মৃত্যু র্পযন্ত হতে পারে। তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে এবং সময় মতো হাসপাতালে র্ভতি হলে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে র্হাট অ্যাটাক
প্রথমে ধারণা করা হতো, করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসে বেশি ক্ষতি করে, কিন্তু নতুন গবষেণায় দেখা গেছে, এই ভাইরাস হার্টে মাংসপেশিতে ক্ষতি করতে পার। যে সকল কোভডি-১৯ রোগী ভন্টেলিটের সার্পোটে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছেন, তাদের প্রতি পাঁচজনে একজনের র্হাট অ্যাটাক হয়েছিল এবং ফুসফুসে শ্বাসকষ্ট ছাড়াই তাদরে মৃত্যু হয়েছিল।
র্হাট করোনারি ধমনরি মাধ্যমে পুষ্টি পায়। এই করোনারি ধমনি যদি র্চবি দিয়ে আংশকি ব্লক থাকে, করোনার প্রভাবে তা শতকরা একশভাগ ব্লক হয়ে র্হাট অ্যাটাক হতে পারে।
এমনকি কার্ডিয়াক অ্যারস্টে হয়ে মৃত্যু র্পযন্ত হতে পারে। এসব রোগীর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বুকে ব্যথাও হতে পারে তবে রোগী যদি র্দীঘময়োদি অনয়িন্ত্রতি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা নাও থাকতে পারে।
করোনার প্রভাবে অনয়িমতি হৃৎস্পন্দন
র্হাট ফেইলিউর দুই ধরনরে হতে পারে একটি হলো ক্রনকি র্হাট ফেইলিউর, যা আগে থেকেই রোগীর ছিল। এ ধরনরে রোগীর র্হাটরে র্কাযক্ষমতা স্বাভাবকিরে চয়েওে কম থাকে। অনকে রোগী বলে থাকনে, র্হাট র্দুবল। এটি র্হাট আকারে ইকোর্কাডওিগ্রাফ, বুকের ইসিজি ও এক্সে করতে জানা যাতে পারে। এ ধরনের রোগীদের র্হাট বড় আকারে বড় হয়ে সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে যায়। আর অ্যাকউিট র্হাট ফেইলিউর হঠাৎ করইে হতে পারে। র্হাটকে সংকোচন-প্রসারণ-ক্ষমতা লোপ পেয়ে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ ও করোনাভাইরাস
যারা উচ্চ রক্তচাপ রোগে ভুগছেন, তাঁদরে ঝুঁকি আছে করোনাভাইরাস। চীনের একটি গবষেণায় দখো গেছে, কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুবরণকারী অনকেইে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছলিনে। তাই যাদরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের মতো র্দীঘময়োদি রোগ আছে অথবা পরিবারে এ ধরনরে রোগরে ইতিহাস আছে। তাদের সচতেন থাকতে হবে। রক্তচাপ স্বাভাবকি রাখতে হবে এবং রক্তে র্শকরার মাত্রা সুনয়িন্ত্রতি রাখতে হবে।
করোনা প্রতিরোধে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। চিকিৎসকের পরার্মশ মেনে চললে যাপিত জীবনে ছন্দপতন হবে না। জীবনকে জয়ী করতে করোনাকে পরাজিত করতে হবে।
ল্যাবএইডে কার্ডিয়াক স্ক্রিনিংয়ের সকল ব্যবস্থা রয়েছে। এখান থেকে রোগীরা চাইলেই স্বল্পমূল্যে সকল রকম পরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞরা ডাক্তারের সহয়তা নিতে পারবেন।
করোনা প্রতিরোধে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে যাপিতজীবনে ছন্দপতন হবে না। জীবনকে জয়ী করতে করোনাকে পরাজিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা
আইন পাস করাবো। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব
রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না।
বুধবার (০১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো
সায়েন্সের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার
কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে
চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে
মারধর, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন,
আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন পাস করানো হবে’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসক বিএমডিসি
মন্তব্য করুন
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে দেহের পুষ্টিসাধন এবং দেহকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখার জন্য আনারস একটি কার্যকরী ফল। তাই গরমের এই সময়টাতে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময়টাতে আনারস বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।
গবেষকরা বলছেন, , আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
দেহের কোষের ওপর ফ্রি রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়, মজবুত হাঁড়ের গঠনে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, ব্রনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আনারস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আনারসের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বা এএইচএ ত্বকে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে পারে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও রসাল ও পুষ্টিকর এই ফলটি রাখতে পারেন গরমের ডায়েটে।
পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এ সব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন কমায়: শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে থাকা
অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো চালু করায় ধন্যবাদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
সামন্ত লাল সেন।
গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীকে ফোন করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব চিকিৎসক,
নার্স ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস’-এ এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ
করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া উইং এসব সংবাদ সংগ্রহ করে। আমি
একটি সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে ছিলাম। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১৪
মিনিট হবে, এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আমাদের এই কার্যক্রমের জন্য
আমাদের পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আপনাকেও (প্রথম আলোকেও) ধন্যবাদ
জানিয়েছেন। আমরা সবার সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত
রাখতে চাই।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান
জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট নিয়েও গ্রামীণ জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিতকরণে মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দক্ষ চিকিৎসক-কর্মকর্তারা
অভিনব উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই একটি অভিনব উদ্যোগের দৃষ্টান্ত স্থাপন
করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার কিছু প্রান্তিক উপজেলায় চিকিৎসক
ও অবেদনবিদের (অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট) সংকটে দীর্ঘদিন অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব
হয়নি। মাননীয় মন্ত্রী ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে
সিভিল সার্জন, পঞ্চগড়ের নির্দেশনা মোতাবেক সার্জন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের একদল উদ্যমী
চিকিৎসক রোস্টার করে পুনরায় অপারেশন থিয়েটার চালু করেন প্রতিটি প্রান্তিক উপজেলায়।’
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রায় বিনা
মূল্যে প্রয়োজনীয় শল্যচিকিৎসা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সিভিল
সার্জন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং এই কর্মকাণ্ডের
সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি আশা করেন দেশের সব জেলাতেই এই প্রকার উদ্ভাবনী
কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেন
নিউরোসার্জারির চিকিৎসক মোস্তফা জামান চৌধুরী। জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, আটোয়ারী
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই
অবেদনবিদ বদলি হওয়ায় সেখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
দুই বছর, বোদায় দুই বছর ও তেঁতুলিয়ায় নয় বছর ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ।
এমন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের
নিয়ে বসেন সিভিল সার্জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার চালুর বিষয়ে মতামত
জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দেন। গত আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার
চালু করা হয়। একে একে আলো জ্বলে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার
কক্ষেও।
সিভিল সার্জন জানান, শুরুতে দেখা যায় কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও
জনবল সংকট, আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। অনেক জায়গায় যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী। পরে স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সগুলোর অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
প্রথম দিকে দক্ষ জনবলের অভাবে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তবে সব চিকিৎসক সহায়তা করেন।
এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় অস্ত্রোপচার চলছে।
এখন প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়; সোমবার দেবীগঞ্জে; মঙ্গলবার
তেঁতুলিয়ায় এবং বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন, একজন অবেদনবিদসহ পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসকের দল প্রতিটি উপজেলায় ঘুরে
এসব অস্ত্রোপচার করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাদের সহায়তা
করেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব বলছে, গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০৬ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অন্যান্য ধরনের সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়েছে ১০৬টি। শেষ আট মাসে জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩১২টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগ
মন্তব্য করুন
নারী পুরুষের তুলনায় বেশি বছর বাঁচলেও অসুস্থতায় বেশি ভোগেন। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলোতে বেশি ভোগেন। যদিও এসব রোগ প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।
করোনা অতিমারি পর্বে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল বিশ্ব। প্রিয়জনকে হারানোর ঘা এখনও দগদগে। সেই পর্বে জীবনদায়ী করোনা টিকা কোভিশিল্ড বহু মানুষকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই টিকা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য ফাঁস। জানা গেল কোভিশিল্ডের যথেষ্ঠ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর কেউ নয়, এ কথা খোদ স্বীকার করে নিল টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে শরীর ও ত্বকের জন্য আনারস উপকারি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা দূর করতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই সুস্বাদু রসাল ফলটি শরীরে নানান পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিশ্চিত করে ত্বকের সুরক্ষাও।