ইনসাইড পলিটিক্স

ইউপি ষষ্ঠ ধাপ: নৌকার মাঝি হলেন যারা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০২ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ইউপি ষষ্ঠ ধাপ: নৌকার মাঝি হলেন যারা

ষষ্ঠ ধাপের স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

পরে দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাদারীপুরের রাজৈর ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ এবং পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভায় দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। 
 
পঞ্চগড়

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে আশরাফুল আলম ও দেবীডুবা ইউপিতে পরেশ চন্দ্র রায় প্রধান।  

দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউপিতে কাশেম আলী, সুন্দরবনে অশোক কুমার রায়, ফাজিলপুরে অভিজিত বসাক, শেখপুরায় মমিনুল ইসলাম, শশরায় মোয়াজ্জেম হোসেন, আওলিয়াপুরে  মোস্তফা কামাল, উথরাইলে আনিসুর রহমান, শংকরপুরে ইসহাক আলী, আস্করপুরে মোশারফ হোসেন ও কমলপুরে আহাচান হাবিব সরকার।

ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকিপুর ইউপিতে সদের আলী, পালশায় কাজী মাকসুদুর রহমান চৌধুরী, সিংড়ায় আব্দুল মান্নান মণ্ডল ও ঘোড়াঘাটে আসাদুজ্জামান ভুট্টু। 

বিরল উপজেলার ধামইর ইউপিতে মসলেম উদ্দীন, শহরগ্রামে ওয়াহেদ আলী, ভান্ডারায় মামুনুর রশিদ মামুন, ধর্মপুরে সাবুল চন্দ্র সরকার, মঙ্গলপুরে সেরাজুল ইসলাম ও রানীপুকুরে আল্লামা আজাদ ইকবাল। 

বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউপিতে নুরিয়াস সাঈদ ফয়সাল ও ভোগনগরে রাজিউর রহমান। 
 
রংপুর

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউপিতে এস এম ফারুক আহমদ ও বড় আলমপুরে মো. মোদাব্বেরুল ইসলাম সাজু। 

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউপিতে মনজুরুল ইসলাম, থানাহাটে আব্দুর রাজ্জাক, রমনায় আজগার আলী, চিলমারীতে গয়ছল হক ও অষ্টমীরচরে আবু তালেব। 

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী ইউপিতে আব্দুর রাজ্জাক, পাথরডুবিতে মহিউদ্দিন আহ্ম্মেদ ও শিলখুড়িতে  আসাদুজ্জামান। 

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউপিতে আব্দুর গফুর মিয়া, নলডাঙ্গায় শাহরিয়ার ইসলাম, দামোদরপুরে রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, ধাপেরহাটে শফিকুল কবির মিন্টু, ইদিলপুরে শাহারুল ইসলাম, ভাতগ্রামে নাজমুল হাসান সুমন, খোর্দ্দকোমরপুরে সাজজাদ হোসেন তালুকদার ও ফরিদপুরে নূর আজম মণ্ডল।  

বগুড়া

রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার সারিয়াকান্দি ইউপিতে সাহাম্মত করিম প্রামাণিক, ভেলাবাড়ীতে গোলাম রব্বানী, বোহাইলে গোলাম মোস্তফা তরফদার, চন্দনবাইশায় মাহমুদুন নবী, ফুলবাড়ীতে আনোয়ারুত তারিক, হাটশেরপুরে মতিয়ার রহমান, কামালপুরে রাছেদুউজ্জামান, কাজলায় শাহ জাহান আলী, কর্ণিবাড়ীতে আনছার আলী, কুতুবপুরে আতাউর রহমান (মিঠু) ও নারচীতে আলতাফ হোসেন।

সোনাতলা উপজেলার সোনাতলা ইইপিতে মাহবুবুল আলম, তেকানী চুকাইনগরে শামছুল হক, দিগদাইড়ে আলী তৈয়ব (শামীম), জোড়গাছায় আনারুল ইসলাম, মধুপুরে দবির হোসেন মণ্ডল, পাকুল্লায় জুলফিকার রহমান ও বালুয়ায় আব্দুল আজিজ মণ্ডল। 

বগুড়া সদর উপজেলার ফাপোর ইইপিতে শফি মাহমুদ ও রাজাপুরে আবু জাফর ফারাজী।  গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউপিতে শহীদুল ইসলাম বাবু, সুখান পুকুরে আলমগীর রহমান ও সোনারায়ে মজিবুর রহমান। 

নওগাঁ

নওগাঁর নেয়ামতপুর উপজেলার পঁড়াইল ইউপিতে সৈয়দ মুজিব, নিয়ামতপুরে বজলুর রহমান, ভাবিচায় ওবাইদুল হক, হাজীনগরে আব্দুর রাজ্জাক, রসুলপুরে মোত্তালিব, বাহাদুরপুরে মামুনুর রশিদ, শ্রীমন্তপুরে রফিকুল ইসলাম ও চন্দননগরে খালেকুজ্জামান।  
 
টাঙ্গাইল

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউপিতে রফিকুল ইসলাম, ধোপাকান্দিতে সিরাজুল ইসলাম, আলমনগরে আব্দুল মোমেন, নগদাশিমলায় হোসেন আলী ও হাদিরায় বিলকিছ জাহান। 

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউপিতে সরকার শামীম আহম্মদ, চরফরাদীতে আ. মান্নান, এগারসিন্দুরে নূরু জ্জামান মিয়া, বুরুদিয়ায় মাহবুবুর রহমান, পাটুয়াভাঙ্গায় সাহাব উদ্দিন, নারান্দীতে শফিকুল ইসলাম, হোসেন্দীতে মুহাম্মদ হাদিউল ইসলাম, চণ্ডিপাশায় মঈন উদ্দিন ও সুখিয়ায় আ. হামিদ। কুলিয়ারচর উপজেলার রামদীতে আলাল উদ্দিন। 

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে এমএইচএফ শাহারিয়া, তেওতায় আবুল বাশার, উথলীতে আব্বাস আলী, শিমুলিয়ায় জহির উদ্দিন, মহাদেবপুরে মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান তড়িৎ, উলাইলে আব্দুল মান্নান খান ও আরুয়ায় আক্তারুজ্জামান খান। 

ঢাকা 

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউপিতে আলীমোর রহমান খান পিয়ারা, জয়কৃষ্ণপুরে রেশমা আক্তার, বারুয়াখালীতে এমএ বারী বাবুল, নয়নশ্রীতে পলাশ চৌধুরী, শোল্লায় মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, যন্ত্রাইলে এ কে এম মনিরুজ্জামান, বান্দুরায় হুমায়ুন কবির, কলাকোপায় ইব্রাহীম খলিল, বক্সনগরে আ. ওয়াদুদ, বাহ্রায় সাফিল উদ্দিন মিয়া, কৈলাইলে বশির আহমেদ, আগলায় শিরিন চৌধুরী, গালিমপুরে আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও চূড়াইনে আব্দুল জলিল।

দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নে তৈয়বুর রহমান, কুসুমহাটীতে আব্দুল কাদের, বিলাসপুরে রাশেদ চোকদার, নারিশায় আলমগীর হোসেন ও  মকসুদপুরে আ. হান্নান খান। 

গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার রামশীল ইউপিতে শ্যামল কান্তি বিশ্বাস। 

জামালপুর

ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইইপিতে নজরুল ইসলাম। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউপিতে আমিনুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ

জেলার ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউপিতে আবুল কালাম আজাদ, রামভদ্রপুরে দুদু মিয়া, ভাইটকান্দিতে আলাউদ্দিন আহমদ, সিংহেশ্বরে শাহা আলী, ফুলপুরে আবুল কাশেম, পয়ারীতে এনামুল কবির, রহিমগঞ্জে আবু ছাইদ সরকার, রূপসীতে শাহ সুলতান চৌধুরী, বালিয়ায় দেলোআর মোজাহীদ ও বওলায় হারুন অর রশীদ। 

ভালুকা  উপজেলার উথুরা ইপিতে নুরুল ইসলাম, মেদুয়ারীতে জেসমিন নাহার রানী, ভরাডোবায় শাহ আলম তরফদার, ধীতপুরে লুৎফর রহমান খান, বিরুনিয়ায় রিদওয়ান সারোয়ার রব্বানী, ভালুকায় শিহাব আমীন খান, মল্লিকবাড়ীতে মোহাম্মদ আকরাম হোসাইন, ডাকাতিয়ায় হারুনুর রশিদ, কাচিনায় মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, হবিরবাড়ীতে তোফায়েল আহাম্মেদ ও রাজৈ ইউপিতে নূরুল ইসলাম বাদশা। 

নেত্রকোনা 

নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুরে লোকমান হেকিম ও খালিয়াজুরীতে গোলাম আবু ইছহাক। পূর্বধোলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউপিতে রেজুয়ানুর রহমান। 

সিলেট

সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া, সাদিপুরে সাহেদ আহমেদ, পশ্চিম পৈলনপুরে হান্নান মিয়া, বুরুঙ্গা বাজারে আখলাকুর রহমান, গোয়ালাবাজারে পীর মজনু মিয়া, তাজপুরে ফয়ছল হোসেন সুমন, দয়ামীরে হিরন মিয়া ও উছমানপুরে ওয়ালি উল্লাহ বদরুল। বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউপিতে ফয়ছল আহমদ ও খাজাঞ্চিতে আরশ আলী। 

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউপিতে জবরুল ইসলাম জগলু, তেতলীতে আতিকুর রহমান ও কামালবাজারে আব্দুর রব। 

গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পশ্চিম আলীরগাঁওয়ে গোলাম কিবরিয়া হেলাল ও মধ্য জাফলংয়ে ফারুক আহমদ। কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর (পশ্চিম) ইউপিতে আলকাছ আলী। 

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়েনে হারুন অর রশীদ, পুঁটিজুরি মুদ্দত আলী, সাতকাপনে নারায়ণ চন্দ্র পাল, বাহুবল সদরে রিফাত ইসলাম মুরাদ, লামাতাসীতে সাইফুর রহমান জুয়েল, মিরপুরে সাইফুদ্দিন ও ভাদেশ্বরে কামরুজ্জামান। 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইইপিতে আব্দুস সামাদ।   

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউপিতে জাকির হোসেন, শিবপুরে শাহীন সরকার, বিটঘরে মেহেদী জাফর, কাইতলায় (দক্ষিণ) শওকত আলী, বিদ্যাকুটে জাকারুল হক, নাটঘরে সাইফুল আলম ও কৃষ্ণনগরে মোহাম্মদ মাশুকুর রহমান। 

কুমিল্লা

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউপিতে ইকবাল বাহার, আকুবপুরে বাবুল আহামেদ মোল্লা, আন্দিকুটে ওমর ফারুক সরকার, পূর্বধইরে (পূর্ব) শুকলাল দেবনাথ, পূর্বধইরে (পশ্চিম) শরীফুল ইসলাম, বাংগরায় (পূর্ব) শফিকুল ইসলাম, বাংগরায় (পশ্চিম) রুহুল আমিন, চাপিতলায় আবু মুছা আল কবির, কামাল্লায় আবুল বাসার খান, যাত্রাপুরে আবুল কালাম আজাদ, রামচন্দ্রপুরে (দ.) আ লতিফ সরকার, রামচন্দ্রপুরে (উত্তর) নাজমুল হক, নবীপুরে (পূর্ব) জহিরুল ইসলাম, নবীপুরে (পশ্চিম ) জাকির হোসেন, রামঘরে আ. কাদির, জাহাপুরে এ কে এম সফিকুল ইসলাম, ছালিয়াকান্দিতে অলি উল্লাহ সরকার, দারোরায় কামাল উদ্দিন খন্দকার, পাহাড়পুরে আ. ছামাদ মাঝি, বাবুটিপাড়ায় জাকির হোসেন মুন্সী ও টনকীতে আনিছুর রহমান।

মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউপিতে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সরসপুরে আবদুল মন্নান, হাসনাবাদে কামাল হোসেন, ঝলমে (উত্তর) আবদুল মজিদ খান, ঝলমে (দক্ষিণ ) আশিকুর রহমান হাওলাদার, মৈশাতুয়ায় মফিজুর রহমান, লক্ষ্মপুরে মহিন উদ্দীন, খিলায় আল-আমীন ভূঁইয়া, উত্তরহাওলায় এম এ হান্নান, নাথেরপেটুয়ায় আবদুল মান্নান চৌধুরী ও বিপুলাসার সাইদুর রহমান (দুলাল)। 

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউপিতে মোহাম্মদ ইদ্রিচ।

আওয়ামী লীগ   ইউপি নির্বাচন   মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন