ইনসাইড হেলথ

সারাদেশে ‘ভুয়া ডাক্তারি সনদ’ সন্দেহে ২২ মামলার তদন্তে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) চিকিৎসাসেবা দিতে সাময়িক নিবন্ধনের জন্য ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর আবেদন করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এমবিবিএস ডিগ্রির সনদ ও কাগজপত্রে চীনের ‘তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’র নাম। ফলে তা যাচাইয়ের জন্য ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেইলের মাধ্যমে সনদ যাচাইয়ের আবেদন করে বিএমডিসি। দুই সপ্তাহ পর সেই ইমেইলের জবাবে তারা জানায়, প্রেরিত নামের কোনো নিবন্ধিত ছাত্রের তথ্য তাদের কাছে নেই এবং ইমেইলে পাঠানো সনদটিও তাদের দেওয়া নয়। ফলে মিথ্যা প্রমাণিত হয় আফসারের এমবিবিএস ডিগ্রির প্রোভিশনাল সার্টিফিকেট। এতে জাল ও ভুয়া সনদ সন্দেহে আফসারের রেজিস্ট্রেশন আবেদনটি বাতিল করে বিএমডিসি।

এ তালিকায় রয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার একজন, সাতক্ষীরার তালা থানার একজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একজন, ভোলার দৌলতখান থানার দৌলতখান পৌরসভার একজন, কুমিল্লার বরুড়া থানার দুইজন, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) থানার একজন, ঢাকার সাভারের একজন, বাগেরহাট সদরের দুজন, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার একজনসহ আরও কিছু ব্যক্তি।

অনেকেরই এমবিবিএস ডিগ্রির সনদ ও কাগজপত্রে রয়েছে চীনের সেই তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নাম। এর আগে রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও এমন তিনটি ভুয়া এমবিবিএস সনদ ধরা পড়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু তারাই নন, এমন আরও ২২টি ভুয়া ও জাল সনদধারীর বিষয়ে আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এর মধ্যে গত মাসের শেষে মামলা হয়েছে ১০টি। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. আরমান হোসেনের পক্ষে বাদী হয়ে এ মামলা করেন সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর এ কে এম আনোয়ার উল্যাহ। এরই মধ্যে কয়েকটি মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১৬টি মামলার তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে মামলার বাদী এ কে এম আনোয়ার উল্যাহ বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে যারা এমবিবিএস ডিগ্রি নিতেন তাদের বিএমডিসির নিবন্ধন পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সনদপত্র সত্যায়িত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএমডিসিতে আবেদন করতে হতো। এরপর বিএমডিসি একটি পরীক্ষা নিতো। পরীক্ষায় পাস করলে প্রথমে ইন্টার্নশিপের জন্য সাময়িক ও ইন্টার্নশিপ শেষ হলে স্থায়ী নিবন্ধন দেওয়া হতো। দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভেরিফাই (যাচাই) করতো বলে নতুন করে যাচাই করা হতো না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যাচাই প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড হওয়ায় পদ্ধতি উন্নত ও সহজ হয়েছে। এতে ভুয়া সনদ জমা দিলে তা যাচাই করতে গেলেই ধরা পড়ে। প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে। যাদের সনদের সত্যতা মেলেনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেগুলো তদন্ত করতে দিয়েছেন। আশা করি, তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবেন আদালত।’

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভুয়া সনদ ব্যবসায়ী চক্র ও এর সঙ্গে দূতাবাসের কেউ জড়িত না থাকলে সেটা সত্যায়ন করা যেমন সম্ভব নয়, আবার ভুয়া সনদধারীদের বিএমডিসির পরীক্ষায় কেউ জড়িত না থাকলে পাস করারও কথা নয়। এমন না হলে সনদ, দূতাবাসের সত্যায়নসহ সব কাজ করতে একটা সংঘবদ্ধ চক্র হয়তো থাকতে পারে।

বিএমডিসির তথ্য মতে, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সংস্থাটি থেকে এক লাখ ১৩ হাজার ৫১ জন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী নিবন্ধন নিয়েছেন। বিডিএস (ডেন্টাল) নিবন্ধন করেছেন ১১ হাজার ৫৩৮ জন।

