ইনসাইড পলিটিক্স

ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি হতাশার চোরাবালিতে নিমজ্জিত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি হতাশার চোরাবালিতে নিমজ্জিত: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ চরম হতাশার চোরাবালিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে এক সময়ের মঙ্গা-খরা দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষ কবলিত বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আমলে যেখানে উত্তরবঙ্গের মঙ্গাপীড়িত অসংখ্য মানুষকে না খেয়ে মরতে হয়েছে- সামান্য বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে অভুক্ত থেকে ধুকে ধুকে মরতে হয়েছে; সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপে দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। কৃষিবান্ধব নীতি এবং কৃষিখাতে গবেষণায় সরকারি সহযােগিতার কারণে খাদ্যশস্যসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল মাত্র ৩২৮.৯৬ লক্ষ মেট্রিক টন, সেখানে ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ার পরও বর্তমানে খাদ্যশস্য উৎপাদন ৪৫৫.০৫ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে রয়েছে। আমাদের কৃষি এখন ‘জীবন নির্বাহী’ হতে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। রপ্তানিমুখী কৃষি অর্থনীতি গড়ে উঠছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেবল কৃষিখাতেই উন্নতি সাধিত হয়নি; গত ১৩ বছরে কৃষির খাতের মতাে আর্থ-সামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করােনার সময়েও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল সন্তোষজনক। মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলের চরম খাদ্য ঘাটতি ও পুষ্টি নিরাপত্তাহীনতার দুঃসহ স্মৃতি দেশবাসী ভুলে যায়নি। এমনকি সেসময় সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় জনগণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপি ফ্যাসিবাদী নীতি গ্রহণ করেছিল। বিরােধী দলসহ জনগণের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রােলার চালিয়েছিল। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপি জনগণের দাবির প্রতি তােয়াক্কা না করে লুটপাটতন্ত্রের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশে এখন কোনাে খাদ্যাভাব দেখা যায় না।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতারা যে রাজনৈতিক কূটচাল চেলেছিল এবং বিষয়টি নিয়ে জনগণকে জিম্মি করার যে অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল, তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। একই সাথে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টে বিদেশে লবিস্ট নিয়ােগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষতি সাধনের যে অপকৌশল তারা গ্রহণ করেছিল, তাদের সে ষড়যন্ত্রও ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ কোনাে গােষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কখনও ক্ষুন্ন হতে দেয়নি; দেবেও না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ আজ চরম হতাশার চোরাবালিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। সেই হতাশার ভূত দেশের জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দেশবিরােধী ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন