জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় তাকে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে কিছুক্ষণ পর প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবে র্যাব।
এছাড়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার নম্বর আসামি রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিকেল সোয়া ৬টায় বগুড়া থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে আজ সকাল ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে র্যাব-১৩ এর একটি দল বাবু চেয়ারম্যানকে আটক করে। সেখানে তিনি তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাসির উদ্দিন বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রাব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর মামলা করে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পরদিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি হত্যা মামলা গ্রেপ্তার বাবু
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।