এছাড়া ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি নিতে বিদেশে পড়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন সেই সংখ্যা মোট দুই হাজার ৩৫৫ জন। এর মধ্যে ২০১৯ সালে বিদেশে পড়তে গেছেন ৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩৭ জন, ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে।

সংস্থাটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ ৯ (নয়) পায় তারা অনুমতি নিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে পারে। যারা বিদেশে এমবিবিএস ও বিডিএস (ডেন্টাল) পড়তে যান তাদের মধ্যে দেশে ফিরে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টার্নশিপ পাওয়া ও চূড়ান্ত নিবন্ধন নম্বর নেওয়ার সংখ্যাও কম। বিদেশে পড়তে যাওয়া দুই হাজার ৩৫৫ জনের মধ্যে শুধু গত বছর পরীক্ষা দিয়ে এমবিবিএস ও বিডিএসের (ডেন্টাল) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছেন ১০০ জনের মতো। এর আগে এই সংখ্যা ছিল আরও কম। এছাড়া চূড়ান্ত নিবন্ধন পরীক্ষায় অনেকে পাসও করেন না।

জানা যায়, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিডিএস (ডেন্টাল) চূড়ান্ত নিবন্ধন পরীক্ষায় কেউ পাস করেননি। ২০২১ সালে পরীক্ষায় অংশ নেবেন মাত্র চারজন। প্রাথমিক নিবন্ধন নিয়ে যারা বিদেশে যান তাদের অনেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন নেন না কিংবা নিতে পারেন না। ফলে চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন না করা পর্যন্ত তাদের ডিগ্রি ভুয়া কি না সে ব্যাপারে জানারও সুযোগ থাকে না। তবে এর একটি অংশ আবার মেডিকেল ডিগ্রি নিতে বিদেশ গেলেও ডিগ্রি নেন অন্য বিষয়ে বা অন্যকিছু করেন। কেউ কেউ আর দেশেও ফেরেন না।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য অনুমতি বাধ্যতামূলক। যারা বিএমডিসির নিবন্ধন নিয়েছেন, সেই তুলনায় উপজেলাসহ সারাদেশে হিসাব করলে নিবন্ধন ছাড়াও অনেক চিকিৎসক পাওয়া যাবে। উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে ভুয়া ডাক্তারি সনদ নিচ্ছে। এগুলোর জন্য প্রয়োজন সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া। অন্যথায় এ অবস্থা থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, ভুয়া সনদ দিয়ে যারা চিকিৎসা করছেন তাদের চিহ্নিত করা জরুরি। এজন্য বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বাড়ানো যেতে পারে। আমরা চাই, নজরদারি কিংবা ভালোভাবে তদারকির মাধ্যমে যারা ভুয়া সনদ দিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

ভুয়া সনদ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অর্গানাইজেশন) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, এ ধরনের মামলার তদন্ত আমরা আগেও করেছি। যারা বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসেন তাদের সব তথ্য ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে আমরা যাচাই করি। এর আগে এ ধরনের যেসব মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে সেসব ঘটনায় বাংলাদেশেও যারা জড়িত তাদেরও আমরা শনাক্ত করেছি। আশা করছি, বাকি মামলার তদন্তেও যারা এসব ভুয়া কাজ করেছেন তা বের হয়ে আসবে। এবারও জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকে। উপজেলা পর্যায়ে সেটা দিন দিন বেড়েই চলছে বলে মনে করেন অনেকে। ফলে দেশজুড়ে প্রয়োজন সঠিক তদারকি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, নতুন রোগী ৬৮২

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ জন ও ঢাকার বাহিরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৬০ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ছয় হাজার ৯৮৪ জন।





ডেঙ্গু   মৃত   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর   হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিনামূল্যেই মিলছে ব্যয়বহুল ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যে কোনো ক্যান্সারই শরীরের জন্য অনেক মারাত্মক একটি রোগ। সেগুলোর মধ্যে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার বা গলায় ক্যান্সারও অন্যতম। এটি হচ্ছে— এক ধরনের টিউমার জাতীয় রোগ।

এই ক্যান্সার গলার কোষ থেকে শুরু হয়ে থাকে। আর মারাত্মক এ রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে মদ ও ধূমপান করার কারণে। এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের অনেকেই একটা সময় তাদের ভয়েস বক্স হারিয়ে ফেলেন।

এতদিন ভয়ংকর এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিদেশের হাসপাতালগুলোই ছিল চিকিৎসার পরিচিত গন্তব্য। তবে আশার কথা হল, বর্তমানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একদমই বিনামূল্যে মিলছে এই রোগের চিকিৎসা।

বেশিরভাগ ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে। ছোট টিউমার যা লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়েনি তা হল সবচেয়ে কম গুরুতর ধরনের ক্যান্সার। যেখানে, একবার টিউমারগুলি লিম্ফ নোডগুলিতে পৌঁছালে, ক্যান্সার একটি উন্নত পর্যায়ে চলে যায়। ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ণয়ের পর্যায়ের পাশাপাশি টিউমারের আকারের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ডাক্তার রেডিয়েশন থেরাপি বা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।

ভারতে এই রোগের অস্ত্রোপচারসহ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে খরচ পরে যায় ১৫ লাখ রূপি। যার ব্যয় বহন করা অনেকের ক্ষেত্রেই প্রায় অসম্ভব। ভারত ছাড়া এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের আরেক গন্তব্য সিঙ্গাপুর। কিন্তু সেখানে খরচাটা আরও বেশি। সফল অস্ত্রোপচার শেষে নিরাময় পেতে রোগীদের ব্যয় করতে হয় ৩০ লাখ টাকারও বেশি।

বাংলাদেশে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনবযাপন করছেন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়া একজন বলেন, আমার ক্যান্সার এখন নির্মূল হয়ে গেছে। কেমোথেরপি বা অন্যান্য থেরাপিরও প্রয়োজন পড়ে নাই। তবে গলায় হাত দিয়ে কথা বলতে হয় এজন্য কিছুটা অসুবিধা হয়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগীদের জন্য স্বস্তিকর তো বটেই, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও নতুন একটি মাত্রা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  


ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার   জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

সরকারি তিন মেডিকেল কলেজে নতুন পরিচালক নিয়োগ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের

দেশের সরকারি তিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কলেজ তিনটি হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার উপ-সচিব কমল কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমানকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. তরন মন্ডলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মাগুরা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের প্রজ্ঞাপন জারির পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৬ষ্ঠ কর্মদিবস থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


সরকারি   মেডিকেল   কলেজ   পরিচালক   নিয়োগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

বিশ্বের ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ডায়াবেটিসকে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যেমন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর এই দিবসটির স্লোগান হচ্ছে— ‘Know your risk, Know your response.’ বাংলায় ভাবানুবাদ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।’ এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সম্প্রতিক তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয় এবং দুই জন নতুন ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত হয়!

১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 


আইডিএফ ডায়াবেটিস এটলাস ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪.৩ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ জানেন না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখেরও বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯ শতাংশ।

ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে : কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থূলকায় হয়ে যাওয়া, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়া ও কোমল পানীয় (সফট ড্রিংকস) পান করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, ধূমপান করা ও তামাক (জর্দা, গুল, খৈনী, সাদাপাতা) খাওয়া, গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা, যাদের বাবা-মা অথবা রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাজেই ডায়াবেটিস সম্বন্ধে তাদের অধিকতর সতর্ক থাকা দরকার।


ডায়াবেটিস   মহামারি রোগ   বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড হেলথ

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে কোন শাক খেলে?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় শীতকালে শাক-সবজি একটু বেশি পাওয়া যায়।  শীতকালীন শাক–সবজির মধ্যে পালংশাক অন্যতম। সহজলভ্য এই  শাকে রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। আসুন জেনে নিন পালংশাকের গুণের কথা: 

১. পালংশাক চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই শাকের উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. ভিটামিন 'ডি' বাদে পালংশাকে বাকি সব ভিটামিনই রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'সি'র উৎস পালংশাক। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়া পালংশাকে উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে।

৩. পালংশাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি মানুষের ত্বক  থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। এই শাক ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪. পালংশাকে আছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।  এ ছাড়া পালংশাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার।  

৬. পালংশাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষ সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই শাক খেতে পারেন। 


মস্তিষ্ক   কর্মক্ষমতা   পালন শাক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন