সরকার ভূয়া তথ্য ছড়িয়ে তথ্য সন্ত্রাসী করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার আসল খবর না দিয়ে সব সময় নকল জিনিসটা প্রচার করে। আজকে সরকার যা প্রকাশ করছে সব কিছুতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
শুক্রবার (১১মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখার দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তথ্য সন্ত্রাস। তথ্য সন্ত্রাস কী আসল ঘটনা যেটা সেটা বলা হয় না, নকলটা বলা হয়। আজকে এই সরকারের যত তথ্য সমস্ত ভূয়া। গতবছর জিডিপির কথা যা বলেছে সব ভূয়া। জিডিপির ৪২ভাগ ঋণ। অর্থাৎ আপনাকে আমাকে সবাইকে এই সরকার ঋণে জর্জরিত করে দিচ্ছে। আমাদের পকেট থেকে টাকা কেটে, সার চার্জ অমুক চার্জ তমুক চার্জ নিয়ে আমাদেরকে নিঃস্ব করে দেয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের করুণ অবস্থা এই সরকারের গায়ে লাগে না। তাদের মন্ত্রীরা বলেন, দামতো সারা বিশ্বেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে আমাদেরতো ক্রয় ক্ষমতাও বেড়ে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা কাকে বলে, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, নিউইয়র্ক টরেন্টো গিয়ে যারা কেটাকাটা করেন অথবা বাড়ি কিনেছে তাদের ক্রয় ক্ষমতার কথা বলছেন নাকি আমাদের কৃষক-শ্রমিক অসহায় জনতার কথা বলছেন, আমার কৃষক ভাইয়ের তো ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি। কৃষির জন্য যে সার লাগে, পানি লাগে, কিটনাশক লাগে, বিদ্যুৎ লাগে সেগুলোর তো দাম বাড়ছেই। ডিজেল, বিদ্যুতের দাম সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে। তাহলে কৃষক কীভাবে বাঁচবে।
এই সরকার যদি আবারও আসে, বেশি দিন থাকে তাহলে আমরা কি টিকতে পারবো প্রশ্ন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাহলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন দেশ দেখতে চেয়েছিলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের সেই লক্ষ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কৃষক দলের নেতারা জানেন কৃষক ও কৃষির জন্য শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া করতে কাজ করেছিলেন। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কৃষকদের ২৫বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করা। পাঁচ হাজার টাকার সুদসহ মওকুফ করে দেওয়া। সবই করেছিলেন খালেদা জিয়া।
জাতীয়তাদাবী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, কৃষক দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, কর্নেল এস. এম ফয়সাল (অব.), প্রকৌশলী মো. দৌলতুজ্জামান আনছারী, আ.ন.ম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), ওলিউল্লাহ সিদ্দিকী, যুগ্ম-সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মনিরুল ইসলাম রয়েল, ওবায়দুল হক নাসির ও জাহাঙ্গীর আলম।
ফখরুল ক্রয়ক্ষমতা মিথ্যা তথ্য সন্ত্রাস
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।