ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

রাজধানীতে ছিনতাই ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ, থানায় থানায় ৫০টি বিশেষ টিম

প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail রাজধানীতে ছিনতাই ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ, থানায় থানায় ৫০টি বিশেষ টিম।

স্বাভাবিক সময়ই ঢাকা শহরে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ থাকেন রাজধানীবাসী। এর ওপর ঈদের ছুটির চারদিনে ঢাকার সড়ক ছিল তুলনামূলক নির্জন। ফাঁকা ঢাকায় রাতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা। এছাড়া ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষকেও টার্গেট করে তারা। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের পর নড়েচড়ে বসে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরকে ছিনতাইকারীমুক্ত করতে শুরু করে সাঁড়াশি অভিযান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযানের জন্য ৫০টি থানায় বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থানাগুলোতে গঠন করা হয়েছে ছিনতাই প্রতিরোধী বিশেষ টিম। অনেক থানায় আবার কুইক রেসপন্স টিমকে ছিনতাইবিরোধী অভিযানে যুক্ত করা হয়েছে। অতীতে যারা ছিনতাইয়ে জড়িয়েছে, তাদের তালিকা ধরে চলছে অনুসন্ধান। বাড়ানো হয়েছে টহল ডিউটি।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঈদের দুদিন আগে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, এসব অপরাধী যেন জামিন না পায়, ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকা নিরাপদ রাখতে সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে।

এরই মধ্যে ঈদের পর গত ১৪ দিনে রাজধানী ঢাকায় ৬৭৯ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৩০৮টি মামলা করা হয়।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রাত গভীর হলে যানবাহন ও মানুষের সমাগম কমে গেলে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে পড়ে। তখন বেশ কিছু এলাকায় রিকশা ও হেঁটে চলাচলকারীদের জন্য এটি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেশীয় অস্ত্রধারী ও দলবদ্ধ এসব ছিনতাইকারীর সঙ্গে প্রতিবাদ করাও কঠিন। একটু বলপ্রয়োগ করতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় থাকে। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বাস কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে ওত পেতে মোবাইল টান দিয়েও দৌড়ে পালাচ্ছে ছিনতাইকারীরা।

ঈদের ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি শেরপুর থেকে ট্রেনে তেজগাঁও রেলস্টেশনে ফেরেন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার (৪০)। গত ১ জুলাই ভোরে পায়ে হেঁটে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে যাওয়া মাত্রই একদল ছিনতাইকারী মনিরুজ্জামানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। হত্যার পর তার কাছে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলে তাদের একজন হত্যার কথা স্বীকার করে। ছিনতাইয়ের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোনটি পরে উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ২৯ জুন রাতে হাতিরঝিল এলাকায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুজন সাংবাদিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তাদের মধ্যে প্রযোজক রাকিবুল হাসান রানা ছিনতাইকারীর হাতে গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হন। ছিনতাইকারীরা রানার হাতে থাকা ব্যাগটি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়। পরে অভিযুক্ত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরেক ছিনতাইকারীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

রাজধানীতে এমন ঘটনা শুধু সন্ধ্যা বা রাত নয়, এখন দিনদুপুরেও ঘটছে। সশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্র ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার কিংবা মোটরসাইকেল। এদের টার্গেট ভ্যানিটি ব্যাগ, হাতব্যাগ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসেট।

ছিনতাইকারীরা সাধারণত মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত তৎপর থাকে। তারা ভোরে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশন থেকে বাসামুখী রিকশাযাত্রী অথবা বাসা থেকে স্টেশনমুখী যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।

ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ফার্মগেটে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারকে খুন করাসহ সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তাদের প্রায় সবাই জামিনপ্রাপ্ত। পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় জড়িত এমন একজন আছেন, যিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে ৮ বার জেল খেটেছেন। এরমধ্যে ১৫ দিন, এক মাস থেকে শুরু করে একবার সর্বোচ্চ ২৬ মাস তিনি জেলে ছিলেন। এছাড়া ইনডিপেনডেন্ট টিভির সহকারী প্রযোজক রাকিবুল হাসান রানাকে ছুরিকাহত করা ছিনতাইকারীও জামিনে বেরিয়ে অপরাধে জড়িয়েছেন।

এদিকে রাজধানীর থানাগুলোর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা না নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ছিনতাইয়ের মামলা করতে গেলে ‘হারানোর জিডি’ নেওয়ার অভিযোগ আছে অনেক থানার বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় থানার ওসিদের এ বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগগুলো নিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে। মূলত ডিএমপি সদর দপ্তরের এমন কঠোর অবস্থানের কারণেই গত কয়েকদিনে এত ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ডিএমপির কয়েকটি থানার ওসিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছিনতাইয়ের অভিযোগে যেসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় তারা পুনরায় কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের ছিনতাইয়ে নেমে পড়েন। এ কারণে গ্রেপ্তার হলেও ছিনতাইকারীদের ভয় খুব বেশি থাকে না। তারা মনে করেন, কিছুদিন কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের ‘কাজে নামতে’ পারবেন।

ছিনতাই ঠেকাতে ‘এসআইভিএস’

ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস) নামের একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িত ৬ হাজার ১৯৮ জনের ছবিসহ নাম, বয়স, বাবার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, আঙুলের ছাপ, গ্রেফতারের তারিখ, তাদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা, গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তার নাম-পদবি ও মোবাইল ফোন নম্বর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান। অপরাধীদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

কাজে লাগছে ‘এসআইভিএস’

বর্তমানে রাজধানীর অনেক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের রহস্যের জট খুলতে এই তথ্যভান্ডারকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উদাহরণ হিসেবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান জানান, গত ১২ মে ভোরে একটি ডাকাত দলের কবলে পড়েন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নারী কনস্টেবল নার্গিস আক্তার (৩৩)। রিকশা থামিয়ে তার কাছ থেকে সোনার চেইন, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাতরা। একই রাতে ধানমন্ডিতে আরেকটি ডাকাতি করে একই চক্র। পরদিন ১৩ মে তেজগাঁও ও বনানী থানা এলাকায় আরও দুটি ডাকাতি করে তারা। ডাকাতির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করেন নার্গিস আক্তার। তদন্ত করতে গিয়ে সিসি ক্যামেরার শতাধিক ফুটেজ থেকে ডাকাত চক্রকে চিহ্নিত করা হয়। পরে এসআইভিএসের সঙ্গে ছবি মিলিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৫ মে মহাখালী থেকে ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানা পুলিশ।

এর আগে গত বছরের ২৭ মার্চ ভোরে মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী (৩৯)। এ ঘটনায় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম এসআইভিএসে ছিল।

এ তথ্যভান্ডারের কারণে রাজধানীতে ছিনতাই ও ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিএমপির কর্মকর্তারা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) বলেন, এসআইভিএসকে কাজে লাগিয়ে গত বছরের ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত তিন মাসে ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্দেহে ১ হাজার ৭৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ছিনতাই রোধে থানা পুলিশ, ডিবি ও থানার বিশেষ টিম কাজ করছে। ঈদের পর গত ১৪ দিনে রাজধানী ঢাকায় ৬৭৯ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৩০৮টি মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলা বিশেষ অভিযানে ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৬৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৪৪ জনকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির মিরপুর বিভাগ ১০৪ জন, লালবাগ বিভাগ ৮৬ জন, রমনা বিভাগ ৫০ জন, মতিঝিল বিভাগ ৬৩ জন, উত্তরা বিভাগ ৬৯ জন, গুলশান বিভাগ ৩৩ জন ও ওয়ারী বিভাগ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ৩০৮টি মামলা হয়েছে জানিয়ে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, সবচেয়ে বেশি তেজগাঁও বিভাগের সংশ্লিষ্ট থানায় ১০৪টি মামলা হয়েছে। এছাড়া রমনা বিভাগে ২৫টি, লালবাগ বিভাগে ৫৫টি, মতিঝিল বিভাগে ২৬টি, ওয়ারী বিভাগে ১৫টি, মিরপুর বিভাগে ৫০টি, গুলশান বিভাগে ১৭টি ও উত্তরা বিভাগের সংশ্লিষ্ট থানায় ১৬টি মামলা হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ বিষয়ে বলেন, ঈদ পরবর্তী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের যাতায়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে র‌্যাব তৎপর হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব চলমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িছে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা প্রদানের অংশ হিসেবে র‌্যাব প্রত্যেক এলাকায় দুটি শিফটে বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত টহল ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের ডিউটিতে মোতায়েন করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অসংখ্য ছিনতাইকারীকে।


রাজধানী   ছিনতাই   পুলিশ   বিশেষ টিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

চাকরির নামে ভারতে পাচার, পরে কিডনি বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দরিদ্র মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে যেত একটি চক্র। সেখানে নেওয়ার পর চাকরিতো দুরের কথা উল্টো জিম্মি করে কৌশলে কিডনি নেওয়া হতো পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। চক্রটি এ পর্যন্ত ১০ জনের কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন রবিন নামের এক ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি (১১ মে) ও রোববার (১২ মে) ধানমন্ডি এবং বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) ১০–১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয় রবিনকে। পরে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য তাকে রাজি করায় চক্রটি। এ জন্য তার সঙ্গে চক্রটি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিডনি নেওয়ার পর দেয় ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের পেছনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সঙ্গে চা পান করছিলেন রবিন। বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন সংসারের অভাব–অনটন নিয়ে। এ সময় পাশেই চা পান করছিলেন মাছুম। মাছুম রবিনকে বলেন, ভারতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তাকে চাকরি দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তারা। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। পরে ভারতে চাকরি করার বিষয়ে রাজি হন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভারতে যেতে কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে রবিনকে জানান মাছুম। গত সেপ্টেম্বরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে রাজু হাওলাদারের (গ্রেপ্তার করা আসামি) সঙ্গে রবিনের পরিচয় করিয়ে দেয় সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ভিসার জন্য রবিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় চক্রটি। ভিসা নিশ্চিত করার পর তাকে চক্রের আরও দুই সদস্য শাহেদ ও আতাহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কিডনিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে গুজরাটের মুক্তিনগর এলাকার একটি বাসায় নেয় চক্রটি। এরপর আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর একটি কিডনি নিয়ে নেয়।

হাসপাতাল থেকে চার দিন পর রবিন ছাড়া পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০–১১ দিন তাকে আটক রাখে অভিযুক্ত আসামিরা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রবিন জানতে পারেন, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে বড় অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের কয়েকজন সদস্য রবিনের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর দেশে ফেরেন রবিন।

পাচার   কিডনি বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

বুধবার (১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চিঠিতে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে” শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় “ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে। 

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী   দুর্নীতি   দুদক   সাইফুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে, তাকে আপনি মাফ করে দিন’

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে বলেন, ‘মিশন শেষ করে ফিরে এসেই বাবুল চীনে চলে যায়। সেখানে বসেই মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে। মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়, মুসার স্ত্রী এ কথা বলেছেন। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর সঙ্গে বাবুলের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

মিতু হত্যা মামলার ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে বাবুল আক্তারের মা মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগে আমাকে কল করেন। বলেন- বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলে খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দেন। আমি তাকে বলি- বাবুল মরলে কি এ কথা আপনি বলতেন? এসব আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলেছি। তদন্তে সবকিছু উঠে আসেনি।’

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


মাহমুদা খানম মিতু   পুলিশ সুপার   বাবুল আক্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

আলমারির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন কুকি-চিনের প্রধান সমন্বয়ক

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ‘প্রধান সমন্বয়ক’ চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। 

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে আটক করে হয়েছে। নিজ ঘরে আলমারির ভেতর লুকিয়ে ছিলেন তিনি। র‌্যাবের বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরুর কথা গণমাধ্যমকে জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ফিল্মি কায়দায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়।আগের রাতের এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এসব ঘটনায় ৭টি মামলা করা হয়। তবে এ মামলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর কোনো নেতা ও সশস্ত্র সদস্যদের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়নি।

কুকি-চিন   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনেছে রেলওয়ে

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেলওয়ে। যন্ত্রাংশ কেনাকাটা সহ নানা অনিয়মের এমন প্রমাণ চিত্র পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য প্রমাণ পায়।

দুদক বলেছে, ‘বাজারে যেসব এলইডি বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, সেসব বাতি রেলওয়ে কিনেছে ২৭ হাজার টাকায়।’

দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘রেলওয়েতে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন ও কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি ও পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট ও এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে, যেগুলোর দাম বাজারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযোগসংশ্লিষ্ট আরঅ্যান্ডআইয়ের মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ওয়াকিটকি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।’

জানা গেছে, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই অনিয়ম প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের ওপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো তথ্যউপাত্ত পায়নি দুদক।

দুদক   দুর্নীতি   রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন