বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে চোখ রাঙিয়ে কোনো লাভ নেই। আওয়ামী লীগ আইয়ুব খানের চোখ রাঙানি দেখেছে, ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের অত্যাচার দেখেছে, ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে, ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে তার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেছে। আমরা আগুনের কাছে জ্বলতে শিখেছি, জ্বালানোর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।
রোববার (২২ মে) আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সাংবিধানিক সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন এবং নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেই নির্বাচনে যদি মনে করেন আপনারা (বিএনপি) নাও আসতে পারেন; ভোট কিন্তু ঠেকে থাকবে না।
তিনি বলেন, আজকে কেউ জাতীয় সরকারের ধারণা দিচ্ছেন, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, আবার কেউ ঘরে থেকেই বলছেন এই সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না! চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ওরা জানে না, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের ধারণা দিয়েছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী কে হবে সেটাও বলে দিয়েছেন। তিনি যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন। তাদের একজনও যদি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিততে পারবেন না।
তিনি মন্তব্য করেন, নির্বাচন করলে মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, অত্যাচার সহ্য করতে হয়, চা খাওয়াতে হয়। মানুষের সু:খ-দুখে পাশে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু ওরা মানুষ তো দূরের কথা একটা কুকুরকেও একমুঠো ভাত দেয় না।
ওরা (বিএনপি) ভোটে যাবে না। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে অন্ধকার গলির পথ দিয়ে অসংবিধানিক শক্তির সহায়তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বাংলাদেশর মানুষ বেঁচে থাকতে এবং আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতেও তোমাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, আমরা কেউ চাই না হাওয়া ভবনের মতো একটি ভবন তৈরি হোক। আমরা চাই না সেদিন যেমন মায়ের কোল খালি হয়েছিল। আবার নতুন কোনো মায়ের কোল খালি হোক। সেদিন যেমন অর্থ সম্পদ লুট হয়েছিল আমরা সেটা চাই না।
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ঘরে ঘরে কান্নার রোল ছিল। মা সন্তান হারিয়েছিল, পুকুরের মাছ, বাগানের গাছ, গোয়ালের গরু, কৃষকের ধান লুট হয়েছিল। নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে চুরমার করা হয়েছিল। আমরা সেই দিনটায় ফিরে যেতে চাই না। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে চোখ রাঙিয়ে লাভ নেই
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।