মানুষ যখন আনন্দ পায় বিএনপি তখন কষ্ট পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এবারের ঈদে বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় সড়ক ভালো থাকায় মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেয়ে ওবায়দুল কাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, মানুষ নির্বিঘ্নে এবারের ঈদ যাত্রা সম্পন্ন করেছে এবং ফিরতি যাত্রায়ও কোন ভোগান্তি হয়নি। তবে মানুষের ভোগান্তি না হওয়াতে বিএনপির কষ্ট পেয়েছে। কারণ মানুষ যখন আনন্দ পায় বিএনপি তখন কষ্ট পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন ক্রাইসিস ম্যানেজার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী রাজনীতি দিয়ে সকল সংকট মোকাবেলা করেন এবং করছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।
বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায় না তখন বিএনপি নেতারা উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তারা দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
আবার ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছিলেন তখন বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে মার্কিন বন্দনা করতে দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন দূতাবাসে বা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বাসভবনে বিএনপির নেতাদের আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে চা চক্রে মিলিত হয়েছেন, নৈশভোজে মিলিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন রকমের শলাপরামর্শ করেছেন।
পিটার ডি হাস গত বছরের ১০ অক্টোবর বিএনপি যখন সমাবেশ করতে পারেনি তখনও একতরফা বিবৃতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বিতর্কিত সংগঠন মায়ের ডাকের এক নেতার বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি বিএনপির প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন এবং সহানুভূতি দেখিয়েছিল।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহানুভূতি এবং পরোক্ষ সমর্থনের কারণেই বিএনপির আন্দোলনের পালে হাওয়া লেগেছিল। নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। যদিও ২৮ অক্টোবরের পর এই ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং এই আহ্বানের চিঠি নিয়ে পিটার ডি হাস তিনটি দলের নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন এবং একটি সংলাপ আয়োজনের শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সংলাপ আয়োজনে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই সাড়া দেয়নি।
এখন নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। ডোনাল্ড লু’র আগে আফরিন আক্তার নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং সেই সময় তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ আফরিন আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও সেই সাক্ষাতের পর তারা কোনও কিছুই সাংবাদিকদেরকে জানাননি। কিন্তু এবার ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। আর এটি বিএনপির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদেরকে আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না, পাত্তা দিচ্ছে না। বরং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিএনপিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিএনপি নেতারা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং মার্কিন দূতাবাসে যাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদেরকে দুষছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপির মধ্যেই সমস্যা রয়েছে। বিএনপির নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারেননি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপির বক্তব্যগুলো তারা সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। আর একারণেই ডোনাল্ড লু’র সফরের পর বিএনপির মধ্যে চলছে এক ধরনের হতাশা।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের পাঁচ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ইতোমধ্যে এসব কমিটি ঘোষণার চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আর তাঁতী লীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৯ সালেই। বেশির ভাগ সংগঠনের তৃণমূলও অগোছালো। এসব সংগঠনের বেশির ভাগেরই সুপার ইউনিট খ্যাত ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) শাখার কমিটিও এলোমেলো। যদিও মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের দাবি দায়িত্ব নেয়ার পর বেশির ভাগ জেলা, মহানগরীর সম্মেলন তারা করেছেন। করোনা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সবগুলো ইউনিটের সম্মেলন শেষ করতে পারেননি। চলতি বছরেই তৃণমূল পর্যায় থেকে সব ইউনিটের সম্মেলন শেষ করার কথা বলছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫.(২) এর ক ধারা মতে, “বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ তাঁতী লীগ ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বলিয়া গণ্য হইবে। তবে জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের স্ব-স্ব সংগঠনের গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হইবে।” মৎস্যজীবী লীগও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তাঁতী লীগ: ২০১৭ সালে প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায় তাঁতী লীগ। এ কমিটিতে ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী সভাপতি ও খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁতী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিবেদককে জানান, ‘আমাদের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। ৭৮ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২-৪ টি ছাড়া বাকি সবগুলোর কমিটি দিয়েছি। তাঁতীদের উন্নয়নে কী করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলেন।’
বাংলাদেশ কৃষক লীগ: ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় কৃষক লীগের সপ্তম সম্মেলন। এতে কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনটির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, নেত্রী যখন চাইবেন তখনি সম্মেলন হবে। যেসব ইউনিটের কমিটি গঠন বাদ আছে আমরা সেগুলোর সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ: ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন তিন বছরের জন্য সভাপতি হন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক হন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। তিন বছর মেয়াদি বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। যুবলীগের সুপার ইউনিটখ্যাত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ: ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে নির্মল রঞ্জন গুহকে সভাপতি এবং আফজালুর রহমান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুর পর সভাপতি হন গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মেয়াদও শেষ হয়েছে। তবে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে তৃণমূলের অনেক ইউনিট। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাচ্চু জানান, ‘৭৯ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ১২-১৪ টির সম্মেলন হয় নি। আমরা সেগুলোর সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
মৎস্যজীবী লীগ: ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর মৎস্যজীবী লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সভাপতি, মোহাম্মদ আজগর নস্কর সাধারণ সম্পাদক হন। মৎস্যজীবী লীগ সারাদেশে যতগুলো কমিটি করেছে তার বেশিরভাগই বিতর্কিত। তবে সব ছাপিয়ে যায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে। নতুন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন। ৫০ টির মতো সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন করেছি। অধিকাংশ কমিটি দিয়েছি। অল্পকিছু বাকি আছে।’
সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “আমাদের দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ সব ইউনিটের সম্মেলন শেষ করা। সেটা কেন্দ্র হোক আর জেলা, মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে হোক। আওয়ামী লীগেরও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করার কথা বলা হয়েছে। একেবারে তৃণমূল পর্যায় বিশেষ করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন সম্মেলন করে এরপর পর্যায়ক্রমে পৌর, উপজেলা, জেলা, মহানগর সম্মেলন শেষ করে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করা হবে।"
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।
আওয়ামী লীগের পাঁচ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ইতোমধ্যে এসব কমিটি ঘোষণার চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আর তাঁতী লীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৯ সালেই। বেশির ভাগ সংগঠনের তৃণমূলও অগোছালো। এসব সংগঠনের বেশির ভাগেরই সুপার ইউনিট খ্যাত ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) শাখার কমিটিও এলোমেলো। যদিও মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের দাবি দায়িত্ব নেয়ার পর বেশির ভাগ জেলা, মহানগরীর সম্মেলন তারা করেছেন। করোনা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সবগুলো ইউনিটের সম্মেলন শেষ করতে পারেননি। চলতি বছরেই তৃণমূল পর্যায় থেকে সব ইউনিটের সম্মেলন শেষ করার কথা বলছেন নেতারা।