ইনসাইড পলিটিক্স

কমেডিয়ান চরিত্রে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail কমেডিয়ান চরিত্রে বিএনপি

স্ট্যান্ড আপ কমেডি এক ধরনের প্রহসন। এক্ষেত্রে একজন কমেডিয়ান উপস্থিত জনতার সামনে কোন বিষয়কে হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিমায় সরাসরি উপস্থাপন করেন। স্ট্যান্ড আপ কমেডি উন্মুক্ত মঞ্চ, থিয়েটার, জনসমাগম, ভোজসভা, ক্লাবঘরের ছোট পরিসরে এমনকি কোন খোলা জায়গায় প্রদর্শিত হতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ আন্তরিকতা এবং দক্ষতার সঙ্গে কমেডি করে যাচ্ছেন বিএনপি। দলটি এখন এক কমেডিয়ানের চরিত্রে অবতীর্ণ। প্রতিদিন নিত্য নতুন কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন জনতার মঞ্চে।

গতকাল এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দেশে কেউ মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না। কেউ যদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তার মা, বোন বা পরিবারের সদস্যদের কারাগারে যেতে হবে। অথচ রিজভী সাহেব প্রতিদিন সরকারের সমালোচনা করছেন, দলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। তিনি তার পরিবারের সাথেও আছেন। সরকার বা দেশের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের কোন কাজে বাঁধা দিচ্ছেন না। রিজভীর এই অভিযোগ নিয়ে বিএনপিকে একটি কমেডিয়ান দল হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির এধরনের বক্তব্য নতুন কিছু নয়। দলটি প্রত্যেক দিনই এসব ঘটনাকে নতুন রুপ দেওয়া চেষ্টা করছে। এদিকে, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যে আবশ্যক সেব্যাপাবে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সহজ প্রক্রিয়ায় কোন কিছু লাভ করা যায় না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করার মাধ্যমেই বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ আছে। অথচ দলটি নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন পরবর্তীতে জাতীয় সরকার কিভাবে গঠন করা হবে, কারা কারা জাতীয় সরকারে প্রধান্য পাবে- এধরনের অপ্রাসঙ্গিক ব্যাপারের পিছনে পড়ে আছে দলটি। যে বিষয়গুলোর আইনের কোন ভিত্তি নেই সে সমস্ত বিষয়াদি নিয়ে দলটি আন্দোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের কোন চেষ্টাই সফলতা পায়নি। দেশে নির্বাচন নিয়ে সুনিদিষ্ট আইন থাকলেও দলটি বার বার বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করে রসিকতার জন্ম দিচ্ছে।

এদিকে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ায় আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না কোন দলেরই। অথচ দলটি ঈদ পরবর্তীতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ার রুপরেখা তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কথায় কথায় বিএনপি সরকারকে দোষারোপ করছেন অথচ দেশে আরও অনেক বিরোধী দল রয়েছে যারা এসমস্ত ব্যাপারে কোন কথা বলছেন না। এমতাব্যস্থায় বিএনপির এ ধরনের অভিযোগকে নাটকীয় চরিত্রেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, দলটির এ  ধরনের মনোভাব তাদের কমেডিয়ান চরিত্রের বহি:প্রকাশ।


কমেডিয়ান   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হস্তক্ষেপ চাইলেন ফখরুল: খালেদা নিরুপায়

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির গঠনতন্ত্রের একটি কপি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে রাত টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে উদ্বিগ্ন, বিমর্ষ এবং ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। আগে থেকেই বেগম জিয়ার সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল তার। বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অত্যন্ত জরুরি তাকে আসতেই হবে। বেগম জিয়াও সম্মতি জানান। রাত টার দিকে তাকে আসতে বলেন।

রাতের খাবার শেষে বেগম খালেদা জিয়া শুয়ে ছিলেন। শোবার আগে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলো চলছিল। একজন নার্স বেগম জিয়ার প্রেশার মাপ ছিলেন। তার জ্বর, ব্লাড সুগার সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। এরপর হুইল চেয়ারে করে বসার ঘরে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে দেখে দাঁড়িয়ে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার পর তাদের মধ্যে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দলের সর্বশেষ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কিন্তু এই আলোচনায় কোন ফলাফল হয়নি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য যে, গত দুদিনে তারেক জিয়ার তাণ্ডব চলছে বিএনপিতে। বিএনপিতে তিনি ইচ্ছামতো কমিটিগুলো বাতিল করছেন, নতুন করে কমিটি করছেন, অনেকে পদোন্নতি দিচ্ছেন। আবার কাউকে বাদ দিচ্ছেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার হল যে, এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে তিনি দলের মহাসচিবকে রাখছেন অন্ধকারে। মহাসচিবের কোন ক্ষমতা নেই। মহাসচিব সংবাদপত্রের পাতায় দেখছেন যে, কাকে পদোন্নতি দেওয়া হল, কাকে বাদ দেওয়া হল কিংবা কোন কমিটি বাতিল হল। লন্ডন থেকে রুহুল কবির রিজভীর ব্যক্তিগত -মেইল পাঠানো হচ্ছে এসব কমিটির সংবাদ। তারপর রিজভীর কাছে ফোন আসছে। ভাইয়া, এই কমিটি এখনই ঘোষণা করতে বলেছেন।

রুহুল কবির রিজভীর নির্ঘুম রাত কাটছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় প্যাডে এই নির্দেশনামা টাইপ করছেন এবং সংবাদপত্র দিচ্ছেন। রুহুল কবির রিজভীর কাছে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোন অবস্থাতেই যেন এটি গণমাধ্যমে যাওয়ার আগে ফাঁস না হয়ে যায়। কারণ ফাঁস হলে অন্যরা ব্যবস্থা নেবে। অন্যরা দেনদরবার তদবির করবে, এটি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ হতে পারে বা লন্ডনে ফোন যেতে পারে। আর এই কারণেই একেবারে গোপনে হচ্ছে এই সমস্ত রদবদলের কাজ। সামনের দিনগুলোতে আরও রদবদল হবে।

রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। কিন্তু দলের মহাসচিবকেও তিনি কোন কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। রিজভী ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটি ভাইয়ার নির্দেশ, যেন কেউ ঘুণাক্ষরেও কোন কিছু না জানতে পারে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটাই যে গঠনতন্ত্রবিরোধী এটি বলার জন্যই বেগম জিয়ার কাছে গতকাল গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন যে, এভাবে একটি দল চলতে পারে না। একটি দলের কমিটি পরিবর্তন বা কমিটি বাতিল স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করতে হয়। আর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ধরনের কর্মকাণ্ড করতেই পারে না। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।তিনি বলেন যে, বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে খালেদা জিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খালেদা জিয়া ধীর স্থিরভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সব কথাই শোনেন। তারপর তিনি বলেন যে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান আমি, এটা সত্যি কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানের সব ক্ষমতা আমি লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দিয়েছি অর্থাৎ তারেক জিয়াকে দিয়েছি। তাই এখন আমার কিছু করার নেই। তবে তিনি মনে করেন, যেভাবে কমিটিগুলো হচ্ছে তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।

দুজনের এই আলাপ-আলোচনায় কোন ইতিবাচক ফলাফল হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিষয় নিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে আলাপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে তার অসুস্থতার কথা এবং অক্ষমতার কথা জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানান।


খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১০:৫৪ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

শনিবার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। আধা ঘণ্টা অবস্থান শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফিরোজা ভিলা ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি তাকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে শনিবার (১৫ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ৪৫ জন নেতাকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির বদলে ২৯ সদস্যের দুটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল দলে এই রদবদলের বিষয়টিও খালেদা জিয়াকে অবহিত করেন বলে ওই সূত্রের দাবি।

খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঈদের আগে তারেকের শত কোটি টাকার পদ বাণিজ্য

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে যে কমিটি নিয়ে নাটক চলছে, সেই নাটকের পেছনে রয়েছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অর্থলোভ। টাকার জন্যই তিনি কমিটিগুলো ভাঙছেন, নতুন কমিটি করছেন। বিএনপির বিভিন্ন পদ এখন রীতিমতো নিলামে উঠেছে। যদিও বলা হচ্ছে যে, আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্যই যারা নিষ্ক্রিয় তাদের বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, আন্দোলনের ব্যর্থতার কথাই যদি বলা হবে, তাহলে এতদিন পরে কেন কমিটিগুলো বাতিল করা হচ্ছে। সেটি তো ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরপরই করার কথা ছিল।

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপির বিভিন্ন কমিটি ভাঙা গড়ার খেলা চলছে মূলত অর্থ আহরণের জন্য। ঈদের আগে তারেক জিয়া পদ বাণিজ্য করে শত কোটি টাকা উপার্জন করার একটি মিশনে নেমেছেন। 

নানা কারণে তারেক জিয়া এখন অর্থ সংকটে ভুগছেন। গত নির্বাচনের আগেও যেমন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা লন্ডনে তারেক জিয়াকে অর্থ পাঠাতেন, এখন সেই অবস্থা নেই। নির্বাচনের পর এই সরকার স্থিতিশীল এবং সরকারের ওপর কোন চাপ নেই, এটা ব্যবসায়ীরা ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন। আর এ কারণেই তারেক জিয়াকে যারা এতদিন গোপনে টাকা দিয়েছিলেন তারা এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তারা মনে করছেন যে, তারেক জিয়ার জন্য বিনিয়োগ কোনভাবেই লাভজনক নয় বরং একটি ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার যদি শেষ পর্যন্ত জানতে পারে যে, তারেক জিয়াকে তারা টাকা দিচ্ছেন তাহলে তারাই বিপদে পড়তে পারে। এ কারণে নির্বাচনের পর থেকে গত পাঁচ মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারেক জিয়ার চাঁদাবাজি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।

তারেক জিয়াকে যারা বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা দিত বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ী এবং নেতারা তারাও নির্বাচনের পর নানা রকম চাপে আছে। তাদের পক্ষে এখন তারেক জিয়াকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তারেক জিয়া এখন বিএনপিকেই জিম্মি করে তার নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিনি এই কমিটি নাটক সাজিয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপিতে যে কয়েকজনকে ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টামণ্ডলীতে আনা হয়েছে তারা সকলেই তারেক জিয়াকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত পদ বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকায় তারেকের অন্তত পাঁচজন এজেন্ট এই অর্থ সংগ্রহ করছেন এবং এই সমস্ত এজেন্টের মাধ্যমে লন্ডনে টাকা পাচার করা হচ্ছে। লন্ডনে এই টাকা পৌঁছানোর পরপরই তারেক জিয়া কমিটিতে কাউকে নিচ্ছেন আবার কাউকে বাদ দিচ্ছেন। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বিএনপিতে পদ এবং কমিটির বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। যে যত বেশি টাকা দিচ্ছে তিনি তত ভালো পদে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই বিএনপির নেতাদের মধ্যে ঈদের আগে টাকা সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। 

বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা বলছেন, এমন নেক্কারজনক ভাবে বাণিজ্য লেনদেন এবং অর্থ সংগ্রহের ঘটনা আগে কখনও ঘটে। একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে সেই দলের প্রধান দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না। বিএনপিতে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, সকলে আলোচনা করছে কে কত টাকা দিয়ে কোন পদ পেলো। আর পদ পাওয়ার জন্য টাকা কাকে দিতে হবে সে সম্পর্কে তথ্যাদি বিএনপি নেতাদের এখন মুখে মুখে। এই কমিটি বাণিজ্য এবং পদ বাণিজ্য করে দলের অস্তিত্ব শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না সে নিয়েও কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন।

ঈদ   তারেক জিয়া   পদ বাণিজ্য   লন্ডন   ছাত্রদল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকার দাসসুলভ আচরণ করছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকটে সরকারের আচরণ দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সরকারের ব্যর্থতা। আমাদের দ্বীপে আমরা যেতে পারছি না। সেই দ্বীপে অন্য দেশ থেকে গুলি করা হচ্ছে, গুলি করে মেরেও ফেলা হয়েছে। অথচ সরকার এই ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পর্যন্ত দেয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন- এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, যা নিয়ে আমরা বক্তব্য দেব।’

তিনি বলেন, এই সরকার এতো নতজানু যে, মিয়ানমারের মতো একটা দেশকেও কিছু বলা যাবে না। এটা কতটা দাসসুলভ মনোভাব হতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন কারা সম্পদ লুট করছে, সবাই জানে। কিন্তু সাংবাদিকরা লিখতে পারেন না। আমরা একটু কথা বলার চেষ্টা করি। সাবেক পুলিশপ্রধান ডাকাতের মতো সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আজিজের ভাইদের পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম আসছে গণমাধ্যমে, এসব অপরাধের জন্য সাবেক সেনাপ্রধানের বিচার হওয়া উচিত।

‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থি সাংবাদিক সংগঠন বিএফইউজে এবং ডিইউজে। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

সেন্টমার্টিন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক কাণ্ডে লণ্ডভণ্ড বিএনপি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের আগের তারেক জিয়া বিএনপিকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন। একদিকে যেমন ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে তেমনি বাতিল করা হয়েছে ছাত্রদলের কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন মুখ ঢোকানো হয়েছে। আবার নতুন করে ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো বিএনপিতে চলছে এখন ভূমিকম্প। আর এই ভূমিকম্প নিজেই সৃষ্টি করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

হঠাৎ করেই বিএনপিতে এই ধরনের রদবদল এবং বিভিন্ন কমিটিতে লোকজনকে ঢোকানো এবং বাদ দেওয়ার বিষয় সম্পর্কে কোনো কিছুই জানেন না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এমনকি দলের মহাসচিবকেও অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে লন্ডন থেকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে এবং বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ধরনের নির্দেশনাগুলোকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করছেন। 


গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত বিএনপিকে রীতিমতো তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, কমিটিতে রদবদলের ন্যূনতম নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। বরং এ সব কিছু করা হচ্ছে চরম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে। এটি গঠনতন্ত্রের চরম লঙ্ঘন বলেও তারা মনে করছেন। 


উল্লেখ্য, বিএনপির ভেতর থেকে বলা হচ্ছে যে, কমিটি বিলুপ্ত করা হতে পারে, নতুন নেতৃত্ব আনা হতেই পারে, তবে সেটি হওয়া উচিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক। তবে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সমর্থকরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি বড় ধরনের কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আর এই আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যর্থতার কারণেই রদবদল হচ্ছে। যারা এই সময় নিষ্ক্রিয় ছিলেন, দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেননি, তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও ছাত্রদলের কমিটি আজ নতুন করে গঠন করা হলেও যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়নি। 


বিএনপির একাধিক সূত্রগুলো বলছে যে, তৃণমূলের সাথে কথা বলে তারেক জিয়া এই কমিটি গুলো ভাঙছেন এবং নতুন কমিটি গঠন করছেন। এই ঘটনার ফলে স্থায়ী কমিটিও পুনর্গঠনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের মধ্যেই বা ঈদের পরপরই স্থায়ী কমিটিতে নতুন মুখ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যে সমস্ত জেলাগুলো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি, সেই সমস্ত জেলাগুলোর কমিটিও বাতিল করে দেওয়া হবে বলে বিএনপির নেতারা ধারণা করছেন। 

তবে এটি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে চরম অসন্তোষ এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তারা ঢাকা থেকে দল পরিচালনা করেন কিন্তু কাদেরকে নেতৃত্বে আনা হচ্ছে, কাদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে থাকেন। সেখান থেকে তিনি তার কিছু স্তাবকদের কাছ থেকে ভুল শুদ্ধ কিছু তথ্য পেয়ে দলের ভেতর তছনছ করছেন। এ ভাবে দল তছনছ করা কখনোই ইতিবাচক নয় বলে মনে করছেন বিএনপির প্রায় সব সিনিয়র নেতাই। 


তাদের মতে, এমনিতেই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আন্দোলনের ব্যর্থতা, নেতাদের বিরুদ্ধে জেল জুলুম, নিপীড়ন চলছে। এ রকম অবস্থায় ঢালাও ভাবে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন কোন রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় নয় বলে তারা মনে করছেন। তবে তারেক জিয়ার এই তছনছের নীতি বিএনপিকে শেষ পর্যন্ত কোন পথে নিয়ে যাবে সে নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতি করতে লোকজন আগ্রহ দেখাবে না। বিএনপিকে ধ্বংস্তুপে ফেলে দিচ্ছেন তারেক জিয়া।

বিএনপি   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন