ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ঠাকুরগাঁওয়ে আপেল আতঙ্ক

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আব্দুল মজিদ আপেল সাধারণ পরিবারের সন্তান। ২০০৮ সালের পর ক্ষমতার পালাবদলের পর আপেল বিএনপি ছেড়ে ঢুকে পড়েন আওয়ামী বলয়ে। ২০১৭ সালের ২৩ মে জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

গত ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান শেষে আপেলের বিরুদ্ধে খুন, খুনে মদদ এবং দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। নিজ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।

মান্নান হত্যাকাণ্ড: আপেল যুবলীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় ২০১৭ সালের ১১ জুলাই রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক মান্নান খুন হন। শহরের মুন্সিরহাট বিহারিপাড়া এলাকায় নৃশংস হামলার শিকার হন তিনি। মান্নানের পরিবারের অভিযোগ, আপেলের ক্যাডার যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত, শান্তসহ চার থেকে সাতজনের একটি দল এই হামলা চালিয়েছিল।

মান্নানের স্বজনরা বলছে, মূলত ঠাকুরগাঁও অটোস্ট্যান্ডের টেন্ডার ও টোল আদায়কে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড। মান্নান সদরের অটোস্টেশনের দরপত্রে অংশ নিলে আপেল যুবলীগ নেতা সজিব দত্তকে দিয়ে একাধিকবার মান্নানকে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

স্বজনদের দাবি, যুবলীগ নেতা সজিব দত্ত ও মারুফ আলী শান্ত এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। সজিব দত্ত তাঁর বড় ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্ত ও যুবলীগ সভাপতি আপেলের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সমীর দত্তের চাচতো ভাই সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিটো দত্ত। টিটো দত্তই আপেলের প্রধান খুঁটি।

‘বাবার মৃত্যুটা তো স্বাভাবিক হয়নি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। বলছিল আব্দুল মান্নানের বড় মেয়ে ১৩ বছরের মাওয়া আক্তার। মান্নানের স্ত্রী জেসমিন আক্তার দুই মেয়ে মাওয়া (১৩) ও মাফিয়া (৮) আক্তারকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মাওয়া বলে, ‘বাবাকে হারিয়ে আমরা মাকেও হারিয়েছি। কারণ এখন মাকে কাজ করতে হয়। মা সকালে কাজে চলে যান। এ জন্য সারা দিন আমরা দুই বোন একা থাকি। বাবা বেঁচে থাকলে মাকে কাজ করতে হতো না।’

পরিবারের সদস্যরা জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর মান্নানের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন; কিন্তু সেই চাকরি হয়নি।

স্বজনদের ভাষ্য, মান্নান সজিব দত্তের বড় ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্তকে নিজের নিরাপত্তার হুমকির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

এই ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেন মান্নানের বড় ভাই আবু আলী। স্বজনদের অভিযোগ, তারা মামলার এজাহারে আপেলের নাম দিলেও তা বাদ দিতে বাধ্য করে পুলিশ। পরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্ত (৩৫) ও পৌর যুবলীগের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শান্তসহ (৩৬) অজ্ঞাতপরিচয় আরো চারজনকে আসামি করা হয়।

মান্নানের এক স্বজন বলেন, ‘আসামিরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা এত প্রভাবশালী যে তাঁদের ভয়ে কোনো উকিল আমাদের মামলা লড়তে রাজি হননি। ‘প্রভাবশালী কারা’—এমন প্রশ্নের জবাবে এই স্বজন বলেন, ‘একজনকে আমরা হারিয়েছি। এখন তাঁদের নাম বললে অন্যদেরও মেরে ফেলবেন।’

স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু: মান্নান হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর আপেলের নিজ ঘরেই ঘটে আরেক নির্মমতা। স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদের বলি হন হাসনাহেনা সুমি।

২০১৮ সালের ১০ আগস্ট স্বামীর বাড়িতে আগুনে দগ্ধ হন সুমি। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ১২ দিনের মাথায় তাঁর লড়াই শেষ হয়ে যায়। সুমির স্বজনদের দাবি, কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আপেল ক্ষিপ্ত হয়ে সুমির শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মজিদ আপেল বলেন, ‘এটি ছিল দুর্ঘটনা। আমি কেন তাঁকে হত্যা করব? এ অভিযোগ মিথ্যা। ’ তিনি দাবি করেন, ‘আমি ওকে খুব ভালোবাসতাম। এখনো আমি ওর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। প্রতি শুক্রবার ওর কবর জিয়ারত করি। 

এই ঘটনায় মামলা করারও সাহস হয়নি জানিয়ে সুমির এক নিকটাত্মীয় বলেন, ‘আমাদের বুক ফেটে যাচ্ছে; কিন্তু তার পরও মুখ খোলার সুযোগ নেই।’

জমি দখলে বাধা দেওয়ায় হত্যা : ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর। সালন্দর ইউনিয়নের বরুণাগাঁও বগুড়াপাড়া গ্রামে জমি দখলে যায় আপেলের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিতি কয়েকজন। দখলে বাধা দেওয়ায় মারামারি বাধে। এতে গুরুতর আহত হন  রাজু প্রমাণিকের ছেলে নূর মোহাম্মদ নুরু। ১২ নভেম্বর রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নুরু।

সংঘর্ষের পরদিন ১১ নভেম্বর নুরুর ভগ্নিপতি ও জমির মালিক হানিফ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় আজিজুর রহমান, রেজাউল করিম, বিলকু, নজরুল, জার্মান, সাদ্দাম, রিপন, নেন্দা বাওয়ের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরো ১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

নিহত নূর মোহাম্মদের ছেলে মিজানুর রহমান মজনু বলেন, সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু দাইয়াম জনি এই ঘটনার শুরু থেকেই জড়িত; কিন্তু দলের চাপে পুলিশ তাঁর নামে মামলা নেয়নি। পুলিশ বলেছে, জনির নাম বাদ দিলে মামলাটা ভালো হবে। না হলে সমস্যা হবে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনি স্থানীয়ভাবে আপেলের ডান হাত হিসেবে পরিচিত।

হামলার পরদিন নুরুর ভগ্নিপতি ও জমির মালিক মো. হানিফ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২৫-২৬ বছর আগে মফিজ মেম্বারের কাছ থেকে জমিটি কিনেছি। তারা আমার রান্নাঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখনো হত্যার বিচার পাইনি। হত্যাকারীরা এখন জামিনে রয়েছে। আমাদের ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়।’

হানিফ শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার গালে ও হাতে দা দিয়ে কোপ দিয়েছে। সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। ওখানেও মাইর দিতে আজিজুলের লোকজন রাত ১টা পর্যন্ত পাহারা দিয়েছে।’

নম্র চৌধুরীর বাড়ি দখলের চেষ্টা : আপেল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরীর বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় আদালতে আপেলের বিরুদ্ধে নম্র চৌধুরী মামলা করেন। নম্র চৌধুরী জানান, তাঁর বাবা রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ছিলেন জাতীয় পার্টির মন্ত্রী। ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রধান সড়কের দক্ষিণ পাশে তাঁরা প্রায় শত বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১৩ সালে একদিন আপেল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাঁর বাসায় হামলা চালান। হামলায় পরিবারের সদস্যরা আহত হয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় আদালতে আপেলের বিরুদ্ধে মামলা করি; কিন্তু আপেল এই মামলার বিপরীতে আমার বিরুদ্ধে উল্টো জমি দখলের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দেন। যেই মামলা দুটি এখনো চলমান। আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আপেলের বাহিনী বাধা দেয়। মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি তো আছেই।’

এ ছাড়া আপেল ঠাকুরগাঁও আউলিয়াপুর এলাকায় প্রায় ৪৫ একর আয়তনের শাসলা দিঘি দখল করেছেন। দখলে নিয়েছেন সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. মানিক, ফারুক ডাক্তার, জহিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মুন চৌধুরীসসহ অসংখ্য মানুষের জমি।

আউলিয়াপুর এলাকার এক গৃহিণী জানান, কয়েক মাস আগে আপেল কয়েক শ সন্ত্রাসী নিয়ে তাঁকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আসেন। বাধা দিতে গেলে তাঁর ছেলেটাতে ওরা বেধম পিটিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েও লাভ হয়নি।

একই জমির আরেক ওয়ারিশ একজন গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, ঘটনার সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আপেলের ক্যাডাররা তাঁকেও পিটিয়ে জখম করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

অভিযোগ রয়েছে, একই এলাকার মান্নান হাজির ছেলে মাসুমের পল্লী বিদ্যুৎ টাওয়ার রাস্তাসংলগ্ন প্রায় দেড় বিঘা জমি আপেল জোর করে দখলে নিয়েছেন। বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। দেবীপুর এলাকায়ও ব্যক্তি মালিকানার প্রায় ৯ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন আপেল।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আপেল বেপরোয়া। তিনি কারো কথা শোনেন না। এলাকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের বঞ্চিত করে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের পদ দিচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁর অন্যান্য কর্মকাণ্ডেও আমরা বিব্রত।’

আপেলের বক্তব্য : যোগাযোগ করা হলে উপরোক্ত সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন আব্দুল মজিদ আপেল। তাঁর ভাষ্য, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এসব রটাচ্ছে এবং তিনি হত্যাকাণ্ড ও জমি দখলের সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি এই থানায় পাঁচ মাস হলো দায়িত্বে আছি। এই সময়ে আপেলের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। আমি আসার আগে এমন কিছু ঘটেছে কি না, সেটি আমার জানা নেই।’

মান্নানের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘আমি মামলার চার্জশিট দিয়ে এসেছিলাম। এই হত্যাকাণ্ডে আবদুল মজিদ আপেল ও দেবাশীষ দত্ত সমীরের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের মামলার আসামিতে রাখা হয়নি।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান টিটো দত্ত বলেন, ‘আপেল কোনো অপকর্ম করলে এর দায় তাঁকেই নিতে হবে। আওয়ামী লীগ তাঁর অপকর্মের কোনো দায় নেবে না।’

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি। পরিচয় জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠানোর পর একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।  

আপেলের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঠাকুরগাঁও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, ‘যুবলীগের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। এরপর আমাদের চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’

আব্দুল মজিদ আপেল   আওয়ামী লীগ   যুবলীগ   বিএনপি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

দুবাইতে বাংলাদেশের কারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুসন্ধান করে দুবাইয়ে যে সমস্ত বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সম্পদ করেছেন, তাদের কয়েক জনের তালিকা পেয়েছি। এই তালিকার মধ্যে আছেন রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ী এবং আমলা। 

৩৯৪ জনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্তত তিন জন ঋণখেলাপি এবং পলাতক। ঋণ খেলাপের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং এই সমস্ত মামলা মোকাবেলা না করে তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ঋণ খেলাপিদের মধ্যে একজন ব্যাংকের মালিকও রয়েছেন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। ৩৯৪ জনের তালিকার মধ্যে রাজনীতিবিদের নাম আছে এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দুবাইতে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যের মধ্যে অন্তত ১০ জনের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এরকম আরও ১০ জনের দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরণের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির একাধিক নেতার দুবাইতে সম্পত্তি রয়েছে এবং এই সম্পদের পরিমাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের চেয়েও বেশি বলেই প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত দু জন সদস্যের দুবাইয়ে সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত একসময় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত একজন ব্যক্তিরও দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক সেনা কর্মকর্তার তথ্য পাওয়া গেছে। এগারোর সময় সক্রিয় একজন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তি এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্তত ১২ জন সাবেক আমলা রয়েছেন। যারা দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ নিনিয়োগ করেছেন এবং সম্পদের মালিক হয়েছে। তবে যেহেতু ‘দুবাই আনলকড’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যানি। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ দুবাইয়ে পাচার করেছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন পরিচয় বা বিবরণ প্রকাশ করেনি।

দুবাই   বাংলাদেশ   অর্থ পাচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কুকি-চিনের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাহাড়ি উগ্রবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

শুক্রবার (১৭ মে) বান্দরবান জেলার লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৫। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

তিনি জানান, কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কুকি-চিন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

চাকরির নামে ভারতে পাচার, পরে কিডনি বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দরিদ্র মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে যেত একটি চক্র। সেখানে নেওয়ার পর চাকরিতো দুরের কথা উল্টো জিম্মি করে কৌশলে কিডনি নেওয়া হতো পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। চক্রটি এ পর্যন্ত ১০ জনের কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন রবিন নামের এক ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি (১১ মে) ও রোববার (১২ মে) ধানমন্ডি এবং বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) ১০–১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয় রবিনকে। পরে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য তাকে রাজি করায় চক্রটি। এ জন্য তার সঙ্গে চক্রটি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিডনি নেওয়ার পর দেয় ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের পেছনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সঙ্গে চা পান করছিলেন রবিন। বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন সংসারের অভাব–অনটন নিয়ে। এ সময় পাশেই চা পান করছিলেন মাছুম। মাছুম রবিনকে বলেন, ভারতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তাকে চাকরি দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তারা। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। পরে ভারতে চাকরি করার বিষয়ে রাজি হন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভারতে যেতে কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে রবিনকে জানান মাছুম। গত সেপ্টেম্বরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে রাজু হাওলাদারের (গ্রেপ্তার করা আসামি) সঙ্গে রবিনের পরিচয় করিয়ে দেয় সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ভিসার জন্য রবিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় চক্রটি। ভিসা নিশ্চিত করার পর তাকে চক্রের আরও দুই সদস্য শাহেদ ও আতাহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কিডনিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে গুজরাটের মুক্তিনগর এলাকার একটি বাসায় নেয় চক্রটি। এরপর আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর একটি কিডনি নিয়ে নেয়।

হাসপাতাল থেকে চার দিন পর রবিন ছাড়া পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০–১১ দিন তাকে আটক রাখে অভিযুক্ত আসামিরা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রবিন জানতে পারেন, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে বড় অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের কয়েকজন সদস্য রবিনের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর দেশে ফেরেন রবিন।

পাচার   কিডনি বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

বুধবার (১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চিঠিতে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে” শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় “ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে। 

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী   দুর্নীতি   দুদক   সাইফুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে, তাকে আপনি মাফ করে দিন’

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে বলেন, ‘মিশন শেষ করে ফিরে এসেই বাবুল চীনে চলে যায়। সেখানে বসেই মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে। মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়, মুসার স্ত্রী এ কথা বলেছেন। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর সঙ্গে বাবুলের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

মিতু হত্যা মামলার ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে বাবুল আক্তারের মা মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগে আমাকে কল করেন। বলেন- বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলে খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দেন। আমি তাকে বলি- বাবুল মরলে কি এ কথা আপনি বলতেন? এসব আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলেছি। তদন্তে সবকিছু উঠে আসেনি।’

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


মাহমুদা খানম মিতু   পুলিশ সুপার   বাবুল আক্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন