ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রীদের কথায় অস্থির আওয়ামী লীগ: নিষেধাজ্ঞা আসছে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail মন্ত্রীদের কথায় অস্থির আওয়ামী লীগ: নিষেধাজ্ঞা আসছে

মন্ত্রীদের লাগামহীন, বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এ নিয়ে বিব্রত, বিরক্ত, হতাশা প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রীরা যেভাবে কথা বলছেন তাতে সংকট সম্পর্কে এক ধরনের উন্নাসিকতা প্রকাশ হচ্ছে এবং এটি সরকারের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের এই সমস্ত কথাবার্তার ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আনুষ্ঠানিকভাবে। তিনি বলেছেন, এই সময়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলা উচিত নয়, সংযত কথাবার্তা বলা উচিত। সরকার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রীদের এই যথেচ্ছ কথাবার্তা বন্ধের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন মন্ত্রী যারা বেপরোয়া কথাবার্তা বলছেন তাদেরকে সতর্কবার্তা দিবেন এবং লাগামহীন কথাবার্তা বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সিলেটে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ এখনো বেহেশতে আছেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। যখন মানুষ লোডশেডিংয়ে অস্থির, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, মধ্যবিত্তের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, সেই সময় মন্ত্রী কিভাবে এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন এটি আওয়ামী লীগের নেতাদেরকেই বিস্মিত করেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য আওয়ামী লীগকে শুধু নয়, সরকারকে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে, সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নয়, গত কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মন্ত্রীরা এলোমেলো কথাবার্তা বলছেন। এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেছেন যে, মানুষ এখনও জামাকাপড় পড়ে আছে, তারা তো ভালই আছে। এটি একটি বিরক্তিকর এবং অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। অন্য একজন মন্ত্রী বলেছেন যে, আমরা অভাবে আছে কিন্তু কেউ এখনো না খেয়ে নেই। এ ধরনের বক্তব্য মন্ত্রীরা কেন বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য কি সে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, হাইব্রিড মন্ত্রীদের সংখ্যা বেশি। উড়ে এসে জুড়ে বসে এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। তারা এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন। তাছাড়া যে মন্ত্রীর যে দায়িত্ব নয়, সেই মন্ত্রী সেই বিষয় নিয়ে কেন কথা বলছেন, এ নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামীকাল দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকেও মন্ত্রীদের বেপরোয়া কথাবার্তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, যে মন্ত্রীর বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলার দরকার নেই তিনি কেন বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলছেন বা যে মন্ত্রীর দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলার দরকার নেই তিনি কেন কথা বলছেন। এই ধরনের কথাবার্তা সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে তিনটি বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ এ নিয়ে সমালোচনা করছে। এমনিতেই সরকার নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছে, জনগণ অস্বস্তিতে রয়েছে, জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সেই রকম পরিস্থিতিতে এ ধরনের কথাবার্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু এই বিষয়ে নয়, তার নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের বিষয়েও লাগামহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। এই সমস্ত মন্ত্রীদের লাগাম টেনে ধরতে পারলে সামনের দিনগুলোতে সরকারকে আরো খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রীদের বেপরোয়া কথাবার্তা অনেক উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। আর এটি বন্ধের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। যে কেউ যেকোনো বিষয়ে কথাবার্তা যেন না বলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

আগামী ৮ মে যে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে প্রায় ৭০ টিতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি রয়েছেন। সেই পছন্দের ব্যক্তিদেরকে জেতাতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনও এদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নির্বাচন কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য করণীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে। 

একাধিক উপজেলার খবর নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে জেতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। যেমন, তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদেরকে নানা রকম হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের ভীতি দেখানোর জন্য সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সমস্ত প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্র-এমপিদের স্বজন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে জেতানোর জন্য নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নমনীয় এবং সহনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের বহু মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা আগে থেকেই রাজনৈতিক দল করে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কমিটিতে আছে। তাদেরকে আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে বাধা দেব। তার এই বক্তব্যের পর চাপে থাকা মন্ত্রী-এমপিরা এখন যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

তারা মনে করছেন যে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেহেতু এখন তাদেরকে জিতিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এই কারণেই তারা একের পর এক উপজেলাগুলোতে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। নিজস্ব প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা এলাকায় নানারকম কৌশল গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে তাদের পক্ষে আনার জন্য প্রলুদ্ধ করছেন। যা তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে উপজেলা নির্বাচন এখন কার্যত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। 

তবে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন, এটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নেতার লড়াই না। উপজেলা নির্বাচন এখন আসলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপির পছন্দের প্রার্থীর সাথে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর লড়াইয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবোধ করতে পারছেন। যেখানে তারা শক্তিশালী নন সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।

এর আগে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে কয়েকজন চিকিৎসককে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তারা একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করেছিলেন। এবার অবশ্য বিএনপির নেতারা সে পথে হাঁটছে না। বরং তারা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়াই উত্তম এবং বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুরোধ বা দাবিটি আবার সামনে চলে আসছে। 

তবে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিএনপি এবং বেগম জিয়ার ভাই বোনের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে অনুমতি দেওয়াই আসল কৌশল। সরকারের ওপর যদি চাপ সৃষ্টি করা যায় তাহলে সরকার শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেবে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই চাপের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সঠিক ভাবে জানানো এবং আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার জন্য তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে যদি বিদেশ না নেওয়া যায় তাহলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আর এ কারণেই তার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারটাকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। আর এ ক্ষেত্রে যে কোন শর্তে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার পক্ষে তিনি অবস্থান নিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

শামীম ইস্কান্দার নিজে এবং কয়েকদফা সরকারের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং যে কোনো শর্তে তিনি তার বোনকে বিদেশ নিয়ে যেতে চান চান বলেও আশ্বস্ত করেছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার জন্য যদি সরকারকে অনুমতি দেওয়া হয় তা হলে সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে হবে। এ নিয়ে শামীম ইস্কান্দার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গেও দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো এক সময় দেখা করতে যেতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছেন। 

বেগম খালেদা জিয়া এখন আগের অবস্থানে নেই। তিনি যে কোন প্রকারে বিদেশ যেতে চান। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, রাজনীতিতে তার এখন কোন আগ্রহ নেই এবং তিনি নিজেও মনে করেন যে, তার চিকিত্সাটাই উত্তম। তবে এটি আসলে কোন রাজনৈতিক কৌশল নাকি সত্যি সত্যি বেগম জিয়া অসুস্থ সেটি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। 

চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাতে তার এক থেকে দেড় বছর স্থিতিশীল থাকার কথা। আর বেগম খালেদা জিয়ার যে বয়স এবং তার যে অন্যান্য শারীরিক অবস্থা তাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতো পরিস্থিতি তার নাই। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার একটা বয়স লাগে। অন্যান্য রোগ শোক থেকেও মুক্ত থাকতে হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া একাধিক রোগে আক্রান্ত। তার কিডনির অবস্থা ভালো না। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তার উচ্চ রক্তচাপ আছে। এছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। এ রকম পরিস্থিতিকে একজন রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি রাজনৈতিক বাহানা কি না সেটি নিয়েও কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে শামীম ইস্কান্দার সরকারের কাছে বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সেটার জন্য তারা সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা সৌদি আরবে যেতে চান।

খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   বিএনপি   শামীম ইস্কান্দার   ডা. জাহিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা শনিবার

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


আওয়ামী লীগ   মনোনয়ন বোর্ড   সভাপতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমি যেসব বক্তব্য রেখেছি, অনেকে ভেবেছিলেন আমি নিজেই নিজের নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেত্রী নিজেই এই বিষয়ে খোলাসা করে বলেছেন। স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রী স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন। 

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-‘সেখানে (উপজেলা নির্বাচনে) কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করা যাবে না।  প্রশাসনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। সে কথা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরিষ্কারভাবে বলেছেন। তার (প্রধানমন্ত্রীর) গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারেও আমাদের নেত্রীর গাইডলাইনস অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’

উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখানে আমার সমর্থনের প্রশ্নই উঠে না...স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা দেখবেন।

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার একজন স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না? আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না, সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলব একটা, আর কাজে করব আরেকটা, এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা বাস্তবে দেখবেন।’ 

এখনো অনেকের স্বজন প্রার্থী রয়ে গেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা শুরু করেছেন। সামনে আরও সময় আছে। প্রত্যাহার করতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের পরেও করা যায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, খালেদা জিয়ার আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি-এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিসুর রহমান প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। 

গত বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে স্পষ্ট হয়েছে, যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব একটা কিছু করা হবে না। আর ওবায়দুল কাদের যখন তার নির্দেশনা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদেরকে বাধ্য করতে পারছেন না ঠিক সেই সময়ে তিনি নিজেই একজন নির্দেশ লঙ্ঘনকারী হিসাবে আবির্ভূত হলেন।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগ্নে। ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগ্নে (আপন বোনের ছেলে) মাহবুব রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

গতকাল বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের তালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে শাহাদাত হোসেনের নাম রয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদের তালিকায় মাহবুবুর রশিদের নাম রয়েছে তিন নম্বরে। মন্ত্রীর ছোট ভাই ছাড়াও এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও তিনজন প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এবং ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ গোলাম শরিফ চৌধুরী, সাবেক উপজেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর আলী।

প্রশ্ন হল ওবায়দুল কাদের যখন বারবার বলছিলেন যে, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তাহলে তিনি নিজে কেন এই অনুশাসন ভঙ্গ করলেন? তার আত্মীয় স্বজনদেরকে তিনি কেন প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে দিলেন? তিনি তো এখানে বাধা দিতে পারতেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের নির্দেশনার বাহিরে একারণে তার ভাই এবং ভাগ্নেকে সর্তক করতে পারতেন। নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি করেননি। তার ফলে ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা খেলো হালকা এবং অকার্যকর হয়ে গেল বলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। 

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মানছে না। এর প্রধান কারণ হল, আমরা যেই নির্দেশ দিচ্ছি সেই নির্দেশ আমরা নিজেরাই মানছিনা। আমরা যখন কোন নির্দেশনা মানিনা তখন তৃণমূলকে আমরা মানাবো কিভাবে। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) এর কাছে যখন এক মা গেয়েছিল তার সন্তানের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে তখন মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) তাকে কিছু বলেননি। এরপর মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) নিজে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। নিজে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে তারপরে ছেলেটিকে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যে কাজটি আপনি নিজে প্রতিপালন করেননা, সেই কাজের জন্য অন্যকে নির্দেশ দেওয়াটা হল এক ধরণের প্রতারণা। এটি সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। ওবায়দুল কাদের নিজেই যখন তার দুই আত্মীয়কে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তখন তিনি অন্যদের শাসন করবেন কিভাবে।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন