ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ: এক জেলা এক নেতার ১০ জেলা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail আওয়ামী লীগ: এক জেলা এক নেতার ১০ জেলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছিলেন, সাংগঠনিক ভিত মজবুত করেছিলেন। আর জাতির পিতার কারণে এখনো আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি জনপ্রিয় সংগঠন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে সংগঠনকে গড়ে তুলেছিলেন সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন এই সংগঠনটিকে আপামর জনসাধারণের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, তেমনি তৃণমূলকে ক্ষমতায়ন করেছিলেন সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে জাতির পিতা সংগঠন গুছিয়েছিলেন। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের এখনো সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তৃণমূল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিকে যেমন তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে বিস্তৃত করেছিলেন, অন্যদিকে প্রতিটি জেলায় একজন করে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা তৈরি করেছিলেন। যে নেতাদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর তার নির্দেশনাগুলো সারাদেশে মুহূর্তে বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। যেমন- রাজশাহীতে এম কামরুজ্জামান, গাজীপুরে তাজউদ্দীন আহমেদ, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম, বৃহত্তর পাবনার ক্যাপ্টেন মনসুর আহমেদ, রংপুরে মতিউর রহমান। এরকম প্রতিটি জেলায় একজন স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, যারা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সিপাহসালা ছিলো এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অকুতোভয় সৈনিকের মত কাজ করতো।

কিন্তু পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম টানাপোড়েন তৈরি হয়। একদিকে যেমন পঁচাত্তরের পর একটি বড় অংশ রাজনীতিবিদদের বিচ্যুতি ধরা পড়ে, তাদের বিশ্বাসঘাতকতা, আপসকামিতা কারণে অনেক জেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়, আবার পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা তৈরি হয়। এখন আওয়ামী লীগের এক জেলায় এক নেতার সংখ্যা কমে গেছে বরং প্রতিটি জেলায় একাধিক নেতা থাকার কারণে অন্তঃকলহ, কোন্দল ইত্যাদি বেড়েছে। যেমন- ফরিদপুরেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছেন তিনজন। ফলে এক নেতা এক জেলার মাধ্যমে সংগঠনকে একত্রিত করা, বিস্তৃত করা এবং কেন্দ্রের সাথে চেইন তৈরি করার যে পদ্ধতিটি জাতির পিতা চালু করেছিলেন তা অনেক ক্ষেত্রেই এখন আর নেই। কিন্তু তারপরও দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বেও বিভিন্ন স্থানে এক নেতার এক জেলা আছে এবং বিকশিত হচ্ছে। এটি ইতিবাচক না নেতিবাচক সেটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে তবে আওয়ামী লীগে এখনও ১০টি জেলা আছে যে জেলাগুলোতে একক নেতা আছে এবং জেলাগুলো কোন্দল মুক্ত। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে-

১. গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের একক এবং অবিসংবাদিত নেতা হলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অবশ্য শুধু গোপালগঞ্জ না, সারা বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা। সেজন্য তার অবস্থান অনেক উপরে।

২. রাজশাহী: রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম কামরুজ্জামানের পুত্র খায়রুজ্জামান লিটন একক নেতা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।

৩. বরিশাল: বরিশালে একক নেতা হিসেবে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এখন স্বীকৃতি পেয়েছেন।

৪. জামালপুর: জামালপুরের একক নেতা হিসেবে মির্জা আজমের উত্থান ঘটেছে। জামালপুরে অনেক নেতা ছিলো কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে মির্জা আজমের এখন জামালপুরে আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

৫. কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়াতে আওয়ামী লীগের এক নেতা হিসেবে বিকশিত হয়েছেন মাহবুবউল আলম হানিফ। যদিও সেখানে জাসদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটা দ্বন্দ্ব আছে। হাসানুল হক ইনু এবং মাহবুবউল আলম হানিফের  মধ্যে কিছু বিরোধ রয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগের একক নেতা হিসেবে মাহবুবউল আলম হানিফ এখন স্বীকৃত।

৬. টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের এক নেতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও বটে।

৭. খুলনা: খুলনায় আওয়ামী লীগের একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। তার সততা এবং নিষ্ঠার কারণে সেখানে এক সময় দীর্ঘ বিরতি, অন্তঃকলহ কাটিয়ে আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।

৮. ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা হিসেবে আছেন আমির হোসেন আমু। অন্যান্য যারা এমপি বা বিভিন্ন পদে আছেন তারাও আমির হোসেন আমুর নেতৃত্ব মেনেই ঝালকাঠিতে রাজনীতি করছেন।

৯. শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের এক সময় একক নেতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর এখানে নেতৃত্বের বহুধা বিভক্তি দেখা যায়। কিন্তু ক্রমশ এনামুল হক শামীম সেখানে একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

১০. শেরপুর: শেরপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম বিভক্তি ছিলো। কিন্তু এখন শেরপুরের একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।

একক নেতা থাকার ফলে দলের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দল যেমন কমে, আবার এর নেতিবাচক দিক হলো জেলাগুলোতে কর্তৃত্ববাদী অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়। দুটির ভালো-মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করলে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একক নেতার গুরুত্ব কিছুটা হলেও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একইসঙ্গে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে- ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

শনিবার (১১ মে) নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ সময় সালাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এবারের মা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার। তিনি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।’

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


বিএনপি   চেয়ারপারসন   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান মির্জা ফখরুল। প্রথমে তারা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন