নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমানসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ছয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নওপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে আটক করেন র্যাব-১০–এর সদস্যরা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ, সিরাজ ও মাহফুজুর রহমান ওরফে বিজয়। তাঁদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত বছর ২৩ আগস্ট কুমিল্লা থেকে আট তরুণ নিখোঁজ হয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের তথ্য পায়।
পরে জানা যায়, এই সংগঠনের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণে সহায়তা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট)। গত অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানা গেছে, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার একটি বাড়িতে কিছুদিন ধরে অবস্থান করে তাঁদের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে অভিযান শুরু করা হয়। আজ সোমবার ভোরে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী পুস্তিকা, অর্থসহ সংগঠনটির আমির মো. আনিসুর রহমান এবং আরও দুই সদস্যকে আটক করা হয়। বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা র্যাবের হেফাজত রয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ জুন রাতে রাজধানীর ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনটির আরেক নেতা শামিন মাহফুজকে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, শামিন মাহফুজ এই জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা।
জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার আমির আটক
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।