প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই রাজধানী ছেড়েছেন অনেক মানুষ। আবার অনেকে আছেন যারা চাঁদরাতে যাবেন। রাজনীতিবিদরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন আবার কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন বলে জানা গেছে।
দলটির নেতারা বলছেন, ঈদ ও পূজা-পার্বনে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার বড় সুযোগ থাকে। নেতাকর্মীদের কাছে নির্দেশনা হলো যার যার সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াবে। সব মানুষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবরের মতো এবারও ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। তবে ঈদের পরে নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ যাবেন বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত দুই বছরে নোয়াখালী যাননি তিনি।
রমজানের শেষের দিকে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে এসেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান। ঈদের দিন তারা ঢাকায় থাকবেন। ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান নির্বাচনী এলাকায় ফরিদপুরের মধুখালীতেই আছেন। ফিরবেন ঈদের পরে।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছেন। ফিরবেন ঈদের পরে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। ঈদের পরে তিনি নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে যাবেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের সকলেই এলাকার সাধারণ মানুষকে নিয়েই সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকি। মানুষের যেকোনো কষ্ট, দুর্যোগ, দুর্বিপাকে পাশে থেকে সহায়তা করতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে ধর্মীয় যে আনন্দ আছে, সেটা যাতে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি, সেই জন্য যার যার এলাকায় যাই। মানুষের পাশে থেকে ঈদ উদযাপন করি।
সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। অন্য সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে যারা ঢাকায় থাকবেন তাদের দুই-তিন জন ঈদের আগে কয়েকবার নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এসেছেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকায় থাকবেন।
চট্টগ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই বছর পরে এবারই আমরা সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করব। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই আনন্দের। নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সবার ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য নির্দেশনা দেব।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছরের মতো এবারও গণভবনে ঈদ উদযাপন করবেন। তবে করোনা মহামারির জন্য গতবারের মতো এবার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় প্রোগ্রাম থাকছে না।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।