ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয় সরকারের প্রধান নিয়ে বিভক্ত বিরোধী দল

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail জাতীয় সরকারের প্রধান নিয়ে বিভক্ত বিরোধী দল

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সরকারের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, নির্বাচনের আগে তারা একটি জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা করতে চায়। তবে জাতীয় সরকারের প্রধান কে হবে, এ নিয়ে বিরোধী দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এজন্য জাতীয় সরকারের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা এর রূপকল্প কি হবে সে সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আ স ম আব্দুর রব, মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ অন্তত ১০ জন বিরোধী দলের নেতা নির্বাচনে জাতীয় সরকারের কথা বলছেন। বিএনপি’র অনেকেও মনে করছেন যে, জাতীয় সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি বিকল্প। তবে জাতীয় সরকারের কোনো বাস্তব রূপরেখা এখন পর্যন্ত কেউই ঘোষণা করতে পারেনি, তারা সকলে জাতীয় সরকারের কথা বলেছে।

জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিরোধী দলের সবচেয়ে প্রধান সমস্যা হচ্ছে জাতীয় সরকার প্রধান কে হবেন সেটি নির্ধারণ করা। জাতীয় সরকার যদি গঠিত হয় তাহলে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সরকারের প্রধান হবেন, এটিই বাস্তবতা। কিন্তু কিছু কিছু বিরোধী দলের নেতারা মনে করছেন যে, আমাদের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে এত ক্ষমতা দিয়েছে যে মন্ত্রিপরিষদ সভায় যদি অন্য সকল দলের সদস্যও থাকে, প্রধানমন্ত্রী যদি শেখ হাসিনা থাকেন তাহলে জাতীয় সরকার অর্থহীন পড়বে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সব ক্ষমতা। কিন্তু শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার গঠনও অবাস্তব একটি চিন্তা বলে তারা নিজেরাও ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করছেন। কারণ, শেখ হাসিনাই হলেন বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, একমাত্র নেতা। তিনি জনপ্রিয়তার দিক থেকেও সকলের থেকে অনেক এগিয়ে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে জাতীয় সরকার গঠন করলে শেখ হাসিনাকে বাদ দেওয়াটা অকল্পনীয় এবং অসম্ভব একটি বিষয় বলেই কেউ কেউ মনে করছেন। তবে বিরোধী দলের ভয় শেখ হাসিনাকে নিয়ে। কারণ, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা, বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতা এত বেশি যে তিনি যদি একাই সরকারের প্রধান হিসেবে থাকেন তাহলে ক্ষমতার লাটাই তার হাতেই থাকবে। এ প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন যে, জাতীয় সরকার যদি গঠন হয় তাহলে একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে জাতীয় সরকারের প্রধান করা যেতে পারে।

বর্তমান সংবিধান কাঠামোর মধ্যে সেটি সম্ভব বলে কোন কোন বিরোধী দলের নেতা মনে করছেন। তারা বলছেন যে, দশজন মন্ত্রিসভার সদস্য থাকলে একজন থাকবেন টেকনোক্র্যাট বা অনির্বাচিত ব্যক্তি। সেই অনির্বাচিত ব্যক্তির যদি প্রধানমন্ত্রী থাকে তাহলে জাতীয় সরকারের একটি অবকাঠামো তৈরি হয়। এটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাঝামাঝি একটি অবস্থান। অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সরকারে থাকবেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি। কিন্তু কোন কোন সংবিধান বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, এটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ সংসদের কাছে আস্থাভাজন ব্যক্তি এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাই হবেন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী। কাজেই জাতীয় সরকারে একজন নির্দলীয় ব্যক্তিকে দেওয়ার কোন সুযোগ সংবিধান দেয়নি। তবে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম নিয়ে আলোচনাতেও বিরোধীদল ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে হবেন জাতীয় সরকারের প্রধান, এই নিয়েও বিরোধী দল অন্ধকারের মধ্যেই হাতড়াচ্ছে। কারণ, এখন সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়াই দায় হয়ে গেছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ব্যাপারে কারো কারো আগ্রহ থাকলেও সুপ্রিমকোর্ট তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল সংক্রান্ত রায়ে সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, এ ধরনের বিতর্কে সুপ্রিমকোর্টকে না জড়ানোর জন্য। তাই জাতীয় সরকার নিয়ে যারা কথা বলছেন তারাই এখন এটি নিয়ে এখন এক ধরনের বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। জাতীয় সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে তাদেরই সুস্পষ্ট কোনো ধারণা নাই। আর এ কারণেই জাতীয় সরকারের আওয়াজ রাজনীতির মাঠে তুললেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকার বাস্তবায়ন করাটা কতটুকু সম্ভব হবে, সেটি নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে। আর বিরোধী দলের নেতারাও মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি জাতীয় সরকার প্রধান হন, তাহলে সেই জাতীয় সরকার তাদের লক্ষ্য পূরণের নিমিত্তে কাজ করতে পারবে না। আর এইরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের প্রস্তাব সবগুলো বিরোধীদল ঐক্যবদ্ধ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দিবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।

বিএনপি   জাতীয় সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন