ইনসাইড পলিটিক্স

১১ জেলা আওয়ামী লীগের জন্য রেড জোন

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ১১ জেলা আওয়ামী লীগের জন্য রেড জোন

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে আওয়ামী লীগের ১১ জেলায়। আর এই ১১ জেলাকে আওয়ামী লীগের নেতারা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে এই জেলাগুলোতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে হাইকমান্ড থেকে। আর এজন্য প্রয়োজনে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হবে। আর অভ্যন্তরীণ কোন্দল যদি মীমাংসা না করা হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে এই ১১ জেলায় আওয়ামী লীগের বড় রকমের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন। যে ১১টি জেলাকে আওয়ামী লীগ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে-

১. নোয়াখালী: নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তার ছোটভাই কাদের মির্জা বনাম একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। গতকাল একরামুল করিম চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এখন শেষ পর্যন্ত একরাম চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। কিন্তু একরাম চৌধুরী-কাদের মির্জার বিরোধ নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগকে টালমাটাল করে রেখেছে। এই পরিস্থিতির যদি অবসান না হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের সংকটের কারণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২. গাজীপুর: গাজীপুরে সদ্য বহিষ্কৃত সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। সব হারিয়েও জাহাঙ্গীর আলম এখন পর্যন্ত দলের কিছু অংশের কর্মীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান করছেন এবং এটি জাহিদ আহসান রাসেল এবং আজমত উল্লার জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন যদি মেটানো না যায়, তাহলে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে পরিচিত গাজীপুরেও আওয়ামী লীগের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে।

৩. ফরিদপুর: ফরিদপুর আওয়ামী লীগের আরেকটি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ফরিদপুরেও আওয়ামী লীগের বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন একসময় ফরিদপুর আওয়ামী লীগে প্রভাবশালী ছিলেন কিন্তু এখন তার প্রভাব আগের চেয়ে অনেক খর্ব হয়েছে। নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর বিরোধ সেখানে নতুন মাত্রায় রূপ নিয়েছে। এখন তাদের প্রকাশ্য বিরোধ নেই কিন্তু বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে দুইটি শিবির পরস্পর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।

৪. সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ এখন মোটামুটি নেতৃত্বহীন এবং এখানে বহুমুখী দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র তানভীর শাকিল জয়ের সঙ্গে হাবিবে মিল্লাতের বিরোধ, আবার একজন সচিবের এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা আওয়ামী লীগের জন্য এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে।

৫. কুমিল্লা: কুমিল্লাতেও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রবল আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।

৬. নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নতুন করে বলার কিছু নেই। এখানে আইভী বনাম শামীম ওসমানের বিরোধের এখন চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার অপেক্ষায়। শেষ পর্যন্ত এই বিরোধের যদি মীমাংসা হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

৭. নরসিংদী: নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের বিরোধ থেমে থেমে চলছে এবং এই বিরোধের কারণে নরসিংদী আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে দ্বিধাবিভক্ত।

৮. কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে একটি আসনের এমপি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে অন্যদের দ্বন্দ্ব প্রায় প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে এই দ্বন্দ্বের নানারকম প্রকাশ হচ্ছে। কখনো কখনো এসব দ্বন্দ্বের প্রকাশ হচ্ছে সশস্ত্র কায়দায়।

৯. ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সে দ্বিধাবিভক্তির ফলাফলও পাওয়া গেছে।

১০. চাঁদপুর: চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন এমপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরেক নেতাও সেখানে বিভক্তি সৃষ্টি করছেন। এ নিয়ে চাঁদপুরের রাজনীতিও এখন টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে।

১১. মাদারীপুর: মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেখানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের বিরোধ নিয়ে শেখ হাসিনা পর্যন্ত গড়িয়েছে কিন্তু তারপরও এই বিরোধের মীমাংসা হয়নি।

এই জেলাগুলোতে অবিলম্বে বিরোধ নিষ্পন্ন করার তাগিদ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। তারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই যদি এই নেতৃত্বের বিভক্তি এবং অন্তঃকলহ দূর না করা যায় তাহলে তার প্রভাব আগামী নির্বাচনের পড়বে।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন