মন্ত্রী, সচিব বা কোন সরকারি পদে না থেকেও মন্ত্রীপাড়ার সরকারি বাংলোয় বসবাস করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ)।
আবদুস সোবহান ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে সচিব পদমর্যাদায় বাংলোটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর অন্য বিশেষ সহকারীদের নাম থাকলেও নেই আবদুস সোবহানের নাম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, আবদুস সোবহানকে ২০১৮ সালের পর আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আবদুস সোবহানের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর মন্ত্রীদের অনেকেই বাংলো বরাদ্দ চেয়েছেন। কিন্তু আবদুস সোবহান থাকেন বলে ৪২ নম্বর বাংলোটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হওয়ার সুবাদে আবদুস সোবহান সরকারি বাড়িটি পেয়েছিলেন। তবে তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কি না, তা তিনি জানেন না।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, আবদুস সোবহানের সরকারি পদবী ও তার মন্ত্রিপাড়ার বাংলোয় থাকার বৈধতা নিয়ে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের পর আবদুস সোবহানকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া-সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন বা সরকারি চিঠিপত্র পাওয়া যায়নি।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, মিন্টো রোডের বাংলোগুলো মন্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। সরকারি কোনো পদে না থেকে বাংলোয় থাকা বেআইনি। এ জন্য আবদুস সোবহান যেমন দায়ী, তেমনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও দায়ী।
মন্ত্রী সচিব আওয়ামী লীগ গোলাপ
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।