ইনসাইড পলিটিক্স

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে নাম থাকছেই হারিছ চৌধুরীর

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২২


Thumbnail ইন্টারপোলের রেড নোটিশে নাম থাকছেই হারিছ চৌধুরীর

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট যেনাে খুলছেই না। হারিছ চৌধুরী মাহমুদুর রহমান নাম নিয়ে মারা গেছেন এমন দাবি তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হলেও মাহমুদুর রহমানই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী কি না তা-ও  নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ফলে একধরনের ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। যেহেতু হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে, সেহেতু হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যু নিশ্চিত করা হলেও পলাতক দেখিয়ে হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বহালই রাখছে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর। 

এদিকে, সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে যে ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছে সেই লাশটি হারিছ চৌধুরীর নাকি তার ছোট ভাই সেলিম চৌধুরীর তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, হারিছ চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি আদালত কোনো আদেশ দেয় তবেই তারা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশ কবর থেকে তুলবেন। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দুটি লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিলেটের কানাইঘাটে দাফন হওয়া হারিছ চৌধুরীর ছোট ভাই সেলিম চৌধুরীর এবং সাভারের বিরুলিয়ায় মাহমুদুর রহমান নামে দাফন হওয়া লাশের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৯ জানুয়ারি হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিশ্চিত হতে সিআইডিকে একটি চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর। এরপর সেটি তদন্ত শুরু করে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ। ২৫ জানুয়ারি এ বিভাগ থেকে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ১৮ মার্চ পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠায় সিআইডি। এ চিঠির বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিআইডিকে চিঠি দেওয়া হয়। তা ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি তদন্ত করেছিল সিআইডি। ওই সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরীসহ ওই মামলার পলাতক কয়েক আসামির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল ইন্টারপোলে। কিন্তু তারা তদন্ত করে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা নেই। তাই আমরা ইন্টারপোলের রেড নোটিশটি বহাল রাখছি।’ 

তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নথিতে হারিছ চৌধুরী মৃত নন। মৃত হিসেবে নথিভুক্ত আছেন মাহমুদুর রহমান। আর এই মাহমুদুর রহমানের লাশটিই হারিছের বলে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা চৌধুরী। কারণ হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর কোনো নথি না দেখাতে পারলে তার নামে থাকা সম্পদ তার সন্তানদের নামে কোনো দিন খারিজ হবে না। ফলে তারা মাহমুদুর রহমানকে হারিছ চৌধুরী বানানো জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।  আবার মাহমুদুর রহমানই যে হারিছ চৌধুরী তা নিয়েও আরেক ধরনের রহস্য দেখা দিয়েছে। কারণ এক মাসের ব্যবধানে হারিছ চৌধুরীর ছোট ভাই সেলিম চৌধুরীরও মৃত্যু হয়। সেলিম চৌধুরীর বাসা রাজধানীর শান্তিনগরের কনকর্ড টাওয়ারে। ব্রেনস্ট্রোকে তার মৃত্যু হলে সিলেটের কানাইঘাটে তাকে দাফন করা হয় বলে স্বজনরা দাবি করছেন। এমনও হতে পারে সেলিমের লাশটিও মাহমুদুর রহমানের বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার সেলিমের নামে কবরে অন্য কারও লাশ থাকতে পারে। কারণ হারিছের সন্তানদের সঙ্গে সেলিমের লাশেরও ডিএনএ নমুনা মিলবে। যদি কখনো আদালত ডিএনএ নমুনার আদেশ দেয় তাহলে দুই কবরের লাশই তোলা হবে। কারণ হারিছ চৌধুরী (মাহমুদুর রহমান) যখন মারা যান তার মৃত্যু ও দাফনের বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লুকোচুরির কারণে এসব সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। 

বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন এটি সত্য। তবে তার মৃত্যু সংবাদ গোপন কেন করা হয়েছিল তা তার মেয়ে ভালো জানে। কারণ সে সব করেছে। আর সেলিম চৌধুরীর মৃত্যুর সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম। তার দাফন হয়েছে কানাইঘাটের দর্পণনগরে।’ এদিকে মরহুম সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী সুমি চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী গত বছরের ৫ অক্টোবর ব্রেনস্ট্রোকে মারা যান। মৃত্যুর পরই তার লাশ গ্রামের বাড়ি সিলেটে নেওয়া হয়। তার স্বামীর মৃত্যুর সামগ্রিক বিষয় জানতে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান। 

সিআইডি সূত্র বলছেন, পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী হারিছ চৌধুরী (মাহমুদুর রহমান) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর। এর আগে ১১ বছর মাহমুদুর রহমান নামে ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন তিনি। এ বাসায় তার শ্যালিকা নিশার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। লাশ সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থানে ৪ সেপ্টেম্বর দাফন করা হয়। দাফনের সব আয়োজন করেছিলেন হারিছ চৌধুরীর শ্যালক জাফর ইকবাল মাসুম। মিরপুর-১০-এর বেনারসি পল্লীর শওকত কাবাবের পাশের গলির ‘লস্কর বাড়ি’ নামে তিন তলা বাড়িটি তার। এদিকে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার থেকে মাহমুদুর রহমান নামে যে মৃত্যুসনদ নেওয়া হয়েছে, তার ঠিকানা লেখা হয় রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের একটি বাসার ২বি ফ্ল্যাট। সেখানে ২বি নম্বরের কোনো ফ্ল্যাট নেই। তবে এবি-২ নম্বরের একটি ফ্ল্যাট আছে। সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম মাহমুদুর রহমান এবং তিনি জীবিত আছেন। মাহমুদুর রহমান নামে যে পাসপোর্ট নেওয়া হয়েছে সেখানে জন্ম তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। বাবা মৃত আবদুল আজিজ। মা মৃত রোকেয়া বেগম। এ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আর এসব কাগজপত্র তৈরিতে সহায়তা করেন শ্যালক মাসুম। এই মাসুম হারিছ চৌধুরীর নামে থাকা একটি দুর্নীতি মামলার আসামি ছিলেন। আর হারিছ চৌধুরীর নামে থাকা নথিতে তার জন্ম তারিখ ১৯৫২ সালের ১ নভেম্বর। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে আত্মগোপনে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরী। এরপর তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়। ১৪ বছর ধরে এ নোটিশ ঝুললেও তার অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না বা তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গতকাল ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন অপরাধে পলাতক বাংলাদেশের রেড নোটিশধারী ৬৩ জনের তালিকায় ছবিসহ হারিছ চৌধুরীর নাম ১৬ নম্বরে রয়েছে।

