অর্থ পাচারের
সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে নাম আসা বিভিন্ন বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে
অনুসন্ধান শুরু করেছে ক্রিমিনাল
ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
সোমবার
(২৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টকে এ কথা জানিয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম
খান।
তিনি
বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের সংক্রান্ত
নথি সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে ছয়টি যৌথ
অুনসন্ধান টিম এই কাজ
করছে।
এর আগে গত ২৬
জানুয়ারি পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস
কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ৬৯
ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম
তালুকদার ও বিচারপতি মো.
মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে দাখিল করা হয়। এর
মধ্যে পানামা পেপারসে ৪৩ ও প্যারাডাইস
পেপারসে ২৬ জনের নাম
রয়েছে।
এর আগে গত বছর
৪৩ ব্যক্তি–ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা
দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই
তালিকার ওপর শুনানি করে
পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে
নাম আসা অর্থ পাচারকারীদের
বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া
হয়েছে, তা জানাতে গত
৬ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পানামা
পেপারসে ৪৩ জন
পানামা
পেপারসে নাম আসাদের মধ্যে
কাজী জাফরুল্লাহ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও রয়েছেন–ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্সের ক্যাপ্টেন
সোহাইল হোসাইন, স্পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলাম, বাংলা ট্র্যাক লি. এর আমিনুল
হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক
ইকরামুল হক, বিএপিআই–এর
সাবেক সভাপতি ড. এ এম
এম খান, মমিন টি
এর পরিচালক আজমত মঈন, সি
পার্লের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সিরাজুল
হক, ইউনাইটেডে গ্রুপের হাসান মাহমুদ রেজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ ও এফএফ জোবায়দুল
হক, সিক্স সিজনসের দিলীপ কুমার মোদী, অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির, মার্কেন্টাইল
করপোরেশনের আজীজ খান, তার
স্ত্রী আঞ্জুমান আজীজ খান, মেয়ে
আয়েশা আজীজ খন, ভাই
জাফের উমায়েদ খান ও ভাগনে
ফয়সাল করিম খান, সেতু
করপোরেশনের মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী
উম্মে রাব্বানা, ক্যাপ্টেন এম এ জাইল,
এফএম জোবায়দুল হক, সালমা হক,
খাজা শাহাদাৎ উল্লাহ, মীর্জা এম ইয়াহিয়া, সৈয়দা
সামিনা মীর্জা, আমিনুল হক, তারেক একরামুল
হক, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহীদ, মোহাম্মদ ফয়সল করিম খান,
নজরুল ইমলাম, সৈয়দ সিরাজুল হক,
জুলফিকার হায়দার এবং বিবিটিএল।
প্যারাডাইস
পেপারস
প্যারাডাইস
পেপারসে মিন্টু পরিবারের ৫ সদস্য ছাড়াও
রয়েছে–মেঘনাঘাট পাওয়ার লি. এর ফয়সাল
চৌধুরী, ওয়াই ফরিদা মোগল,
শহীদ উল্লাহ, সামির আহমেদ, সেভেন সিজ অ্যসেটস লি.
, সোয়েন ইনভেস্টমেন্টস লি. , ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন লি. , ইউনোকল শাহবাজপুর পাওয়ার লি. , ইউনোকল শাহবাজপুর পাইপলাইন লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক সেভেন লি.
, ইউনোকল শাহবাজপুর লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক ফাইভ লি.
, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টেন লি.
, এনএফএম এনার্জি পিটিই লি. , বারলিংটন রিসোর্সেস বাংলাদেশ লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লকস থারটিন অ্যান্ড ফরটিন লি. , ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লি.
, ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ (বারমুডা) লি. এবং টেরা
বাংলাদেশ ফান্ড লি.।
প্যারাডাইস পেপারস পানামা পেপারস অনুসন্ধান সিআইডি
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।