হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টমসের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় প্রায় ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি-উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বদিউজ্জামান জিল্লু।
তিনি বলেন, কাস্টমসের চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার সিপাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৯৪ ভরি সোনা। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬), সাইদুল ইসলাম সাহেদ (৩৩), আকরাম শেখ (৩৬) ও মো. মাসুম রানা (৩৩)। সিপাহিরা হলেন, মো. মোজাম্মেল হক (৩৫), মো. নিয়ামত হাওলাদার (২৭), মো. রেজাউল করিম (৩৬) ও মো. আফজাল হোসেন (২৯)।
জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ। তদন্তের জন্য আমরা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যে ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ডিবিপ্রধান।
পরবর্তী কী ব্যবস্থা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা জানার চেষ্টা করবো তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত। তারা বাকি সোনা কোথায় সরিয়েছে তা জানার চেষ্টা করবো।
এর আগে ২২ আগস্ট একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ঢাকা কাস্টম হাউজের বিমানবন্দর ট্রানজিট গুদামে ৫৫ কেজি সোনা পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ ছয়টি ডিটেনশন মেমোর পণ্যের হিসাবে গরমিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে ২ সেপ্টেম্বর। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয় অজ্ঞাতদের আসামি করে। এসব সোনার দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
সোনা চুরি কাস্টমস গ্রেপ্তার উদ্ধার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।