হারিছ চৌধুরী   ইন্টারপোল   মাহমুদুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়া এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন।


যুক্তরাজ্য   পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নোয়াখালীতে হেরে গেলেন কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ  এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং টানটান উত্তেজনা ছিল। নোয়াখালী রাজনীতিতে একরামুল করিম চৌধুরীকে মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরের প্রতিপক্ষ। একরামুল করিম চৌধুরী একবার ওবায়দুল কাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং একরামুল প্রার্থী হওয়ার কারণেই ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- এই অবস্থানটি নেওয়ার পিছনে নোয়াখালীর রাজনীতি কাজ করেছে। এই নির্বাচনে যেন শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ সেলিম বিজয়ী হন সেজন্য বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চেয়েছিলেন নোয়াখালী জেলার সভাপতি যেন বিজয়ী হন। আর এই কারণেই শাবাব চৌধুরীকে নির্বাচন থেকে বসানোর জন্য চেষ্টা তদবির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরামুল করিম চৌধুরীর একগুঁয়েমির কারণে শাবাব চৌধুরী নির্বাচন থেকে বসেননি। বরং একরামুল করিম চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান বড় হলে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

একরামুল করিম চৌধুরী মুখে যাই বলুক না কেন, এই নির্বাচনে জেতানোর জন্য তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করেছেন। একরামুল করিম চৌধুরী যেমন নোয়াখালী- আসনের এমপি, তেমনই তাঁর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বামী-স্ত্রী মিলে সন্তানকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করার এক মরণপণ লড়াই করেছিলেন এবং এই লড়াইয়ে অবশেষে গতকাল ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পরাজিত করেছেন শাবাব। এটির ফলে নোয়াখালীতে একরামুল করিম চৌধুরীর কর্তৃত্ব আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যেহেতু কবিরহাট এবং সুবর্ণচর দুটি উপজেলার চেয়ারম্যানের পদ তাঁর দখলে এবং তিনি নিজে এমপি। নোয়াখালীর রাজনীতিতে তাঁর আগে থেকেই প্রভাব রয়েছে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আসলে ওবায়দুল কাদেরকে হারিয়ে দিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।

তবে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থকরা বলছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কে হলো না হলো তাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কিছু যায় আসে না। তিনি এই নির্বাচনে কারও পক্ষেও ছিলেন না আবার কারও বিপক্ষেও ছিলেন না। বরং তিনি চেয়েছিলেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যেন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলের এই বিজয় নোয়াখালীর রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা বলেই নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নোয়াখালী   ওবায়দুল কাদের   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিএমপিতে বিএনপি তিন নেতা

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ঘোষিত সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আলোচনার জন্য ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছে দলটির প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিএমপি।

আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তাই সেদিন সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। ডিএমপি এ বিষয়ে ইতিবাচক এবং সমাবেশে তারা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঈদের পর গত এপ্রিলে এই সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

ডিএমপি   বিএনপি   বিক্ষোভ মিছিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির যেসব বহিষ্কৃত নেতা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।

দেখা গেছে, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে পরাজিত করেছেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফারুক ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। গোমস্তাপুরে আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাটে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজাকে পরাজিত করেছেন। আর আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে ভোটে হারিয়েছেন।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য।

গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। তিনি পান ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট। মিলন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে পরাজিত করেছেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান। সুহেল আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান   উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির ১০ স্বজনের জয়

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলে যে দ্বৈরথ তৈরি হয়, তা উপজেলা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে—এমন আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত রাখতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেয় দলটি। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অটল থাকেন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা।

বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে ১০ জন জিতেছেন আর হেরেছেন চারজন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত-

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন।

বগুড়া-১ আসনের এমপি শাহদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবং ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারীও জয়ী হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নির্বাচনে লড়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী এবং মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাহজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনিও জয়ী হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আতাউর রহমান আতা। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও এক চাচাতো ভাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ছোট চাচা শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের এমপি শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন ও ভাতিজা আব্দুল কাদের দুজন একই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে গেছেন।

টাঙ্গাইল-১ আসনের এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই ধনবাড়ী উপজেলায় হারুনার রশিদ হিরা নির্বাচনে হেরে গেছেন।

নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক শরীফুল হক পলাশ উপজেলায় হেরেছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিনের ভাগনে সোয়েব আহমেদ বড়লেখা উপজেলায় পরাজিত হয়েছেন।

এর আগে, হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী অমি ও মুন্সীগঞ্জ-৩-এর এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের চাচা আনিছ উজ্জামান আনিস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   স্বজন প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন