আসামিকে আশ্রয় দেওয়া ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা এবং আসামিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন মীর বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং ৩)।
এ বিষয়ে বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মহানগর গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশকে সহযোগিতা করা সকল নাগরিকেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। পুলিশ যখন আইনগতভাবে সহযোগিতা চায়, পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করে। কারণ পুলিশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একমাত্র শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। পুলিশ মানুষের সেবা করে, জানমালের নিরাপত্তা দেয়। যখনই যেখানে বিপদে পড়ে, যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশকে মানুষ স্মরণ করে।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা মনে করেছিলাম নুর একজন মেধাবী ছাত্রনেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ভিপি। তার উচিত ছিল পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। আমাদের পুলিশ সদস্যরা তাকে পরিচয় দিয়ে বলেছেন, আমরা থানা থেকে এসেছি। নুর তাদের চেনেনও, কারণ অনেক পুলিশ অফিসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারপরও আপনারা দেখেছেন তিনি পুলিশকে ডাকাত পরিচয়, পুলিশ বস্তির লোক, এসব কথা বলেছেন। আরও নানান ধরনের মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি একজন নেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে নুরের কাছ থেকে আমরা এটা কোনোদিন প্রত্যাশা করি না। নুর এত কিছু বলার পরেও আমরা সহমর্মিতার পরিচয় দিয়েছি। তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছি এবং তার রুম থেকেই আমরা আমাদের যে মামলার আসামি তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছি। আইনে আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া আছে তার বাইরে আমরা কিছু করিনি।
পুলিশ বাধা আসামি আশ্রয় নুর মামলা
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।