ইনসাইড পলিটিক্স

যে কারণে আগামী নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail যে কারণে আগামী নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় আওয়ামী লীগ

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত প্রায়। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ শুরু হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা রকম উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় বিএনপি নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, তারা অনুসন্ধান কমিটির কাছে নামের প্রস্তাবও দেয়নি। আর এ কারণেই আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে, নানা রকম বিচার-বিশ্লেষণে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। এই উত্তাপের মধ্যেই আবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনই মন্তব্য করছে। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন যে, আগামী নির্বাচন তারা অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠ নিরপেক্ষ দেখতে চায় এবং নির্বাচন যদি সুষ্ঠ না হয় তাহলে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ যেন হয়, সে ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আগামী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তারা এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারেও তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এরকম বাস্তবতায় আগামী নির্বাচন কি রকম হবে? বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না আসে তাহলে কি ২০১৪ সালের মত নির্বাচন করা হবে? এসব নানা প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এ পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিবে, সেটি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এসব ব্যাপার নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। মূলত একাধিক কারণে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। বরং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা বলছেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, সকল রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনে। আওয়ামী লীগের এরকম দৃঢ় আশাবাদী হওয়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন। এই কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. বেগম খালেদা জিয়া: আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে হয়ত তুরুপের তাস হবেন বেগম খালেদা জিয়া। কারণ, বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে সরকার এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে। বিএনপি এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যাতে মনে হয়েছিল যে, বেগম খালেদা জিয়া হয়তো আর বাঁচবেন না। কিন্তু এই আবেগকে ছাই চাপা দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার অবস্থানে অটল থেকে প্রমাণ করেছেন যে, খালেদা জিয়া আসলে মৃত্যু পথযাত্রী ছিলেন না। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার জামিনের আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে থাকতে পারে। এর ফলে সেই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপি আসতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

২. আন্তর্জাতিক অবস্থান: আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বিগ্ন হলেও আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝবে এবং তারা অনুভব করবে যে, আওয়ামী লীগের এবং শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।

৩. ভারত: বাংলাদেশের সবগুলো নির্বাচনে ভারত একটি বড় ফ্যাক্টর এবং আগামী নির্বাচনেও ভারত ফ্যাক্টর হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ না থাকলে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটবে, এটা ভারতের চেয়ে কেউ বেশি বোঝে না। কাজেই, ভারত আগামী নির্বাচনে যেকোনো ভাবেই বিতর্কহীন, অংশগ্রহণমূলক করার ব্যাপারে যে চেষ্টা করবে সেটি কোন সংশয়-সন্দেহ নেই।

৪. প্রশাসন: আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ প্রশাসন ঢেলে সাজিয়েছে এবং প্রশাসনের ভিতর আওয়ামী লীগের পক্ষের লোকজনের অবস্থান দৃঢ়। আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপি যাই করুক না কেন, সেটি একটি নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

৫. বিএনপির অবস্থান: আওয়ামী লীগের স্বস্তির আরেকটি কারণ হলো, বিএনপির অবস্থান। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন থেকে সরে আসতে পারবে না। কারণ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে, এমনকি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দেখা গেছে যে, শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে স্বতন্ত্র হলেও নির্বাচন করতে হয়েছে। আর এ কারণেই বিএনপি এখন যাই বলুক না কেন, নির্বাচনের আগে হয়ত দলটি নির্বাচনমুখী হবে। আর যদি না হয়, সেক্ষেত্রে ভাঙনের মুখেও পড়তে পারে দলটি।

আর এসব কারণেই আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই স্বস্তিতে আছে এখন পর্যন্ত।

নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন