ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কুলাউড়ায় আটক ১৭ জঙ্গির মধ্যে আছেন ডাক্তার ও প্রকৌশলী

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি সন্দেহে জনতার হাতে আটককৃতদের ১৭ জনের মধ্যে ডাক্তার, প্রকৌশলীও রয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন।

তিনি বলেন, আটককৃতরা জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আগেই বলেছিলাম যে তাদের আরও আস্তানা এখানে আছে। এই ধারাবাহিকতায় সোমবার তারা আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখানে অনেক ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার আছে, তাই তাদের আরও গভীর জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যার কারণে আমরা আগামীকাল সকালে ওই এলাকায় আবার অভিযান চালাব। এখন পর্যন্ত অভিযানের স্বার্থে তাদের পরিচয় কিংবা অন্য কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। অভিযান শেষে বিস্তারিত  জানানো হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার  মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার) ও কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার সফিক, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেকসহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

জনতার হাতে আটককৃত ১৭ জঙ্গিকে  কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ৩টি মাক্রোবাসে করে কর্মধা ইউপি কার্যালয় থেকে পুলিশে হেফাজতে অন্যত্র নেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাদেরকে আছকরাবাদ বাজার সংলগ্ন সিএনজি গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে মৌলভীবাজার  ও ফুলতলা যাওয়ার পথে আটক করে গাড়ি চালক ও স্থানীয় জনতা।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা কুদ্দুস জানান, সকালের দিকে তাদের সিএনজি স্ট্যান্ডে কয়েকজন অপরিচিত লোক খালি পায়ে কর্দমাক্ত অবস্থায় আমাদের কাছে আছে। তখন তাদের সাথে একজন শারিরিক প্রতিবন্ধী লোকও ছিল। নিজেদের পর্যটক পরিচয় দিয়ে তাদের গন্তব্য জানতে চায়। তাদের কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তখন আমরা তাদের আটক করে কৌশলে ইউনিয়ন কার্যালয়ের ভেতর নিয়ে আসি।

পুলিশ সূত্র জানায়, সিএনজি চালিত ৩টি সিএনজি অটোরিকশা যোগে ওই এলাকা ত্যাগের সময় জনতা তাদের আটক করে। একই সময়ে রবিরবাজার এলাকায় চলে যাওয়া ১টি অটোরিকশায় জঙ্গি দলের ইমাম মাহমুদ সহ ৩ জনকে আটক করে। নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার টিম প্রধান জনতার হাতে আটককৃত এই ১৭ জঙ্গির মধ্যে রয়েছেন। তাদের বয়স ২৫-৫০ এর ভেতরে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (১২ আগস্ট) একই ইউনিয়নের থেকে ১০ জঙ্গি গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এসময় ৩ শিশু  উদ্ধার করা  হয়।

কুলাউড়া   জঙ্গি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

চাকরির নামে ভারতে পাচার, পরে কিডনি বিক্রি

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দরিদ্র মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে যেত একটি চক্র। সেখানে নেওয়ার পর চাকরিতো দুরের কথা উল্টো জিম্মি করে কৌশলে কিডনি নেওয়া হতো পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। চক্রটি এ পর্যন্ত ১০ জনের কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এ চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন রবিন নামের এক ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনি (১১ মে) ও রোববার (১২ মে) ধানমন্ডি এবং বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫), সাগর ওরফে মোস্তফাসহ (৩৭) ১০–১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয় রবিনকে। পরে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য তাকে রাজি করায় চক্রটি। এ জন্য তার সঙ্গে চক্রটি ৬ লাখ টাকা দেওয়ার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ভুক্তভোগীকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিডনি নেওয়ার পর দেয় ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে শাহ আলী মার্কেটের পেছনে একটি চায়ের দোকানে বন্ধুর সঙ্গে চা পান করছিলেন রবিন। বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন সংসারের অভাব–অনটন নিয়ে। এ সময় পাশেই চা পান করছিলেন মাছুম। মাছুম রবিনকে বলেন, ভারতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তাকে চাকরি দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তারা। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। পরে ভারতে চাকরি করার বিষয়ে রাজি হন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ভারতে যেতে কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে রবিনকে জানান মাছুম। গত সেপ্টেম্বরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে রাজু হাওলাদারের (গ্রেপ্তার করা আসামি) সঙ্গে রবিনের পরিচয় করিয়ে দেয় সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ভিসার জন্য রবিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেয় চক্রটি। ভিসা নিশ্চিত করার পর তাকে চক্রের আরও দুই সদস্য শাহেদ ও আতাহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিনকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কিডনিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে গুজরাটের মুক্তিনগর এলাকার একটি বাসায় নেয় চক্রটি। এরপর আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বছরের ৪ মার্চ গুজরাটের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর একটি কিডনি নিয়ে নেয়।

হাসপাতাল থেকে চার দিন পর রবিন ছাড়া পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ১০–১১ দিন তাকে আটক রাখে অভিযুক্ত আসামিরা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রবিন জানতে পারেন, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে বড় অঙ্কের অর্থে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের কয়েকজন সদস্য রবিনের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর দেশে ফেরেন রবিন।

পাচার   কিডনি বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

বুধবার (১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

চিঠিতে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে” শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় “ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে। 

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী   দুর্নীতি   দুদক   সাইফুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

‘মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে, তাকে আপনি মাফ করে দিন’

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

সাক্ষ্যে বলেন, ‘মিশন শেষ করে ফিরে এসেই বাবুল চীনে চলে যায়। সেখানে বসেই মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে। মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়, মুসার স্ত্রী এ কথা বলেছেন। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর সঙ্গে বাবুলের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

মিতু হত্যা মামলার ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে বাবুল আক্তারের মা মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগে আমাকে কল করেন। বলেন- বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলে খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দেন। আমি তাকে বলি- বাবুল মরলে কি এ কথা আপনি বলতেন? এসব আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলেছি। তদন্তে সবকিছু উঠে আসেনি।’

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


মাহমুদা খানম মিতু   পুলিশ সুপার   বাবুল আক্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

আলমারির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন কুকি-চিনের প্রধান সমন্বয়ক

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ‘প্রধান সমন্বয়ক’ চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। 

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে আটক করে হয়েছে। নিজ ঘরে আলমারির ভেতর লুকিয়ে ছিলেন তিনি। র‌্যাবের বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরুর কথা গণমাধ্যমকে জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ফিল্মি কায়দায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়।আগের রাতের এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এসব ঘটনায় ৭টি মামলা করা হয়। তবে এ মামলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর কোনো নেতা ও সশস্ত্র সদস্যদের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়নি।

কুকি-চিন   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনেছে রেলওয়ে

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেলওয়ে। যন্ত্রাংশ কেনাকাটা সহ নানা অনিয়মের এমন প্রমাণ চিত্র পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য প্রমাণ পায়।

দুদক বলেছে, ‘বাজারে যেসব এলইডি বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, সেসব বাতি রেলওয়ে কিনেছে ২৭ হাজার টাকায়।’

দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘রেলওয়েতে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন ও কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি ও পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট ও এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে, যেগুলোর দাম বাজারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযোগসংশ্লিষ্ট আরঅ্যান্ডআইয়ের মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ওয়াকিটকি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।’

জানা গেছে, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই অনিয়ম প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের ওপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো তথ্যউপাত্ত পায়নি দুদক।

দুদক   দুর্নীতি   রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন