বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, উন্নয়নের নাম করে সরকার টাকা চুরি করেছে আর চুরি করা টাকার ঘাটতি মেটাতেিএখন গ্যাসের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে।
রোববার (৫ জুন) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তায়নে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, রোববার (৫ জুন) সংবাদপত্রে এসেছে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। পেট্রাবাংলার পরামর্শে তারা এই কাজটি করবেন। এখন আছে গ্যাসের পাইকারী মূল্য ৯ টাকা ৩৩ পয়সা এটা বাড়ানো হবে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে। এটা একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার দেশের মানুষকে অধমে পরিণত করেছে দুঃশাসনের দ্বারা। জনগণের গলা কাটার জন্যই সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। উন্নয়নের নামে চুরি করা টাকার ঘাটাতি মেটাতেই সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী নাকি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ৬৪ জেলায় উৎসব করবেন। ওনার (প্রধানমন্ত্রীর) মনের মধ্যে উৎসব থাকতে পারে, কিন্তু দেশের কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে হাহাকার করছে।
রিজভী বলেন, সরকার আমাদের পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার মেট্রোরেল দেখাচ্ছে। আবার অহংকার করে বলছেন টুস করে ফেলে দেবেন। শুধু কি হর্ন বাজালেই শব্দদূষণ হয়। প্রধানমন্ত্রীর মতো একটা জায়গা থেকে তিনি যখন এমন কথা বলেন, এটা একটা বড় ধরনের শব্দদূষণ তৈরি করে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজাহারুল আলমের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সহ-সভাপতি সাংবাদিক রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
ঘাটতি মেটাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।