ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:৩৩ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২২


Thumbnail বিএনপির রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিধারা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দেখছে না। তারা দেখে শুধু শেখ হাসিনা সরকারের তথাকথিত ব্যর্থতা, আর স্বপ্ন দেখে ক্ষমতার মসনদ। বিএনপির রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিশ্ব-সংকটে বালুতে মাথা গুঁজে রয়েছে, আর চিরাচরিত সরকারবিরোধী বিষোদগার অব্যাহত রেখেছে। তাদের রাজনীতিতে নতুনত্ব নেই, জনমানুষের কল্যাণে নেই কোনো ভাবনা। 

বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেল, সারের দাম এখনও অস্থির জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার জনকল্যাণে ভর্তুকি দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক।

তিনি বলেন, অন্যদিকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ভালো কথা, তারা বিক্ষোভ করুক, মিছিল করুক- এটা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। বিক্ষোভের নামে জনশান্তি বিঘ্ন ঘটানোর অপপ্রয়াস চালালে জনস্বার্থে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে।

বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, নির্বাচিত হয়ে সংসদে না যাওয়া কোন নির্বাচনী গণতন্ত্র? যাদের নিজেদের সর্বাঙ্গে পঙ্কিলতা, তাদের গণতান্ত্রের ছবক দেওয়া হাস্যকর ও অর্থহীন। 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিন, নিজ দলে গণতন্ত্র চর্চা করুন। গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে বর্ণচোরা ফ্যাসিবাদ আর লুটপাটতন্ত্রের সমন্বিত কদর্য রূপ। 

এর আগে, সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর যার নেতৃত্বে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, হাজার মাইল দূরে থেকে সে তারেক রহমান যদি আওয়াজ দেয় তাতেই ক্ষমতাসীনদের কানের পর্দা ফেটে যায়।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর দোলাইপাড়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়া একদিনে প্রধানমন্ত্রী হননি। জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়া হয়েছেন। দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম। আজ অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। যে জিয়া জনতার সে জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। যে বিএনপি জন্ম হয়েছে দেশ জনগণের প্রয়োজনে সে বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না।


খালেদা জিয়া   গয়েশ্বর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে না পারায় জিএম কাদেরের ক্ষোভ

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভিসা পেয়েও ৩১ মের মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। শনিবার ( জুন) এক বিবৃতিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জিএ কাদের। পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশটি ২০২২ সালে লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মী নিতে রাজি হয়। ৩১ মের মধ্যে এই কর্মী পাঠানোর কথা ছিল। সে অনুযায়ী গত প্রায় দুই বছর ধরে এজেন্সির পেছনে ঘুরে ঘুরে থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পেরেছেন লাখ ৯৪ হাজার ১০২ জন। বাকি ৩০ হাজার ৮৪৪ জন সর্বস্ব হারিয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। এর চেয়ে কষ্টদায়ক ঘটনা আর হতে পারে না।

এজেন্সিগুলোর চাহিদামতো টাকা পরিশোধ করে, থেকে রাত বিমানবন্দরের মেঝেতে ঘুমিয়েও মালয়েশিয়াতে যেতে না পারাটা মর্মান্তিক দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন বিরোধী দলীয় নেতা।

কাদের বলেন, কাদের গাফিলতির কারণে শ্রমবাজারে এতবড় বিপর্যয় হলো তা বের করতে উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি তাদের পাঠাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে সরকারকে।


মালয়েশিয়া   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াত নেতাদের সাথে তারেকের দীর্ঘ বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত দুই দিনে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে ঐক্য করা হবে নাকি জামায়াত পৃথক অবস্থান থেকে আন্দোলন করবে- এ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এই আলোচনা থেকে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি কোন পক্ষই। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই বৈঠক আরও চলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া ছাড়াও এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও জামায়াতের আমির, মহাসচিব সহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও সংযুক্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। 

গত মঙ্গলবার তারেক জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের এই বৈঠক হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই বৈঠকের পরপরই গত বৃহস্পতিবার জামায়াত তাদের মজলিসের সূরার এক বৈঠক অনুষ্ঠান করে। সেই বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে নতুন করে জোট করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার এই বৈঠকে দুটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রথম প্রস্তাবটি ছিল, জামায়াত এবং বিএনপি আবার প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধ জোট করবে, যেমন জোট ছিল ২০০১ সাল থেকে। প্রথমে চার দলীয়, পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে বিএনপি এবং জামায়াত ছিল প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনের পর এই জোট অকার্যকর হয়ে পড়ে। এক সময় বিএনপি এবং জামায়াত দুজনই জোটকে নিষ্ক্রিয় করে। 

ধারণা করা যায়, আন্তর্জাতিক চাপ এবং জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার কারণেই বিএনপি প্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক করা থেকে সরে আসে। এ নিয়ে জামায়াতের মধ্যে অভিমান ছিল এবং জামায়াতের নেতারা এক সময় পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, বিএনপির সঙ্গে তাদের এখন আর কোন জোট নেই। কিন্তু ২০২৩ সালের শেষ দিকে আবার বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। এখন সেই সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। জামায়াত এবং বিএনপি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন জামায়াত আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। তাই বিএনপিও জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য ঐক্য করতে আগ্রহী। 

মঙ্গলবারের বৈঠকে জামায়াতের নেতারা প্রকাশ্যে জোটের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিএনপিসহ অতীতের ২০ দলীয় জোটকে আবার পুনর্জীবিত করার প্রস্তাবনা দিয়েছে। জামায়াত এটিকে আদর্শিক জোট হিসাবে অভিহিত করতে চাইছে। এই বৈঠকে জামায়াতের নেতারা দাবি করেছেন, এখন ভারতের কর্তৃত্ব বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর ভারতের এই কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের ভাষায় বিএনপি এবং জামায়াতের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

জামায়াতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে ভারত বিরোধী রাজনীতিকে আবার পুনর্জীবিত করা। সে কারণে জামায়াত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলছে। তবে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এবং বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস যুগপৎ আন্দোলনের পক্ষে বলে জানা গেছে। তারা জামায়াতের সঙ্গে অভিন্ন ইস্যুতে যুগপৎ ভাবে আপাতত আন্দোলন গড়ে তুলতে আগ্রহী। ভবিষ্যতে সময় সুযোগ বুঝে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তাব দিয়েছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে। দুই পক্ষই তাদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন। তবে জামায়াত মনে করছে, বিএনপির এখন একক ভাবে আন্দোলন করার শক্তি নেই। আর জামায়াত যুগপৎ আন্দোলনেও আগ্রহী না। তারা মনে করছে, একমাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই সরকারের বিরুদ্ধে একটি চাপ তৈরি করছে পারে।

জামায়াত   তারেক জিয়া   বিএনপি   মির্জা আব্বাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবার ফখরুল-রিজভীর বিরোধ প্রকাশ্যে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে তিনটি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংবাদ সম্মেলন করার জন্য সাংবাদিকদের টেলিফোন করা হয়েছিল। তাদের কেউ কেউ এসেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুহুল কবির রিজভীর সংবাদ সম্মেলন করতে পারেননি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে এই বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন না করে বরং বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে যোগদান এবং সেখানে বক্তব্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবকে। আর এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে এখন প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্টাইলে প্রতিদিন সাংবাদিকদেরকে বিএনপি কার্যালয়ে ডাকতেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতেন এবং সরকারের সমালোচনা করতেন। কিন্তু গত তিনটি বিষয় তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত করতে পারেননি। 

গত মঙ্গলবার (২৮ মে) রুহুল কবির রিজভী তারেক জিয়ার ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনাই তার একমাত্র কাজ। এর প্রতিবাদ এবং সমালোচনা করে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এসময় তাকে ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বিষয়বস্তুটি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলা ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করা উচিত হবে না। এটি হিতে বিপরীত হবে। এখন এই বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, আমি কী করব না করব সেটা কী আপনাকে বলতে হবে?  রুহুল কবির এই ঔদ্ধত্যের জবাব শান্ত ভাবে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তার অনুমতি ছাড়া এই বিষয় নিয়ে কোন কিছু বলা সমীচিন হবে না। 

এরপর গত বুধবার (২৯ মে) বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে অর্থাৎ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ ধরণের সংবাদ সম্মেলন আমি করবো এবং শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত হয়ে বিএনপির অবস্থান এবং সামনের দিনগুলোতে তাদের বড় কর্মসূচি, তাদের ভাবনা গুলো তুলে ধরেন। এই সময়ে রুহুল কবির রিজভী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হননি।

আর তৃতীয়বার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন রুহুল কবির রিজভী গতকাল। গতকাল তিনি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। উপজেলা নির্বাচনে যে ভোট কারচুপি এবং ভোটার উপস্থিতি না থাকা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন যে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মানুষের এমনিতেই কোন আগ্রহ নেই। কাজেই এই বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কোন মানে হয় না। বরং অর্থপাচার বা অন্যান্য ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি করতে পারেন। তাছাড়া এই ধরনের সংবাদ সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি রুহুল কবির রিজভীকে বলেন বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচিতে গিয়ে বক্তব্য রাখা অনেক ভালো। ঘরে বসে সংবাদ সম্মেলন করে কোন লাভ নেই। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী এই বক্তব্যে খুশি হননি তিনি তার কর্মীদেরকে বলেছেন যে, প্রতিবাদের ভাষা দলের ভেতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   রহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাদেরকে এড়িয়ে চলছেন গুরুত্বপূর্ণ নেতারা?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাগ্যবান একজন ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দল এবং মন্ত্রণালয় সামলাতে তিনি হিমশিম খান না, বরং ভালোই উপভোগ করেন। প্রতিদিনই তিনি দলীয় কার্যালয়ে অথবা আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আর এই ব্রিফের প্রধান বিষয় থাকে বিএনপিকে গালমন্দ করা, বিএনপির সমালোচনা করা।বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি হরহামেশাই কথা বলেন। 

মন্ত্রণালয়ের বিষয় নিয়েও তিনি মাঝে মাঝে তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের গালমন্দ করা এবং সাংবাদিকদের শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ওবায়দুল কাদের মিডিয়া বান্ধব একজন ব্যক্তি হিসেবেও হিসেবে পরিচিত। তিনি সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন এবং এই কারণেই তিনি প্রতিনিয়ত ইস্যু থাকুক না থাকুক সংবাদ সম্মেলন করেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চান তিনি যখন সংবাদ সম্মেলন করছেন তখন দলের সিনিয়র নেতারা তার চার পাশে থাকুক। তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে করতে পাশের নেতাদের দিকে তাকান। তারা মাথা নেড়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সম্মতি জানান।আবার অনেক সময় হেসেও সম্মতি জানাতে হয়। ওবায়দুল কাদের এই সমস্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আসলে তিনি অসন্তুষ্ট হন। তাদেরকে ফোন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের জন্য আসতে বলেন। 

সাধারণত দেখা যায়, যে সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাদের তেমন কোন কাজ নেই বা যারা মন্ত্রিত্ব পাননি তারাই ওবায়দুল কাদেরের চারপাশে সবসময় থাকেন। এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন গুলোতে নিয়মিতভাবে দেখা যায় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল এর মতো নেতাদেরকে। তবে এতে সন্তুষ্ট নন ওবায়দুল কাদের। তিনি চান দলের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আসুক। বিশেষ করে দলের যারা সিনিয়র আছেন তারা যেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন, সেটা তিনি প্রত্যাশা করেন। কিন্তু ইদানীং এই নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র নেতারা গড় হাজির থাকছেন। তারা নানা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ে সম্মেলনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাককে মাত্র দু একবার দেখা গেছে। অধিকাংশ সময় তিনি উপস্থিত থাকেন না। ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সর্বোচ্চ তিনবার দেখা গেছে সংবাদ সম্মেলনে। অন্য সময় তিনি মন্ত্রণালয় এবং এলাকার ব্যস্ততার কারণে সেখানে আসেননি বলে জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানকে দেখা গেছে মাত্র দুবার। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আগে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু ইদানীং তার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি কমেছে। যদিও মাঝে মাঝে তাকে দেখা যায়। আওয়ামী লীগের আরও দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং ডা. দীপু মনি প্রায় অনুপস্থিত থাকেন। তারা এখান থাকেন না। ড. হাছান মাহমুদ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে আছেন। এই যৌক্তিক কারণেই তিনি থাকতে পারেন না বলে জানা গেছে। ডা. দীপু মনি হঠাৎ হঠাৎ করে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন, তবে তিনি নিয়মিত নন। বাহাউদ্দিন নাছিম এক সময় এই সংবাদ সম্মেলনে নিয়মিত থাকতেন কিন্তু এখন তিনিও কম উপস্থিতি থাকছেন। এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে, ওবায়দুল কাদেরের এই সংবাদ সম্মেলন গুলো কী পানসে একগুয়েমিতে ভরা হচ্ছে? আর এ কারণেই কী দলের সিনিয়র নেতারা এই সংবাদ সম্মেলন গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন? এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন প্রতিনিয়ত করার দরকার কী তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। 

অনেকে মনে করেন যে, এই ধরনের সংবাদ সম্মেলন প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির করা উচিত নয়। বিভিন্ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন গুলো করানো যেতে পারে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতে হবে কেন? আর এসব কারণেই কী সিনিয়র নেতারা ওবায়দুল কাদেরকে এড়িয়ে যাচ্ছেন? আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গেলে এই গুঞ্জন শোনা যায়। 

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন