আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যোগ্য লোককে মাঠ থেকে খুঁজে যোগ্য জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। যারা সুবিধাভোগী ও তেলবাজ, তাদের দিয়ে সংগঠনের কোনো উপকার হয় না।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
হানিফ বলেন, ১ অক্টোরের আগে নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১ অক্টোবরের কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে মহানগর আওয়ামী লীগ নতুন আঙ্গিকে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির উদ্দেশে হানিফ বলেন, আন্দোলনের নাম করে যদি হঠকারিতা করতে চান, বাংলার মানুষ রাজপথে তা রুখে দেবে। দেশের জনগণই বিএনপি-জামায়াতকে উচিত শিক্ষা দিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি তৎপর। গত ১২ বছরে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বার বার আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। বিএনপি- জামায়াত বিভিন্ন সময়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। সবকিছু মোকাবিলা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করার শক্তি বিএনপি জামায়াতের মতো অপশক্তির নেই।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছেন, অশালীন ভাষায় কথা বলছেন। এভাবে যদি অশালীন ভাষায় কথা বলেন, তবে দেশের সাধারণ মানুষই আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, দু-একটি জায়গায় অন্তর্কোন্দল আছে বলে মনে করবেন না আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখনো দেশের সর্ববৃহৎ দল। সাধারণ মানুষের আস্থা এখনও শেখ হাসিনার ওপর। মানুষ বিশ্বাস করে দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। দুর্নীতির দায়ে শাস্তি পাওয়া বিএনপির নেত্রীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফে প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।