বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশে রাষ্ট্র ক্ষমতার রদ বদল হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। আর এই নির্বাচন আয়োজন করার জন্য প্রতিটি দেশেই নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন কমিশন সে দেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করে থাকেন। এভাবেই বিশ্বের প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালা বদল হয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এই প্রক্রিয়ার বাইরে নয়। বাংলাদেশেরও একটি সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশন আছে। যেটি দেশের বিদ্যমান আইন অনুসারে রাষ্ট্রপতি কতৃক গঠন করা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনিদিষ্ট কতগুলো নিয়মে মধ্যে চলে এবং এটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলে সরকারের নির্বাহী বিভাগের থেকে আলাদা। যেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকে না। নির্বাচন আয়োজন করা নির্বাচন কমশিনের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। আর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্ব হলো নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত সকল নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে কমিশনকে সহযোগিতা করা। এটি প্রত্যেকটি দলের রাজনৈতিক কর্তব্য।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী এলাকায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখেন। এ দেশের মানুষ আপনাদের বিতাড়িত করে ছাড়বে। বিএনপি মহাসচিবের এধরনের বক্তব্য এক ধরনের পাগলের প্রলাপের নামান্তর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপি’র এটা জানা দরকার যে, নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি প্রায় ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে বিএনপি এখন রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য যাওয়ার উন্মাত্ত হয়ে উঠেছে। আর একারণে বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকার বিদ্বেষী কিছু না কিছু বক্তব্য দিয়েই চলছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি যেভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে তাতে নির্বাচন অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলটির আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপিও মনে করছে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া তাদের জন্য এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাও বলছেন যে, বিএনপিকে নির্বাচন করতে হলে বা নির্বাচনে অংশ নিতে হলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী করতে হবে। তাদের কথিত অলীক নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ বিষয়টি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচন করবে না দলটির এধরনের মন্তব্য অবান্তর এবং অযৌক্তিক। এমনকি এটা একটা মিথ্যাচার বটে। কারণ সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে না, করবে নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন। এখন বিএনপি’র উচিত হবে নির্বাচন কমিশনকে যথার্থ সহযোগিতা করা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা বিএনপি’র রাজনৈতিক কর্তব্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি আওয়ামী লীগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুশীল সমাজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এনবিআর কাস্টমস জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।
এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
তৃতীয়
ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন
প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া
এই ধাপে ৬ জন
প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত
হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন
কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে
২৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে
২১ জন প্রার্থী বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার
(১২ মে) এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক
মো. শরিফুল আলম।
তিনি
জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন,
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন
ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
১৪ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয় প্রার্থী। এদের
মধ্যে ভাণ্ডারিয়ার সব পদ, গোসাইরহাটে
ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী এবং
দাগনভুঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার
তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই ধাপে চেয়ারম্যান
পদে ৫৭০ জন, ভাইস
চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ ও
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
৪০০ জন; মোট ১৫৮৮
জন প্রার্থীনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
তফসিল
অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো
উপজেলায় ৮ মে ভোট
হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায়
২১ মে, তৃতীয় ধাপে
১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও
চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায়
৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার
কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।