ঢাকায় আরেকটি বড় মেট্রোরেল রুট চালু হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৫ এর দক্ষিণ রুট নির্মাণে অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ায়।
এই কাজের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৩ বিলিয়ন ডলার এবং দক্ষিণ কোরিয়া ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। জানা গেছে, এই প্রকল্পের বাজেট ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার পশ্চিমের গাবতলী এবং পূর্বের দাশেরকান্দির মধ্যকার ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হবে। প্রকল্পটি ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ করার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই রুটের ১৩ কিলোমিটারের বেশি অংশ হবে ভূগর্ভস্থ এবং ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড। প্রকল্পে অর্থায়নের নিশ্চয়তা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ গত মাসে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
এডিবির এই ঋণের মেয়াদ হবে ৩০ বছর, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড। দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৩-২০২৭ সালের মধ্যে সহজ শর্তে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে গত বছরের মে মাসে একটি 'ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট' সই করেছে। এই ঋণের মধ্যে দেড় বিলিয়ন ডলার আসবে এমআরটি লাইন-৫ এর দক্ষিণ রুটের জন্য।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন—এমআরটি লাইন-৬—গত ২২ জানুয়ারি চালু হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এই রুট হলেও মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়া এই মেট্রোরেল ঢাকার ভেতরে চলাচলের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে উত্তরা ও মতিঝিলের মধ্যে সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করে।
জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৫ এর দক্ষিণ রুটটি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, তেজগাঁও ও আফতাবনগর হয়ে দাশেরকান্দিতে শেষ হবে। এর মোট স্টেশন থাকবে ১৫টি, যার মধ্যে ১১টি ভূগর্ভস্থ এবং ৪টি এলিভেটেড স্টেশন।
প্রকল্পের গাবতলী থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত অংশ হবে ভূগর্ভস্থ এবং আফতাবনগর থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত অংশ হবে এলিভেটেড। এই রুটে প্রাথমিকভাবে ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ বিশিষ্ট ১৯টি মেট্রোরেল পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি মেট্রোরেল সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
এই রুটে মেট্রোরেল চালু হলে গাবতলী ও দাশেরকান্দির মধ্যে চলাচলে সময় লাগবে মাত্র ২৮ মিনিট। এই পরিকল্পিত নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন হলে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবে। ২০৩০ সালে এই রুট চালু হওয়ার পর প্রতি সাড়ে ৪ মিনিট পর পর ট্রেন ছেড়ে যাবে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছয়টি লাইনের সমন্বয়ে ১৪০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করবে।
মেট্রোরেল এডিবি দক্ষিণ কোরিয়া
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।